'ধর্মীয় সম্প্রীতি পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা'

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মীয় সম্প্রীতি পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা/ছবি: সংগৃহীত

ধর্মীয় সম্প্রীতি পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা/ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মোঃ সাইফুল্লাহ পান্না বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা এই দেশে বাস করি। সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এখানে নেই। ধর্মীয় সম্প্রীতি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গাবাড়ী রোডস্থ শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাপূজা, শ্রী শ্রী দশভূজা বিগ্রহ মন্দির পরিদর্শনকালে সচিব এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় ময়মনসিংহ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতৃস্থানীয়বৃন্দ, হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সচিব দুর্বৃত্তদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা ধর্ম ও ধর্মীয় উৎসব নিয়ে দুর্বৃত্তায়ন করবে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিরোধিতা করে তারা দেশে স্বাধীনভাবে থাকাটাকে বিরোধিতা করে। এদেশ সকল নাগরিকের, সংবিধানেও সকলের অধিকার সমান। সৃষ্টি লগ্ন থেকেই কচুক্রী মহল ছিল, আছে, থাকবে। তাই বলে পিছু হটা যাবে না। সেটাকে প্রতিহত করে নির্বিঘ্নে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

শিশু যেমন মায়ের কোলে আস্থা পায়, প্রতিটি নাগরিক যেন সেই আস্থা এদেশের মাটিতে পায়। এমন বাংলাদেশের চিত্র আমরা দেখতে চাই। সম্প্রীতির বন্ধনে দুর্গাপূজার উৎসব সাফল্য মন্ডিত হোক সে প্রত্যাশা রাখেন তিনি।

পূজা উদযাপনসহ ধর্মীয় সহাবস্থানের ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ একটি অসাম্প্রদায়িক অঞ্চল। এখানকার মানুষ পরস্পরে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতো এবারও লক্ষণীয় কোনো ঘটনা ঘটেনি। পূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের চাইতে এবার নিরাপত্তায় আরো জোর দেয়া হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিগণ।