বাংলার প্রতি অবহেলায় মন কাঁদে ভাষা সৈনিক আনিসুলের



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফকরেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভাষা সৈনিক আনিসুল হক পেয়ারা/ ছবি: সংগৃহীত

ভাষা সৈনিক আনিসুল হক পেয়ারা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম প্রদেশে ভাগ হওয়া পাকিস্তানে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বাংলাভাষীদের উপর উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী।

১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।‘ তার এই ভাষণের সাথে সাথে উপস্থিত ছাত্র-জনতা প্রতিবাদ শুরু করেন। সেই দিন থেকেই শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে। রংপুরেও একই সময় থেকে দানা বাঁধে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। ২২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্ররা।

১৯৫২ সালের সেই একুশে ফেব্রয়ারি থেকেই ক্রমে ধাবিত হয়েছিল মুক্তির সংগ্রাম তথা স্বাধীনতার আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে সারাদেশ যখন উত্তাল সেই সময় বসে ছিলেন না রংপুরের দামাল ছেলেরাও। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তারা রাজপথে মিছিল-মিটিং সমাবেশে জানিয়েছিলেন তীব্র প্রতিবাদ।

বার্তা২৪.কমের এই প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই ৬৭ বছর আগের ভাষা সংগ্রামের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা জানান রংপুরের ভাষা সৈনিক মীর আনিসুল হক পেয়ারা।

১৯৫২’র স্লোগানমুখর সেই দিনগুলো কাঁদায় ভাষা সৈনিক মীর আনিসুল হক পেয়ারকে। তাঁর এই কান্না বাংলা ভাষার ব্যবহার, বিকৃতি আর উচ্চারণে বর্তমান প্রজন্মের অবহেলা দেখে। বাংলাকে সর্বক্ষেত্রে সার্বজনীন হিসেবে দেখে যেতে চান এই ভাষা সৈনিক।

সদা হাস্যোজ্জ্বল এই ভাষা সৈনিকের মুখে এখন আর হাসি নেই। তিনি গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর থেকে বাসায় শয্যাশয়ী হয়ে পড়ে আছেন আনিসুল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550666909368.jpg

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ আফানউল্লাহ্ রোডের আমেনা কুঠিরে তাঁর সাথে কথা হয় বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদকের। এ সময় ভাষা সংগ্রামী মীর আনিসুল হক পেয়ারাকে বার্তা২৪.কম এর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দীর্ঘক্ষণের আলাপচারিতায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট স্মৃতিচারণ করেন এই ভাষা সৈনিক।

আনিসুল হক পেয়ারা জানান, রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনে মিছিলে যাওয়ার জন্য রংপুর জিলা স্কুল থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। পরে আদর্শ স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে ১৯৫২ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। ঐ সময় কারমাইকেল কলেজের অবাঙালি অধ্যক্ষ শাহাবউদ্দিন ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। ছাত্রদের মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে দিতেন না উর্দুভাষী এই অধ্যক্ষ।

১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ৮ ফাল্গুন। আগুনঝড়া ফাগুনের এই দিনটি ছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। সেদিন ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সেই দিন রাজপথে নেমে ছিলেন ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ জনতা।

মিছিলে বৃষ্টির মতো চলে গুলিবর্ষণ। এই খবর সন্ধ্যার দিকে ছড়িয়ে পড়ে রংপুরে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ এর প্রতিবাদে ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাত থেকেই সংঘবদ্ধ হতে থাকে।

আনিসুল জানান, পরেরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি কারমাইকেল কলেজে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা শেষে মিছিল নিয়ে শহরের দিকে এগুতে থাকে ছাত্রজনতা। মিছিলটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পার হয়ে তেঁতুলতলার কাছাকাছি এলেই পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যত হয়।

সেই সময় পুলিশি বাঁধা উপক্ষো করে ছাত্র-জনতার স্লোগানমুখরিত প্রতিবাদের মিছিল শহরের ভেতরে পৌঁছে যায়। সেদিন পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জের কাছে মাথা নত করেনি ছাত্র-জনতা।

আনিসুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার কারণে ৫২’র পরে আমার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়। এক পর্যায়ে আত্মগোপনে যাই। এ কারণে ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। পরে ১৯৫৫ সালে পরীক্ষা দিই। ১৯৫৬ সালে আবার পলাতক হতে হয়।‘

সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রংপুরে ভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো কারমাইকেল কলেজ। আন্দোলনে তখন নেতৃত্ব দিতেন মতিউর রহমান, আলতাব হোসেন, মোহাম্মদ আফজাল, আজিজুর রহমান, সুফি মোতাহার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, শাহ আবদুর রাজ্জাক, আশরাফ হোসেন বড়দা, শামসুল হুদা, শাহ আবদুল বারী, শাহ তবিবর রহমান প্রধান সহ অনেকে। যাদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। আর যারা আছেন, তাদের খোঁজ কেউ রাখেন না। শুধু ভাষার মাস এলেই খোঁজ পড়ে আমাদের।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550666944141.jpg

কাঁদামাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরির স্মৃতি তুলে ধরে তিনি জানান, ১৯৫৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এক রাতের শ্রমে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি হয় প্রথম শহীদ মিনার। সেই কাঁদামাটির শহীদ মিনার আজও স্মৃতিপটে ভেসে উঠে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারারা শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। স্বাধীনতার পর ঐ জায়গাতেই নতুন করে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়।

আনিসুল ১৯৬১ সালে মাহিগঞ্জ আফানউল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলনের সময় জেল খাটেন দুই মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন সাহসী এই মানুষটি।

আনিসুল হকের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও একজন ছেলে। স্ত্রী নূরজাহান বেগম ২০১৪ সালে মারা গেছেন। ছেলে-মেয়ে সবারই বিয়ে হয়েছে। এদের মধ্যে বড় মেয়ে ইফফেতারা বিনতে আনিস লুবনা রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, দ্বিতীয় মেয়ে ইসমেত আরা বিনতে আনিস লুমা বেসরকারি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত, ছেলে মীর ইফতেখারুল হক পল্লব ব্যবসা করছেন। আর বাকি দুই মেয়ের মধ্যে শামীম আরা সুলতানা রাজশাহীর চারঘাটে সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ছোট মেয়ে শাহিনা সুলতানা রংপুর জিলা স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।

বর্তমানে পরিবারের অন্যদের পাশাপাশি অসুস্থ শ্বশুরের সেবাযন্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছেলের বউ রাবেয়া খাতুন শিল্পী। তিনিজানান, এ মাসে রংপুর ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা শয্যাশয়ী আনিসুল হক পেয়ারার খোঁজখবর নিতে বাসায় এসেছিলেন।

   

বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে। এটা আইনত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, যারা অনেক কাজ করে তাদের ভুলত্রুটিও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোন উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে।

জঙ্গিবাদ নির্মূল প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা সারাদেশে একযোগে আক্রমণ করে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে। পুলিশ জঙ্গিদের সেই ধৃষ্টতাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান জানান, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার আলোকেই দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। অতীতেও পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে। সবার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি সঠিক থাকলে সমস্ত সেবা পাওয়া যায়। আর ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি।

রোববার (১৯ মে) সকালে রংপুরে একদিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর আয়োজনে গত ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন উপলক্ষে রোববার হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতিবন্ধীদের সেবার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়ার লক্ষে দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলাতেও করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমাজসেবা অফিস কমপ্লেক্সে আলাদা করে প্রতিবন্ধী কর্নার খুলে সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেডিকেল সায়েন্সে যে ১৩ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ পুনর্বাসনের ও বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার সংখ্যা, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোন যাবে না বলেও জানান তিনি।

হাইপার টেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্ত্রী হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন করেন। হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘদিন থেকে এরকমভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ক্যাম্পেইন উঠান বৈঠক কর্মশালা, উঠান বৈঠক জনসচেতনতামূলক সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নিয়মিত করে আসছে ।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ৫০ টাকার রেজিস্ট্রেশন করে পরবর্তীতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন বিগত ১৬ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

;

পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের যোগাযোগ বাড়াতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থায়ী কমিটির বৈঠক

স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বাড়িয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করছে স্থায়ী কমিটি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মো. জাকারিয়া, ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, হাবিবুন নাহার, মো. আওলাদ হোসেন ও ঝর্না হাসান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকসহ দেশে নিরাপদে ফিরে আসায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটি কমলাপুর আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) টার্মিনাল মূলত বন্দরের অংশ উল্লেখ করে আইসিডির দায়িত্ব পরিচালনা সম্পূর্ণ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার সুপারিশ করে। যেখানে সবগুলো পোর্টই হবে আইসিডির স্টেকহোল্ডার।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতর, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর কার্যক্রমসমূহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্রগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;