ঈদ বাজারেও গাইবান্ধায় জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা



মাসুম বিল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদের বাজারেও ভালো নেই গাইবান্ধার জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর ব্যবসা যেমনই যাক না কেন মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুই ঈদ এবং হিন্দুদের পূজা-পার্বণে তাদের ব্যবসা বেশ ভালো হতো।

কিন্তু গেল বছর থেকেই দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি লাখ টাকার ওপরে। সোনার দাম তো কমছেই না, বরং বাড়ছেই। সময়ে সময়ে এই ধাতুর দাম এক টাকা কমলে তো বাড়ে দুই টাকা! ফলে সোনার চলমান এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে কোনো ভাবেই সুবিধা করতে পারছেন না গাইবান্ধার ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই মন্দার বাজারে টিকতে না পেরে গেল দেড় বছরে জেলায় ব্যবসা ছেড়েছেন অন্তত ৪০ জন জুয়েলার্স ব্যবসায়ী। এছাড়া পেশাও বদল করেছেন অনেক কারিগর। যারা টিকে আছেন তারাও রয়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স আ্যসোসিয়েশনের (বাজুস) সর্বশেষ (১১ জুন-২০২৪) নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী দেশের বাজারে এখন ভালো মানের ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের মূল্য ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ টাকা। আর নিম্নমানের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য ৯৫ হাজার ৬৯১ টাকা।

জুয়েলার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট, স্বর্ণের বাজারের ঊর্ধ্বগতি আর বড় বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আজ দেশের জুয়েলারি ব্যবসার করুণ অবস্থা। যার ফল স্বরূপ এক দিকে ধনাট্য ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে, এর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া যারা মাঝামাঝিতে রয়েছেন তারা পড়ছেন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।


এছাড়া একাধিক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বলছেন, মফস্বল এলাকায় স্বর্ণ ক্রয়ের সব চেয়ে বড় অংশই হচ্ছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে অস্বাভাবিকভাবে স্বর্ণের দাম বাড়তে শুরু করলে স্বর্ণ ক্রয় তাদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যায়। ফলে স্বর্ণের বাজার উর্ধ্বকালের শুরু থেকেই বিশেষ করে মফস্বলে জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা কাটছেইনা। তবে, তারা জানান দেশের অভিজাত এলাকার জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা মোটামুটি ব্যবসা করলেও অন্যদের অবস্থা খুবই খারাপ।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গাইবান্ধার পুরাতন বাজার সংলগ্ন সব চেয়ে বড় স্বর্ণের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দুই-একটি দোকানে কারিগররা কাজ করলেও বেশিরভাগ দোকানের কারিগররা কাজ করছেন সাধারণ দিনের মতই। কেউ কেউ অলস সময় পার করছেন। আবার কাউকে মোবাইল চেপে সময় পার করতেও দেখা গেছে।

এ সময় শ্যামা জুয়েলার্সে আসা শারমিন জাহান নামের এক স্বর্ণ ক্রেতা বলেন, ‘আমার ভাতিজিকে আমি একটি স্বর্ণের চেইন গিফট করতাম। কিন্তু স্বর্ণের দাম অনেক বেড়ে গেছে, যা এখন আমার সাধ্যের বাইরে। আমি এখন তাকে কানের রিং দেবো। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দাম বৃদ্ধির কারণে দিতে পারছি না।

শ্যামা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মানিক কুমার মল্লিক বলেন, ‘দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং স্বর্ণের ঊর্ধ্বগতির কারণে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের জুয়েলারি ব্যবসা। গাইবান্ধায় আমাদের কাস্টমার (ক্রেতা) বলতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্বর্ণের দামের উর্ধ্বগতির কারণে ক্রয় ক্ষমতা তাদের বাইরে চলে গেছে। এর প্রধান কারণ দেশের অর্থনৈতিক সংকট।

তিনি আরও বলেন, অল্প কিছুদিন আগেও মানুষ বিয়ে শাদি কিংবা জন্মদিনের উপহার হিসেবে সোনার আংটি, কানের দুল কিংবা চেইন দিতেন। কিন্তু এখন সোনার উপহারের বদলে নগদ অর্থ দেন। কারণ স্বর্ণের দাম তাদের নাগালের বাইরেই বলা যায়। বিশেষ প্রয়োজন এবং বাধ্য হওয়া ছাড়া বিলাসিতা বা শখ পূরণের জন্য তারা আর স্বর্ণ ক্রয় করছেন না।

এ সময় ওই বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমান দেশের ধনাঢ্য শ্রেণির স্বর্ণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের মতো মধ্য শ্রেণির জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা চরম সংকটের মধ্যে আছি। এই সিন্ডিকেটের কারণেই অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আজ ব্যবসা ছেড়েছেন। অনেক কারিগর পেশা বদল করে অটোরিকশা চালাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম সঞ্জু মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সারা দেশেই স্বর্ণের ব্যবসার একই অবস্থা। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। গাইবান্ধা জেলায় ৩০০ জুয়েলার্স ব্যবসায়ী রয়েছে। সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা ছেড়েছেন। পেশাও বদল করেছেন অনেক কারিগর।

   

জল্লাদ শাহজাহানের দাফন সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার নিজ এলাকা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলিয়া ফুটবল খেলার মাঠে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ শেষে ইছাখালীস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজে পলাশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কারি উল্লাহ সরকার, পলাশ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক জাকির হোসেন মৃধা, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাহানের স্বজন আলমগীর সহ প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লী জানাজা নামাজে অংশ নেন। নামাজের পূর্বে শাহজাহানের ভাগনে মোঃ নজরুল ইসলাম তার মামার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া শাহজাহানের জীবদ্দশায় কারো সাথে কোন দেনা পাওনা থাকলে তা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় স্থানীয়দের মুসল্লী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভীর এড়াতে শাহজাহানের মরদেহ কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।

জানাজা নামাজের পূর্বে ভাগ্নে নজরুল ইসলাম ছাড়াও মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন, কারিউল্লাহ সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, আমান উল্লাহ ভুইয়া হিরন ও আলমগীর।

এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র জীবনে শাহজাহান একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন যার ফলে তিনি কিছুদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরী করেন। পরবর্তীতে তার জীবনে আর সুখ সইলো না। মামলার বেড়াজালে জেলে যেতে হল।

জেলে গিয়ে এক পর্যায়ে সাঁজার মেয়াদ কমাতে ফাঁসি দেয়ার দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ মানবতাবিরোধী মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ দেশের আলোচিত বেশ কয়েকটি মামলার ফাঁসির রায় কার্যকর করে জল্লাদ হিসেবে দেশব্যাপী আলোচনা আসেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর তার জন্মভূমি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন শাহজাহান। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক বছরের ব্যবধানে তিন চার বার বাড়িতে আসেন শাহজাহান কিন্তু আশেপাশের লোকদের সাথে তেমন সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখেননি।

শাহজাহানের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও জীবনের শেষ বেলায় জানাজার নামাজে শরিক হয়ে সহানুভূতি দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য: শাজাহান মুক্তি লাভের পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। সর্বশেষ সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে গত সোমবার ভোর সাড়ে তিনটায় তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় বাড়ির মালিক তাকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি করার সাড়ে তিন ঘণ্টার মাথায় চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ প্রহনের জন্য প্রস্তুত হয় স্বজনরা। কিন্তু এতে বাঁধ সাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এদিকে শাহজাহানের মরদেহ ঢাকা থেকে এনে রাত দশটায় জানাজা শেষে দাফনের ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও থানা পুলিশের বাধার কারণে সোমবার মরদহে আনা সম্ভব হয়নি। যার ফলে দাফন কাজ করা যায়নি। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শাহজাহানের মরদের ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন কর্তৃপক্ষ এবং হ্বেলা সাড়ে ১২ টায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বেলা দুইটা গড়িয়ে এলে শাজাহানের মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। একটা সময় দেশের আলোচিত এক ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া শাহজাহানকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে উঠে আসেন তার স্বজন ও আশপাশ লোকজন।
বিকেলে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার ভগ্নিপতির কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শাহজাহানের প্রতিবেশী ভাগ্নে এস এম আলমগীর গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং দোয়া কামনা করেন।

;

নোয়াখালীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেফতার ১৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সুধারাম থানা

ছবি: সুধারাম থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত সুধারাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রব চৌধুরীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পল্লী বিদ্যুতের দুটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মতিন। সে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক বকসির ছেলে এবং স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা বাজার থেকে মতিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানার এএসআই আবদুর রব চৌধুরী। এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান বকসির অন্য ছেলেরা তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পুলিশের সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মতিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে একই দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনেক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সাথে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক বকসিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন,পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করলে আসামির পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ ১৪জনকে গ্রেফতার করে। সাবেক চেয়ারম্যান বকসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ১৪জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে।

;

বাড্ডায় লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আরাফাত (৩৭)। তিনি নড়াইল সদরের বাহিরগাঁও গ্রামের আব্দুর রব শিকদারের ছেলে। এ ঘটনা ঘাতক লরি চলককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনবাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী ।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক পরিবহনটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আরাফাত মোটরসাইকেলে বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিং এ পৌঁছানো মাত্র একটি মালবাহী লং ভেহিকেল তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পরে নতুন বাজারের দিকে চলে যায় ঘাতক পরিবহনটি। ঘটনাস্থলেই ভিকটিম মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মগজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘাতক লং ভেহিকেলটি পালানোর সময় সুবাস্তুর সামনে অপর একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। এসময় ড্রাইভার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।

;

লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৫) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার সংবাদ আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

তিনি বলেন, আজ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের ফোনে আসে রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  পরে ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম যায়। আমাদের টিম তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্যাস লাইনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সামনের রাস্তার মাটির নিচে থাকা তিতাসের লাইনে আগুন লাগে। দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলায় রাস্তা গরম হয়ে যায়৷ স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাস্তার মাটি সরিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;