চট্টগ্রামে হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হচ্ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও হাইটেক পার্ক কতৃপক্ষের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার। এ সংক্রান্ত দুইটি প্রকল্প ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১.৫৫১ একর জায়গার উপর নির্মাণাধীন রয়েছে।

এ দু’টি প্রকল্পের একটি আগ্রাবাদের ব্যাংক- সিঙ্গাপুর মার্কেটের উপরে ৬ থেকে ১১ তলা ভবনে এবং আরেকটি চান্দঁগাও বিএফআইডিসি রোড সংলগ্ন ৬ থেকে ১১ ভবনে স্থাপন করা হচ্ছে। এই দুই পার্কে প্রায় ২৫০০ কর্মসংস্থান হবে।

রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এই দু’টি প্রতিষ্ঠান সামান ভাগ করে নেবে। প্রথম ৩০ বছরে ব্যয়ের অর্থ আদায় হবে।

এ বিষয়ে সোমবার (১১ মার্চ) চসিক হল রুমে বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কতৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম ও চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা এক সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় এসব তথ্য জানানো হয়।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ (পলক) প্রমুখ।

   

বুবলী দিচ্ছেন গরু কোরবানি, অপু দেবেন ছাগল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। অন্য মানুষের মতো শোবিজ তারকারাও পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর কে কী কোরবানি দিচ্ছেন, তা জানার অপেক্ষায় থাকেন তাদের ভক্তরা।

জানা গেছে, এবারের ঈদে ছেলে আব্রাম খান জয়ের নামে ছাগল কোরবানি দেবেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে সাদা রঙের একটি ছাগলও কিনেছেন এই চিত্রনায়িকা।

অপরদিকে, প্রতি বারের মত এবারও কোরবানি দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি একটি গরু কোরবানি দেবেন।

অপু বিশ্বাসের নাম নিলে এখন আলোচনায় বুবলীর নামও চলে আসে। কারণ উভয়ই শাকিব খানের সন্তানের মা। যদিও শাকিব খান তাদের দু’জনকেই প্রাক্তন বলেই এখন পরিচয় দেন। 

প্রসঙ্গত, এবারের ঈদে অপু বিশ্বাসের কোনো সিনেমা মুক্তি না পেলেও বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এমডি ইকবাল পরিচালিত এই সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক রোশানকে।

;

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

ঈদুল-আজহার প্রাক্কালে রোববার (১৬ জুন) তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,এক বছর পর আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন,‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।’

;

ফেনীতে শেষ মুহূর্তে হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানি পশুর হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানি পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার সরগম হয়ে উঠেছে। শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু থাকলেও ক্রেতার সংকটে ছিলো কোরবানির হাটগুলোতে। শুরুর দিকে গরুর দাম বাড়তি থাকায় শেষদিকের বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিল ক্রেতারা কিন্তু শেষ দিকেও দাম চড়া রয়েছে। শেষ বাজার হওয়াতে বাড়তি দাম হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট ভাবে শেষ হচ্ছে এ বছরের কোরবানির পশুর বাজার।

রোববার (১৬ জুন) ফেনীর ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোরবানি পশুর হাট, মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কসকা বাজার ও শহরের বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে কেনাবেচা। একের পর এক ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে অনবরত দামদর চলছে বেপারি, খামারি কিংবা ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের।

ফাজিলপুর বাজার কমিটির সূত্রে জানা যায়, বাজারে ৫ থেকে ৬ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। শেষদিন হওয়াতে বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে গরু কিনে ফেলছে। এরপরেও দাম ও হাসিল নাগালের মধ্য থাকায় অধিক পরিমান গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু হাটে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। মাঝে দুইদিন গরুর দাম সীমিত ছিল কিন্তু গতকালকের বৃষ্টি পর হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়তি হওয়ার কারনে ক্রেতারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিল যার কারণে শুরুর দিলে বিক্রি কম হলেও শেষ দুই দিনে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।

কালা মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে ৪টি বিক্রি করেছি। বাজারে প্রচুর ক্রেতা আছে। বেচাবিক্রি ভালোই হয়েছে। তিনি জানান, ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু আছে। শেষ মুহুর্তে এসে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

