ঐতিহ্যের হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেই চলে ফেরিওয়ালাদের জীবন

  • ছাইদুর রহমান নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যের হাওয়াই মিঠাই /ছবি: বার্তা২৪.কম

ঐতিহ্যের হাওয়াই মিঠাই /ছবি: বার্তা২৪.কম

'ওই হাওয়াই মিঠাই লগবো গো, হাওয়াই মিঠাই' সাথে তবলার আওয়াজ ডুম ডুম ডুম..৷ ফেরিওয়ালাদের তবলার আওয়াজ আগ হাঁক ডাক শুনেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভোঁ-দৌড়, শুরু হয় জটলা। বাবা-মায়ের কাছে শিশুদের বায়না, কিনে দিতেই হবে হাওয়াই মিঠাই।

আবহমান গ্রাম বাংলায় অনেক ঐতিহ্য ও স্মৃতি আজও শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ হঠাৎ দেখলে বা মনে হলে ফেলে আসা শৈশবের সময়গুলো চোখের সামনে একপলকে ভেসে উঠে ৷ তেমনি এক ঐতিহ্য নিয়ে এখনো টিকে আছে হাওয়াই মিঠাই।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলার গ্রাম অঞ্চলে এখনো দেখা যায় হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের ৷ বংশপরম্পরায় এখনো এই পেশা ধরে রেখেছে অনেকেই । একসময় এর সংখ্যা অধিক হলেও বর্তমানে হাতেগোনা কিছু মানুষ এটি টিকিয়ে রেখেছেন৷

সম্প্রতি জেলার কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামে দেখা যায় হাওয়াই মিঠাই এর ফেরিওয়ালাদের। কাঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে দুইপাশে কাঁচের বাক্সে হাওয়াই মিঠাই রাখা৷

এই হাওয়াই মিঠাই চিনি দিয়ে তৈরি হয়৷ মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়৷ গোলাপি রং দিয়ে এর সৌন্দর্য বাড়ানো হয়৷ অনেক ফেরিওয়ালা লাঠির মধ্যে টানিয়ে রাখেন। হঠাৎ দূর থেকে দেখলে মনেহয় আকাশের বুঝি গোলাপি রং ধারণ করেছে।

ফেরিওয়ালা আব্দুল আলী (৪৫) বলেন, এটা আমাদের অনেক আগের পেশা৷ বর্তমানে চিনির দাম বেড়েছে। আগের মতো এখন লাভ হয় না৷ সারাদিন দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হলে ছয় থেকে সাতশো টাকা লাভ থাকে৷ সবদিন তো একরকম হয়না। আবহাওয়া মন্দ থাকলে বেকার সময় কাটাতে হয়৷

পথচারী আক্কাস মাহমুদ বলেন, ছোটসময় দৌড়ে গিয়ে এই হাওয়াই মিঠাই খাইতাম৷ এখনো এগুলো দেখে আগের দিনগুলো মনেহয়৷ এখন এগুলো কমে গিয়েছে। মেলাতে দেখা যায় এছাড়াও মাঝে মধ্যে গ্রামে দেখতে পাই৷