‘পুলিশ রাষ্ট্রের,জনগণের ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই সৃষ্টি’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেছেন, পুলিশ রাষ্ট্রের জন্য, জনগণের জন্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে শাহ আলী থানা এলাকার ৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেন, পুলিশের যে কাজ তা আইন দ্বারা নির্ধারিত। আইনের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বিশেষ করে কোন দাঙ্গা হলে তাতে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে প্রথমে সমবেত জনতার সাথে আলোচনার কথা অনুসরণ করার কথা বলা আছে, যদি সেটি কাজ না করে তাহলে ধাপে ধাপে অন্যান্য পদক্ষেপের কথা বলা আছে। এর সর্বশেষ ধাপ হল নিজের জীবন ও সম্পদ বা অন্যের জীবন ও সম্পদ আক্রান্ত হলে আত্নরক্ষার উদ্দেশে পুরো মাত্রায় প্রতিরোধে যাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপটি সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশকে আইনে নির্দেশিত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে যাতে যেকোন সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায় এবং বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।

তিনি বলেন, দেশ পরিচালনা করা রাজনীতিবিদগণের কাজ। আর প্রশাসনের কাজ হল আইনের মধ্য থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণমূলক রাষ্টনীতিগুলো বাস্তবায়ন করা। রাজধানীর সবগুলো থানায় এধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো কমিউনিটি এনগেজমেন্ট। আপনারা কি চান, আপনাদের কি সমস্যা এবং এ সংক্রান্তে আপনাদের পরামর্শ কি- এর ভিত্তিতে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে চাই।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, শাহ আলী থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক নির্মূলের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে তার জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আপনার একটু ধৈর্য ধারণ করুন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হচ্ছে যাতে এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

শাহ আলী থানা এলাকার নাগরিক তাওহীদ বলেন, আমাদের খেলার মাঠ ধীরে ধীরে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তরুণরা খেলাধুলা করতে না পারায় কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে এবং মাদকের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সভায় উপস্থিত কৃষ্ণলাল বলেন, বর্তমান পুলিশের কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট। বিশেষ করে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন উৎসবের নিরাপত্তায় পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। আর এই এলাকায় আমরা সব ধর্মের মানুষ একসাথে মিলেমিশে বাস করে আসছি। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি সবসময়ের মতো বিরাজ করছে।

মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।