কিশোরগঞ্জে শীতের দাপটে জবুথবু অবস্থা, তিনদিনেও সূর্যের দেখা নেই

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

তিনদিন ধরেই নেই সূর্যের দেখা৷ বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে অবিরাম৷ সাথে শীতল হাওয়া বইছে। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা মানুষের। খুব জরুরী কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।

এমনি শীতের মধ্যে রাস্তার পাশে এবং বাড়ির উঠানে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করছে অনেকেই৷ বাজারগুলো সন্ধ্যার মধ্যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চায়ের দোকানেও মানুষের ভিড় নেই। শুনশান নীরবতা চারদিকে। এমন অবস্থা কিশোরগঞ্জে।

বিজ্ঞাপন

এমনই শীতের মধ্যে ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো রয়েছে চরম বিপাকে৷ ভোরে কাজে বের হয় এবং সন্ধার আগেই রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে শুয়ে বসে দিন কাটায় মানুষ৷ এই মানুষগুলো বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের জন্য ছুটে আসেন। কিছুদিন কাজ করে টাকা জমিয়ে তবেই ফিরেন বাড়ি।

সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, আগুন জ্বালিয়ে মানুষ শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন৷ তীব্র শীতের সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রাস্তায় খুব একটা মানুষ নেই৷ জরুরি কাজ শেষ করে মানুষ ঘরে ফিরতে দেখা যায়৷

বিজ্ঞাপন

নতুন বছরের প্রথম দিনই শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। শীত এবং ঘন কুয়াশায় ছেয়ে আছে প্রকৃতি। হাসপাতালে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগী। শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও রাস্তায় যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার সবগুলো বাজারে শীতবস্ত্রের দোকানে মানুষের ভিড় বেড়েছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা শীতের কাপড় কিনছেন৷ ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে৷

পথচারী আব্দুল কাদির বলেন,'দুদিন ধরেই ঠান্ডা বেড়েছে৷ কুয়াশা এবং শীতল হাওয়াতে শরিল যেনো জমে যাচ্ছে৷ জরুরি কাজ শেষ করে বাড়ি চলে যাচ্ছি।'