ভারত থেকে এলো ৬৭৭ টন কাঁচামরিচ
দেশে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বগতির কারণে সরবরাহ বাড়াতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনেই ৫৭ ট্রাকে ভারত থেকে ঢুকুছে ৬৭৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ। এর মধ্যে ১৪ অক্টোবর ২৯ ট্রাকে ঢুকেছে ৩৫৪ টন ও ১৫ অক্টোর ২৮ ট্রাকে ঢুকেছে ৩২৩ টন।
বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে কাঁচামরিচ ঢাকার কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। তবে আমদানি করা এ মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বন্দর থেকে পণ্য ছাড়করণকারী সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি টনের আমদানি মূল্য ৬০ হাজার টাকা। আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজি ১২০ টাকার বেশি পড়ার কথা নয়। তবে আমদানিকারকরা বলেছেন, ভারতেও দাম বৃদ্ধির কারণে দ্বিগুণ দামে কাঁচামরিচ কিনতে হয়েছে।
জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নিচু জমি ডুবে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের সঙ্কট দেখা দেয়। আর এ সময় কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়ে বেশি বিপাকে। কাঁচা মরিচের লাগামহীন এ বাজার নিয়ন্ত্রণে অবশেষে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করে সরকার। তবে গেল বছরে সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা মরিচের বাজার বেড়ে কেজি ১০০ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল।
মফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, আমদানি মূল্যের অনেক বেশি দামে তাদেরকে মরিচ কিনতে হচ্ছে। আমদানি করা কাঁচামরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।
কাঁচামরিচ আমদানিকারকের প্রতিনিধি উজ্বল বিশ্বাস জানান, বন্দর থেকে খালাসের পরপরই দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত মরিচ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আমদানি করা এ মরিচ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আমদানি এভাবে বাড়তে থাকলে বাজারে দাম কমে আসবে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী পরিচালক হেমন্ত কুমার সরকার জানান, কাঁচামরিচের মান পরীক্ষা শেষে খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে দুই দিনে ৬৭৭ টন মরিচ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।