আমরা এখন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি: জোনায়েদ সাকি

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চাওয়ার দিক থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে 'বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি'র তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা আজকে এমন এক বাংলাদেশে আছি, যা আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ। গত সময়ে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র কাঠামোকে ব্যবহার করে শ্রমিক মেহনতী জনতাসহ সর্বসাধারণকে হত্যা করেছে। আমাদের দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার বিলুপ্ত হয়েছে।এখন আমরা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চাই। যুদ্ধের ভিতরে সকল নাগরিকের সমতার কথা বলা হয়েছিলো,কিন্তু স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পরেও আমরা সমতা তো দূরে আছি। সুযোগের নিম্নতম সুবিধাও শ্রমজীবীদের মাঝে দেখতে পাইনি৷

তিনি আরও বলেন,১৯৭১ সালে স্বাধীন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ঝাঁপিয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানে সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে একজন ব্যক্তির হাতে। শ্রম আইন করা হয়েছে শ্রমিকদের শোষণের হাতিয়ার। এতে মালিকদের কীভাবে সুবিধা দেয়া যায় সেই বিষয় আনা হয়েছে। শেখ হাসিনার পালানোর পর মানুষ একটা বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একাত্তরের পর যা হয়নাই, নব্বইয়ের পর যা হয়নাই, সেটি এবার না হলে তারা মানবে না। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চায় সবাই। সেই জায়গায় থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি। আমাদের প্রত্যেকের বাঁচার মতো শ্রম ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন,গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেটি নিশ্চিত করতে হলে আগে রাজনৈতিক বন্দবস্ত নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাবো। সেখানে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন থাকবে। মালিক যদি তার ব্যর্থতার জন্য বেতন দিতে না পারে তাহলে সেই দায় সরকারকে দিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি দেন, তারপরই তারা কারখানায় যাবে।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল শক্তি শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ। তাদের ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন। তাদের উপর গুলি চালিয়ে আপনি আপনার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে শ্রমিক তাদের ন্যায্য মূল্য পাবে। একদিন বাংলাদেশে বুর্জোয়া ও শ্রমিকদের মাঝে কোনো পার্থক্য থাকবে না। শ্রমিকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এটি শুধু শ্রমিক আন্দোলন না, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নওরিন রশিদ,ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নারী সংহতি আন্দোলনের সভাপতি শ্যামলী সিমুসহহ আরো অনেকে। মামলা প্রত্যাহার, বকেয়া মজুরি প্রদানসহ এই কাউন্সিলে ১৮টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।