ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজের ভূমিকা অপরিহার্য: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও চরমোনাই পীর, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, দেশের যুব সমাজের নৈতিক অধঃপতন ঠেকাতে এবং সত্যিকার ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজকে ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। যুব সমাজের মাধ্যমে দেশের পরিবর্তন সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় দিকে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চরমোনাই ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সমাজের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং বৈষম্য দূর করতে হলে ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জাতির কল্যাণে যুবকদেরকে ইসলামের পথে পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন,আজকের যুবসমাজ আগামী দিনের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করবে। যুবকরাই সমাজের মূল চালিকাশক্তি। যদি তাদেরকে ইসলামের নীতিমালায় পরিচালিত করা যায়, তবে আমরা সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাবো। ইসলামী যুব আন্দোলন একটি আদর্শিক ও গঠনমূলক সংগঠন, যারা ইসলামের শাশ্বত আদর্শে বিশ্বাসী এবং দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলাম মানবতার মুক্তির জন্য এসেছে এবং যুব সমাজকে তার ধারক-বাহক হিসেবে তৈরি করতে হবে।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সভাপতি কাওছার হোসেন লিটন হাওলাদার। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মাদ আল আমিন, বরিশাল মহানগর সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বক্তারা উল্লেখ করেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো যুব সমাজকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ গঠনের কাজে নিযুক্ত করা। তাঁরা বলেন, ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি এবং বৈষম্য দূর হবে। তাঁরা সকল যুবকদের ইসলামের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন এবং দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসলামী নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বক্তব্যে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়, যুবকদের ইসলামি নীতি, আদর্শ ও সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশের প্রতিটি স্তরে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সম্মেলনের মাধ্যমে বক্তারা সবাইকে ইসলামের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে চরমোনাই ইউনিয়নের যুব আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, তাঁরা সব সময়ই ইসলামের বিধান অনুযায়ী সমাজের কল্যাণে কাজ করবেন এবং যুব সমাজকে ইসলামী চিন্তায় আলোকিত করে আদর্শিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবেন।