যৌথবাহিনীর ওপর এডিস নিক্ষেপ: জড়িতদের শাস্তির দাবি বাজুসের

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যৌথবাহিনীর ওপর এডিস নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি বাজুসের

যৌথবাহিনীর ওপর এডিস নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি বাজুসের

চট্টগ্রামের হাজারী লেনে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া যৌথ বাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপ ও পাথর ছুঁড়ে মারার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) চট্টগ্রাম শাখা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে হাজারি গলির ইকুইটি মার্কেটের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাজুস চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি যীশু বণিক। তিনি বলেন, ‘৫ নভেম্বর বিকেলে ওসমান আলী নামের একজন ব্যক্তির ইসকন বিরোধী একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হাজারী লেইনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং স্থানীয় জনগণ ওসমান আলী ও তার ভাইকে মোল্লা স্টোরে অবরুদ্ধ করে রাখে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে যৌথবাহিনী তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতিকারীরা যৌথবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে এসিড ও পাথর ছুঁড়ে মারে। ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৪জন ও পুলিশের ৭ জনসহ মোট ১১ জন আহত হন। তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পরবর্তীতে ২য় দফায় রাত ১০ ঘটিকায় আবারও দুষ্কৃতিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ভাঙচুরের প্রস্তুতিকালে যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিভিন্ন ভবনের ওপর থেকে এসিড ও পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। এতে করে জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে স্বর্ণ ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের দোকান লুটপাট হওয়ার আশঙ্কায় প্রতিটি দোকান জেলা প্রশাসকের সহায়তায় সিলগালা করে দেওয়া হয়।’

বিজ্ঞাপন

যীশু বণিক বলেন, ‘আমরা যৌথবাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপ ও পাথর ছুঁড়ে মারার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

যীশু বণিক বলেন, ‘আমরা বাজুস চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে বুধবার যথাশিগগির দোকানসমূহ খোলার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে আমাদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে দোকানসমূহ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাজুস, জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী কর্তৃক দোকানসমূহ খুলে দেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা যৌথবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় হাজারী গলির সর্বাত্মক নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করছি। উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে থাকা নিরপরাধ ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন