রাজবাড়ীতে লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ, ৮ জেলের কারাদণ্ড
জাতীয়
রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ শিকার করার সময় ১ লাখ ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৮ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদি কারাদণ্ড ও ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তাছাড়া ৯০ কেজি ইলিশ মাছও জব্দ করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার পদ্মা নদীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার অংশে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগের অভিযানে উক্ত জেলেদের আটক ও উল্লিখিত জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, এ অভিযানে মোবাইল কোর্ট অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের দায়ে ৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদি বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও জব্দকৃত ১ লাখ ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস ৯০ কেজি ইলিশ এতিমখানায় দান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জেলেরা নদীতে নামলেই তাদের নিয়মিত জেল জরিমানা করা হচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান চলবে।
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়ালসড়ক’র টোল আদায় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এই উড়ালসড়কের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।
এরপর ১০টা ২০মিনিটে প্রথম মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তাঁর গাড়ির টোল প্রদান করেন। বর্তমানে উড়ালসড়কটির পতেঙ্গা প্রান্তে ৪টি বুথের মাধ্যমের দুদিকের টোল আদাল করা হবে। পরবর্তীতে লালখান বাজারসহ ১০টি পয়েন্টে র্যাম্প স্থাপনের পর সেখানেও টোল আদায় করা হবে।
শুরুতে উড়ালসড়কটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি এটির নাম বদলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হওয়া ওয়াসিম আকরামের নামে নতুন করে নামকরণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধনের পরও উড়ালসড়কটি পুরোপুরি যানচলাচলের জন্য প্রস্তুত ছিল না। এক্সপ্রেসওয়ে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমানোর পাশাপাশি বিমানবন্দর যাতায়াত সহজ করতে নির্মিত হয়েছে। সড়কটির কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হওয়ায় এখন যানচলাচল অনেক বেশি নির্বিঘ্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, এক্সপ্রেসওয়েটি দিয়ে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এটিতে মোটরসাইকেল এবং ট্রেইলর ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়নি। চূড়ান্ত হওয়া টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ৩০ টাকা, কারজাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসকে ২৮০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানকে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মূল শহর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, শহরের যানজট কমিয়ে আনার পাশাপাশি যাত্রাপথের দূরত্ব কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তবে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রথমে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়।
এরপর বিভিন্ন সময় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। তবে সবশেষ সিডিএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের সময় আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া সিডিএ ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।
কনকনে শীতে রাজধানী ঢাকাসহ কাপছে সারাদেশ। এমন অবস্থায় তীব্র শীত আর কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টিযোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, সারা দেশের মধ্যে ঢাকা এবং এর আশপাশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সারা দেশের মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি শীত ঢাকায়। এরপরই আরিচায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শীত অনুভূত হচ্ছে।
কী কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আজকে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণেই বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যত কমবে ততই বেশি শীত অনুভূত হবে। পাশাপাশি আরিচাতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আগামী কদন শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশের উত্তরাংশে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া সংস্থাটি।
রাজধানী ঢাকা-সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসেন।
ঢাকা-সিলেটের পাশাপাশি কুমিল্লাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে অনেকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন ফেসবুকে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের নাগাল্যান্ডের ফেখ শহর থেকে ১২৮ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫।
বিশ্বের বায়ু দূষণের দেশগুলোর শীর্ষ ১০ থেকে বের হতে পারছে না রাজধানী ঢাকা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য 'অস্বাস্থ্যকর'। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বায়ু দূষণে শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর। শহরটির স্কোর ২৬৪। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য 'খুব অস্বাস্থ্যকর'। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৩০ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।