ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা



মেহেদী হাছান মাহীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, ঢাকা
ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের দিন পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ মুহূর্তে আসন্ন এই ঈদকে কেন্দ্র করে হাটগুলোতে চলছে গবাদি পশু বিক্রি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর হাটসহ বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কোরবানি পশুর হাট। ক্রেতারা কোরবানির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দের গরু-ছাগল ও ভেড়া। ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে বড়, মাঝারি এবং ছোট সাইজের পশু কিনছেন। কিন্তু, পশু বিক্রি করলেও তেমন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ক্রেতা কম থাকায় অনেক ব্যবসায়ী লোকসানেও বিক্রি করেছেন পশু। 

মাতুয়াইল থেকে বাবা মো. শাহজাহানের সাথে যাত্রাবাড়ী হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছেন মো: রাকিব। চারদিন ধরে দুইটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন তিনি। ঈদের আগের দিনেও গরু বিক্রি না হওয়ায় চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে রাকিবের। রাকিব নিজ বাড়িতে গরু দুইটি পালন করে আসছেন। শখের দুটি গরুকে বিক্রি করতে না পারায় মন খারাপ তার।

গরু বিক্রি না হওয়া প্রসঙ্গে রাকিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবারের হাটে অন্যান্য বছরের তুলনায় আশানুরূপ ক্রেতা আসেনি, যারা এসেছেন তারাও গরুর দাম একেবারেই কম বলেন। এর চাইতে কসাইয়ের কাছে গরু বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাবো। ক্রেতার কাছে গরু দুইটির মূল্য চেয়েছে ৩ লাখ টাকা। কিন্তু, কোনো রকমের সাড়া না পেয়ে গরুগুলোকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাকিব।

রাকিব আরও বলেন, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে গরু দুইটাকে লালন-পালন করে আসছি।


এ-পর্যন্ত গরু দুইটির পেছনে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো খরচ করেছি। কিন্তু, হাটে নিয়ে আসার পর ক্রেতারা একেবারেই কম দাম বলছে।

একইরকম অভিজ্ঞতা কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মো. রুবেল মিয়ার। টানা তিন বছর যাত্রাবাড়ী হাটে তিনি তার গরু নিয়ে আসেন। এবারের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা তিনবছর পশুর হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছি আমি। তবে, গত দুই বছরের তুলনায় এবারের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে খারাপ। গো-খাদ্যের প্রচুর দাম হওয়ার কারণে এবারে গরুর দাম বিগত কয়েকবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, মাত্র দুইদিন হয়েছে আমি এখানে এসেছি। এই হাটে মোট ১২ টা গরু নিয়ে এসেছি। তারমধ্যে একেবারেই সীমিত লাভে মাত্র ৪ টি গরু বিক্রি করেছি। খামার থেকে যাত্রাবাড়ী পশুর হাটে আসতে এপর্যন্ত আমার ২৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।    

কমলাপুর হাটেও দেখা যায় একই চিত্র। হাট ফাকা তবে ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে নেই আনন্দের ছাপ। এই হাট ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয় মো. আনোয়ারুল হোসেনের সাথে। জামালপুর থেকে ১২টি গরু নিয়ে ৪ দিন আগে এসেছেন কমলাপুর পশুর হাটে। মোট ২৫ লাখ টাকার গরু নিয়ে এসেছেন। ১২ টি গরুর মধ্যে গতকাল রাতে তিনি ৪টি গরু সীমিত লাভে বিক্রি করে দিয়েছেন। ঈদের আগের দিনও হাটে ক্রেতা কম দেখে ৫ টি গরু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লসের মধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন।

লোকসানে গরু বিক্রি করে হতাশায় ভুগছেন আনোয়ার। তিনি বলেন, যে পরিমাণ আশা করেছি তার কিছুই হয়নি। যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে কিছুই হবে না। এখনও ৩টি গরু বাকি আছে। বিক্রি না হলে আবার নিয়ে যেতেও খরচ। এবারে ঈদ আর ঈদ রইল না।


কেন লোকসান?

যাত্রাবাড়ী হাটের গরু বিক্রেতা মো: রাকিব বলেন, ২০২৩ সালে গো খাদ্যের দামের তুলনায় এই বছর গো খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। আগে এক বস্তা ভুসির দাম ছিল ১৯০০ থেকে ২০০০ টাকা। কিন্তু, এখন তা প্রায় ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য গরুকে বিভিন্ন ধরণের সবজি-ফলমূল খাওয়াতে হয়। সেই খাবারের দামও আগের থেকে অনেকগুন বেড়েছে।

একই বিষয়ে কমলাপুর হাটের গরু বিক্রেতা মো: আনোয়ার বলেন, দিন যত যাচ্ছে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সবাই বলে খামারিরা বাড়তি দাম বলে কিন্তু কেন বাড়ায় এটা জিজ্ঞেস করে না! আগে মাসে কারেন্ট বিল আসতো ৩০০ টাকা এখন তা বাইড়া আসে ৫০০ টাকা।

ক্রেতারা খুশি

গেন্ডারিয়ার এলাকাবাসী মুফিদুল ইসলাম। গত দুদিন ধরে হাট ঘুরছিলেন। আজ একটি ষাড় গরু নিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে।

বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, সাধ্যের মধ্যে আজকে গরুটি কিনতে পারলাম। গত দুদিনের চেয়ে আজ দাম অনেকটাই কম। দামের তারতম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে গরুর দাম খামারিরা বেশি চায়নি। কিন্তু আমাদেরওতো আর বেতন বাড়ে না। সারাবছর টাকা জমাই কোরবানির জন্য। তবে দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়লে এই খামারিরা আরও মাঠে মারা যাবে। এর প্রভাব আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের উপরেই পড়বে। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের আরও যত্নবান হওয়া উচিত।

   

জল্লাদ শাহজাহানের দাফন সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

ছবি: জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান এর জানাজা নামাজ শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার নিজ এলাকা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলিয়া ফুটবল খেলার মাঠে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ শেষে ইছাখালীস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা নামাজে পলাশ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কারি উল্লাহ সরকার, পলাশ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক জাকির হোসেন মৃধা, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাহানের স্বজন আলমগীর সহ প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লী জানাজা নামাজে অংশ নেন। নামাজের পূর্বে শাহজাহানের ভাগনে মোঃ নজরুল ইসলাম তার মামার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া শাহজাহানের জীবদ্দশায় কারো সাথে কোন দেনা পাওনা থাকলে তা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় স্থানীয়দের মুসল্লী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভীর এড়াতে শাহজাহানের মরদেহ কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।

জানাজা নামাজের পূর্বে ভাগ্নে নজরুল ইসলাম ছাড়াও মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন, কারিউল্লাহ সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, আমান উল্লাহ ভুইয়া হিরন ও আলমগীর।

এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র জীবনে শাহজাহান একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন যার ফলে তিনি কিছুদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরী করেন। পরবর্তীতে তার জীবনে আর সুখ সইলো না। মামলার বেড়াজালে জেলে যেতে হল।

জেলে গিয়ে এক পর্যায়ে সাঁজার মেয়াদ কমাতে ফাঁসি দেয়ার দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ মানবতাবিরোধী মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ দেশের আলোচিত বেশ কয়েকটি মামলার ফাঁসির রায় কার্যকর করে জল্লাদ হিসেবে দেশব্যাপী আলোচনা আসেন। দীর্ঘ ৩৪ বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি লাভ করেন। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর তার জন্মভূমি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন শাহজাহান। জেল থেকে মুক্তি লাভের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক বছরের ব্যবধানে তিন চার বার বাড়িতে আসেন শাহজাহান কিন্তু আশেপাশের লোকদের সাথে তেমন সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখেননি।

শাহজাহানের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর তেমন কোন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও জীবনের শেষ বেলায় জানাজার নামাজে শরিক হয়ে সহানুভূতি দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য: শাজাহান মুক্তি লাভের পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। সর্বশেষ সাভারের হেমায়েতপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে গত সোমবার ভোর সাড়ে তিনটায় তিনি বুকের ব্যথা অনুভব করেন। এ সময় বাড়ির মালিক তাকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি করার সাড়ে তিন ঘণ্টার মাথায় চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ প্রহনের জন্য প্রস্তুত হয় স্বজনরা। কিন্তু এতে বাঁধ সাদে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এদিকে শাহজাহানের মরদেহ ঢাকা থেকে এনে রাত দশটায় জানাজা শেষে দাফনের ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও থানা পুলিশের বাধার কারণে সোমবার মরদহে আনা সম্ভব হয়নি। যার ফলে দাফন কাজ করা যায়নি। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শাহজাহানের মরদের ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন কর্তৃপক্ষ এবং হ্বেলা সাড়ে ১২ টায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বেলা দুইটা গড়িয়ে এলে শাজাহানের মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হয়। একটা সময় দেশের আলোচিত এক ব্যক্তিতে পরিণত হওয়া শাহজাহানকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে উঠে আসেন তার স্বজন ও আশপাশ লোকজন।
বিকেলে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার ভগ্নিপতির কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শাহজাহানের প্রতিবেশী ভাগ্নে এস এম আলমগীর গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং দোয়া কামনা করেন।

;

নোয়াখালীতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেফতার ১৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সুধারাম থানা

ছবি: সুধারাম থানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত সুধারাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুর রব চৌধুরীসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পল্লী বিদ্যুতের দুটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মতিন। সে আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক বকসির ছেলে এবং স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা বাজার থেকে মতিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে সুধারাম থানার এএসআই আবদুর রব চৌধুরী। এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানায় নিয়ে আসার পথে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান বকসির অন্য ছেলেরা তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পুলিশের সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মতিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে একই দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১৪জনেক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সাথে সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক বকসিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন,পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করলে আসামির পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ ১৪জনকে গ্রেফতার করে। সাবেক চেয়ারম্যান বকসিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ১৪জনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে।

;

বাড্ডায় লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আরাফাত (৩৭)। তিনি নড়াইল সদরের বাহিরগাঁও গ্রামের আব্দুর রব শিকদারের ছেলে। এ ঘটনা ঘাতক লরি চলককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনবাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী ।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক পরিবহনটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আরাফাত মোটরসাইকেলে বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিং এ পৌঁছানো মাত্র একটি মালবাহী লং ভেহিকেল তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পরে নতুন বাজারের দিকে চলে যায় ঘাতক পরিবহনটি। ঘটনাস্থলেই ভিকটিম মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মগজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘাতক লং ভেহিকেলটি পালানোর সময় সুবাস্তুর সামনে অপর একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। এসময় ড্রাইভার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।

;

লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

ছবি: আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৫) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুন লাগার সংবাদ আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

তিনি বলেন, আজ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের ফোনে আসে রাজধানীর লালমাটিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  পরে ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম যায়। আমাদের টিম তিতাস গ্যাসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্যাস লাইনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের সামনের রাস্তার মাটির নিচে থাকা তিতাসের লাইনে আগুন লাগে। দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলায় রাস্তা গরম হয়ে যায়৷ স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাস্তার মাটি সরিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

;