বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, তাই ছাত্র যারা তাদের জায়গা হচ্ছে ক্যাম্পাস।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী হলে 'ঠিকানা বাংলাদেশের' কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্ররা যদি প্রতি মন্ত্রণালয়ে একটি করে কমিটি করে, একটি রাষ্ট্রের যে ফাংশনাল, এটি একটি যে আর্টিকুলেটেড রাষ্ট্র, সেটি তো হবে না। বিপন্ন অবস্থা হবে।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ছাত্ররা যদি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে কমিটি গঠন করছে। তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তাদের পিছে ছুটবে। বালিশের নিচে টাকা দিয়ে আসবে। তাদেরকে দুর্নীতির দিকে প্রভাবিত করবে। ছাত্রদের জায়গা ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বর। সেখানে গলা উঁচিয়ে চিৎকার করুন, আমরা শেখ হাসিনার মতো শাসন আমরা চাই না। কেউ যেন তার মতো না হয়।
কুমিল্লায় এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, দেশে শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। কেউ অন্যায় করলে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেরে ফেলবে কেন! শেখ হাসিনার আমলের মতো বিচার বহির্ভূত হত্যা কেন ঘটবে?
ড. ইউনূস নির্বাচিত সরকার না হলেও রাজনৈতিক দল ও এদেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, তার (ড. ইউনূস) আমলে শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনো অবস্থাতে কাম্য নয়। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা নানা ধরনের অপমানজনক মন্তব্য করে প্রতিবেদন করছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন,'বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একটি গর্বিত সেনাবাহিনী। আমরা দেখেছি যখনই যাই হোক কিন্তু চূড়ান্তভাবে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। সেই সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা নানা ধরনের অপমানজনক মন্তব্য করে প্রতিবেদন করছে। কারণ কি? কারণ এইটাই, তাদের পছন্দমত যে সরকারটি ছিল সেই সরকারটি নেই। তারা এক ধরনের অনুসূচনায়-এক ধরনের বেদনায় এমন এক মনোবেদনায় ভুগছেন যার কারণে তারা ক্রমাগতভাবে মিথ্যা বয়ান তৈরি করে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপের কারণে আমরা যেমন তাদের সমালোচনা করি। আবার তাদের দেশের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের জন্য আমরা তো তাদের প্রশংসাও করি। আনন্দবাজার পত্রিকা তো নিজেকে সেকুলার মনে করে। কিন্তু আমি ওখানে দেখেছি তাদেরও অত্যন্ত গভীরে কোথায় যেন একটা সাম্প্রদায়িকতা কাজ করে। হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত নয়।