নূর নবী নামের এক খামারি বলেন, হাঁটে ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযর্ন্ত ৪টা গরু বিক্রি করেছি। শুরুতে তেমন ক্রেতা ছিল না যার কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শেষ দুই দিনে গরুগুলো বিক্রি হওয়ায় খুশি।

ফয়সাল মাহমুদ নামে এক ক্রেতা বলেন,রাত পোহালেই কোরবান। বাজারে প্রচুর পরিমাণ গরু উঠেছে। তবে ক্রেতা অন্যদিনের তুলনায় কম। কারণ অনেকে গরু কিনে ফেলেছে। আমাদের রাখার জায়গায় সমস্যা যার কারনে আজ দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির গরু আল্লাহর নামে নিয়ে ফেলেছি।

আরিফ নামের নামের আরেক ক্রেতা বলেন, শুরুতে বাড়তি দাম বাড়তি ছিল, মাঝে কিছুটা কমেছে। তবে শেষ মুহুর্তে দাম আবার বাড়তি রাখছে বিক্রেতারা। হঠাৎ করে গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার বেড়ে গেছে। আমি একটা কিনেছি গরুটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পড়েছে। কিন্তু এর দুদিন আগেও এ গরু ১ লাখ পর্যন্ত মূলামুলি হয়েছে।

সাইফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। শুরুতে দাম নাগালের বাইরে ছিল তাই শেষ দিকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এখন আবারও বেড়ে গেছে।

উল্লেখ্য জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ২০০টি। তারমধ্যে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে ৯০ হাজার ২৫০টি গবাদি পশু। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৮০৪টি গরু, ৫ হাজার ৭২৮টি মহিষ এবং ১৫ হাজার ৭১৮টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত ছিল।

;

ফেনীতে মহাসড়কে বাস উল্টে নারী-শিশুসহ আহত ২৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ফেনীতে মহাসড়কে বাস উল্টে নারী-শিশুসহ আহত ২৫

ফেনীতে মহাসড়কে বাস উল্টে নারী-শিশুসহ আহত ২৫

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের পুরাতন মুহুরীগঞ্জ এলাকায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে নারী ও শিশুসহ বাসের অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। দিগন্ত পরিবহন বাসটি সকালে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে যাচ্ছিল।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ মুহুরী নদীর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহতরা হলেন- সাইফুল (২৩), দুলাল মিয়া (৪৮), আলেয়া বেগম (৪০), আবদুল করিম (৩০), কিরণসহ (২৮), জুয়েল বড়ুয়া (৪৫), তার স্ত্রী টিকলি বড়ুয়া (৪০), আমির আলী (৩৫), তার স্ত্রী মুর্শেদা বেগম (৩২), সোহেল (২০), জুয়েল (৮), সালমা (১৮), রাকিব (১৮), হেলাল মিয়া (২৬) সহ অন্তত ২৫ জন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের হবিগঞ্জ, মাধবপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিগন্ত পরিবহনের বাসটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে দুপুরের দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজে ওঠার আগে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর উল্টে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টিকলি বড়ুয়া নামে আহত এক যাত্রী বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভাঙে। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি বাসটি উল্টে রাস্তায় কাত হয়ে গেছে। আমার ডান হাতের একটি অংশ ভেঙে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেছে। জানালার পাশে বসা যাত্রীরা বেশি আঘাত পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম থেকে আসা জুয়েল নামের এক যাত্রী বলেন, পুরো সড়কেই চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালান। ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় আরেকটি বাস অতিক্রম করতে গিয়ে সড়কের ওপর বাস উল্টে যায়। গাড়িতে বিভিন্ন বয়সী ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিল। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন।

ঈদ করার জন্য স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে যাচ্ছিলেন কিরণ মিয়া। দুর্ঘটনায় স্ত্রী, দুই সন্তানসহ পরিবারের অন্যরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কিছুটা আঘাত পেলেও আমার স্ত্রী নাসিমা ও দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সুজন বলেন, বাস দুর্ঘটনায় আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ জন হাসপাতালে এসেছেন। অধিকাংশ যাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়া ও ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আটজনকে চট্টগ্রামে রেফার্ড করা হয়েছে।

ফাজিলপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

;