বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় যান অলি আহমদ। এরপর রাত ৮টার দিকে ফিরোজা ত্যাগ করেন তিনি। তাদের মধ্যে দীর্ঘ ৩০ মিনিট আলোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
কর্নেল অলি আহমদের প্রেস সেক্রেটারি সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক জানান, সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অলি আহমদ। সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবরও নেন তিনি।
উল্লেখ্য, উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী মঙ্গলবার লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা তার।
বিজ্ঞাপন
লন্ডনে পৌঁছে সরাসরি তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ চার কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে শতাধিক বোতল ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হিরোইন উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে মাদক কারবারি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খান আসিফ তপু। এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) একাধিক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে ১১৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ইমরান হোসেন (২৩) ও মোছাঃ মাহফুজা খাতুনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ পৃথক আরেক অভিযানে হাজারীবাগ থেকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ জাকারিয়া (৩৭)কে গ্রেফতার করা হয়।
আরেক অভিযানে একই ব্যাটালিয়নের সিপিএসসি রায়েরবাজার এলাকা ১২২ গ্রাম হেরোইন ও ৪০ পিস ইয়াবাসহ আরিফ রহমান লিটন ওরফে টাওয়ার লিটন (৩৬)কে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামিরা জানায় যে, রাজধানীসহ আশেপাশের জেলায় মাদকের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে স্বল্পমূল্যে মাদক কিনে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় বেশি দামে সরবরাহ করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
করতে হয়নি জমি চাষ। মাঠে আমন ধান থাকতেই বপন করা হয় বীজ। ধান কাটার পর চোখে পড়ে সরিষা গাছ। এভাবে বিনা চাষে সরিষা আবাদ করে সাফল্য পাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুরের কৃষকরা। এ পদ্ধতিতে চাষ করে তিন ফসলি ধানি জমি থেকে বাড়তি ফসল হিসেবে বিপুল পরিমাণ সরিষা উৎপাদন হচ্ছে এখানে। ফলে বাড়তি উপার্জন করতে পারছেন এখনকার কৃষকরা। এই পদ্ধতি ‘রিলে’ পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরের কৃষকরা জানান, রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষে প্রতি বিঘায় মাত্র ১ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে প্রতি বিঘায় সরিষা পাওয়া যায় ৪ মণ। যার বাজারমূল্য ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, রিলে পদ্ধতিতে চাষাবাদ এ উপজেলায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে। রিলে পদ্ধতিতে একজন কৃষক সরিষার চাষ করে খরচ বাদে প্রতি হেক্টর জমিতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভবান হবেন । ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে কৃষক তার ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এছাড়া আমন এবং বোরো চাষের মাঝখানে যে সময়টুকু কৃষকের জমি খালি বা পতিত থাকে, সেই সময় টুকুতে অতিরিক্ত একটি ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশের ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষাবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষকরা বিনা চাষে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। আগামীতে বেশির ভাগ তিন ফসলি জমি বিনা চাষে সরিষা আবাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে রিলে পদ্ধতিতে সরিষা আবাদের মধ্য দিয়ে একটা নতুন সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে। আমন মৌসুমে ধান আবাদের পরে যখন জমি পতিত থাকে তখন এ সময়টা আমরা কৃষকদের রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। রিলে চাষের মাধ্যমে কৃষকরা এখন থেকে বছরে দুইটা ফসলের পরিবর্তে তিনটা ফসল পাবে তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে একটি ফসল জমিতে থাকাকালীন বিনা চাষে অন্য একটি ফসল রোপণ করা হয়। যার ফলে অর্থ ব্যয় ও পরিশ্রম অনেক কম হয়। আর এ পদ্ধতিতে যে ফসলগুলোর আবাদ হয় তারমধ্যে অন্যতম হলো ধানের সাথে সরিষা চাষ। সাধারণত ধান কর্তনের ১৫ দিন পূর্বেই ধানের জমিতে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকার গেরদা রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ করছে।
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ কমলায় ডাল গুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এক অন্যরকম দৃশ্য! নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় চায়না জাতের কমলার বাগান করেছেন এক শিক্ষক দম্পতি। এই দৃশ্য দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন মানুষ। কয়েক বছর থেকে কমলা চাষ করে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন এই শিক্ষক।
শিক্ষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদারের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে। খলিলুর রহমান পেশায় মোজাম্মেল হোসেন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবি পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী সহকারী শিক্ষক। বাগানে চায়না জাতের কমলার পাশাপাশি নাগপুরি, দার্জিলিং চায়না থ্রি জাতের কমলার গাছও রয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষে তার সাফল্য ঐ এলাকার মানুষদের অণুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। ফলে, তার কমলা বাগান দেখে অনেকেই কমলা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
শনিবার(৪ জানুয়ারি) তার এই বাগান ঘুরে দেখেন প্রতিবেদক। বাগানের মালিক জানান, ২০১১ সালে এক বিঘা জমিতে দার্জিলিং জাতের কমলা চারার বাগান দিয়ে যাত্রা শুরু। ৪ বছর পর ১৫২টি গাছে ফল আসে। এর পর ২০২০ সালে প্রায় একর জমিতে চায়না জাতের ৪০০ কমলা গাছের বাগান তৈরি করেন। তিন বছর পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফল এসেছে। বর্তমানে কমলার রং হলুদ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বাজারে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কমলা বিক্রি করেছেন তিনি। কমলা চাষে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তারা।
খলিলুর রহমান বলেন,কমলা বাগান করার তিন বছর পর প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে। নিজ পেশার পাশাপাশি কমলা বাগান করলে ফলের চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে। আপনারা বাগান দেখতে আসুন, ফল খান, আপনারও বাগান করুন।
ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন, শখের বসে শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষ করছি। ২০১১ সালে কমলা বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতায় কমলা বাগানে সফলতা আসে। জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়ার পর কমলা চাষে আরো আগ্রহ বেড়ে যায়।
প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন বলেন, এই এলাকায় এত ভালো কমলা হবে আগে জানা ছিলোনা। আমাদের এলাকার কমলা বাগান আমাদেরকে গর্বিত করেছে। এতো সুন্দর একটি কমলা বাগান। এটি দেখে এলাকার অনেকেই বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, কমলা বাগানটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বাগানে প্রচুর পরিমাণে কমলার ফলন হয়েছে। আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি।