ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার রাস্তায় অটোরিকশায় পরিবারের সদস্যদের যাত্রা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকার রাস্তায় অটোরিকশায় পরিবারের সদস্যদের যাত্রা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা না মেনে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রধান সড়কগুলোসহ বিভিন্ন গলিতে এখনো দাপিয়ে চলছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। 

আদালতের নির্দেশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেলেও গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশের বিপক্ষে আন্দোলনে নামে অবৈধ এসব রিকশার চালকরা। বেশ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষেরও সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, দুর্ঘটনা ও রিকশাচালকের আন্দোলন সবমিলিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

অবৈধ এসকল যানবাহন যদিও রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য বড় হুমকির, তবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ও দ্রুত যাতায়াত করা যায় বলে সাধারণ জনগণের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতাও আছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় দেখা যায় নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রধান সড়কেও চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। প্রতক্ষদর্শীদের সাথে কথা হলে তাদের মধ্যে কেউ অটোরিকশা বন্ধের বিপক্ষে আবার কেউ পক্ষে।

শেওড়াপাড়াবাসী আব্দুস সালাম বলেন, তাদের গতি অনিয়ন্ত্রিত। অনেকবার নিষেধাজ্ঞার পরও তারা রাস্তার মাঝখান দিয়ে দেদারসে চালায়। এতে করে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ বিষয়ে আরও তৎপর হওয়ার দাবি করেছেন তিনি।

কলেজ শিক্ষার্থী তামিম জানান, আমরা চাই অটোরিকশা বন্ধ হোক। কেননা, যখন শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলিয়েছে তখন জ্যামের একটা বড় কারণ এই অটোরিকশা ছিল বলে জানান।

এদিকে কাজীপাড়ায় গলির রাস্তায় অটো রিকশা চেপে আসলেন সরদার গোলাম রাব্বি , কথা হলে তিনি জানান একেবারে বন্ধ না করে তাদের কড়া নিয়মকানুনের মধ্যে ফেলা হোক, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করা হোক কারন এখন মানুষ সহজ চায়। একটা প্যাডেল রিকশা চালকের সারাদিন পায়ে ভর দিয়ে রিকশা চালানো অনেক পরিশ্রমের কাজ।

রাজধানীর বাংলা মোটর এলাকাতেও দেখা গেছে অটোরিকশা। সেখান থেকে মাইনুল আহসান নামের এক পথচারী জানান ব্যাটারিচালিত এই রিকশা ভয়ংকর। সে নিজেই এই রিকশার কারণে দুর্ঘটনার শিকার। দ্রুত এধরনের রিকশা চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তিনিও।

এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান বলেন, অটোরিকশা সংখ্যাতাত্বিক পরিসংখ্যান জানা নেই কারো। ফলে এই অবৈধ অটোরিকশার সাথে জড়িয়ে থাকা শ্রমিকদের সংখ্যারও সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। এতে দ্রুত নেওয়া কোন সিদ্ধান্ত বয়ে আনতে পারে বিপর্যয়। ফলে বিজ্ঞানভিত্তিক ও কৌশলী পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।