শোধন ছাড়াই ‘সুপেয়’ পানি সরবরাহ করছে রাজশাহী ওয়াসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
শোধন ছাড়াই ‘সুপেয়’ পানি সরবরাহ করছে রাজশাহী ওয়াসা। ছবি: বার্তা২৪.কম

শোধন ছাড়াই ‘সুপেয়’ পানি সরবরাহ করছে রাজশাহী ওয়াসা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী ওয়াসার ৫টি পানি শোধনাগারের মধ্যে ৪টিই পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর থেকে বিকল। যে শোধনাগারটি চালু আছে, সেটাও চলে বছরের মাত্র ৪ মাস। ফলে কোনো প্রকার শোধন ছাড়াই রাজশাহী বিভাগীয় শহরের ৪ লাখ ৪ হাজার ২১০ জন গ্রাহককে কথিত সুপেয় পানি সরবরাহ করছে সংস্থাটি।

গ্রাহকদের অভিযোগ, রাজশাহী ওয়াসা থেকে সরবরাহকৃত পানি খাওয়াতো দূরের কথা, গোসল পর্যন্ত করা যায় না। ফুটিয়ে পাত্রে রাখলেও পানির ওপরে সাদা স্তর জমে। যা দেখলে খাওয়ার রুচি হয় না। শুধুমাত্র ঘর মোছা, কাপড় ও থালা-বাসন ধোয়া যায় ওয়াসার পানি দিয়ে। ফলে গ্রাহকরা ক্রমে ওয়াসার পানি ব্যবহারে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে।

তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি- কোনো স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা হলেও তাদের সরবরাহকৃত পানি রোগ-বালাইমুক্ত। নিজস্ব পরীক্ষায় তারা এমনটি দাবি করছে। একই সঙ্গে দ্রুত বিকল শোধনাগারগুলো চালু করে পরীক্ষিত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে বলেও দাবি সংস্থাটির কর্মকর্তাদের।

জানা গেছে, ২০১১ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পানি সরবরাহ বিভাগ থেকে পৃথক হয়ে যাত্রা শুরু করে ‘রাজশাহী ওয়াসা’। সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল- রাসিকের পানি সরবরাহ বিভাগের থেকে অধিক স্বাস্থ্যকর এবং সুপেয় পানি মহানগরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। তবে মহানগরীর সচেতন বাসিন্দারা বলছেন- গত আট বছরে সেই লক্ষ্য পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি।

ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৩০ জন অধিবাসীর রাজশাহী শহরে ওয়াসার পানি সরবরাহের আওতায় এসেছে ৪ লাখ ৪ হাজার ২১০ জন গ্রাহক। মহানগরজুড়ে ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইন রয়েছে ৭১২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এর ৯৬ শতাংশই আসছে ভূ-গর্ভ থেকে। শতকরা হিসাবে পানির কাভারেজ ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। দৈনিক ৫ দশমিক ১০ কোটি লিটার পানি বিক্রি করছে ওয়াসা। সংস্থাটি দিনে ১২ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করে থাকে। তবে এ পানির মান নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/19/1555669582660.gif

মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে জানান, ওয়াসা থেকে যে পানি দেয়, তাতে ময়লা ছাড়াও প্রচুর আয়রন থাকে। পাত্রে সংরক্ষণ করলে লাল স্তর পড়ে যায়। ফুটিয়ে পান করতে গেলে দেখা যায় নিচে সাদা স্তর।

রাণীনগর এলাকার গৃহবধূ সাজেদা আক্তার জানান, লাইনের (ওয়াসার) পানি দিয়ে শুধু ধোয়া-মোছার কাজ করা যায়। ওই পানিতে গোসল করাও যায় না। টানা ১০ দিন গোসল করলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। বিমানবন্দর রোড, সপুরা থেকেও কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহের অভিযোগ আছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বার্তা২৪.কমকে জানান, ত্রুটিপূর্ণ সংগ্রহ, শোধন ও সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে ওয়াসার পানি সুপেয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি সমস্যার একটি দিক। তবে সরবরাহ লাইন সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা গেলে এবং রাসায়নিকভাবে শোধন না করলে বিপদ দ্বিগুণ হবে।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আব্দুল হামিদের কার্যালয়ে গিয়েও দেখা মেলেনি। শুক্রবার সকালে তার ব্যক্তিগত নম্বরে কল করলে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আঞ্চলিক গবেষণাগারের সিনিয়র কেমিস্ট শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, দক্ষিণ এশিয়ার স্ট্যান্ডার্ড বিবেচনায় রাজশাহী ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি মোটামুটি বিশুদ্ধ বলা চলে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তবে নিজস্ব পরীক্ষায় ওয়াসার পানিতে পানিবাহিত রোগবালাইয়ের জীবাণু মেলেনি।

   

চট্টগ্রামে শিশুসহ মাকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুসহ তার মাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তাকে আটক করা হয়েছে। তবে কখন, কোথায় থেকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে।

রাত ১০টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেয়ামত উল্লাহ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক আছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী এজাহার সাবমিট করতেছে। এজাহার হাতে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

;

সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে আনিশবা (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনিশবা একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম লিটনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় শিশুটি বাহিরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। পরবর্তীতে বাড়ির পুকুরে আনিশবাকে ভাসতে দেখেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;

সিলেটে তালিকা হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের টিম লিডার ও পৃষ্টপোষকদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে নগরীতে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চালাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম। তাদের অপকর্মে নগরীর বাসিন্দারা অনেকটা অসহায়। তবে এবার কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা থামাতে টিম লিডার ও তাদের পৃষ্টপোষকের তালিকা তৈরি করতে সিলেট নগরীর ৬ থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো.জাকির হোসেন খান, পিপিএম।

সম্প্রতি এসএমপি সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে আলোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে গত ১৮ মে সিলেট নগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতার বিষয়টি আইজিপি’র (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) নজরে নিয়ে আসেন সিলেট বিশিষ্টজনেরা। বিশিষ্টজনেরা বলেন, সিলেটে কিশোর গ্যাং সদস্যরা নানামুখী অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের কারণে সরকারি বিভিন্ন অর্জনও ম্লান হতে চলেছে। কাজেই, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের এখনই মোক্ষম সময়।

জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। আপনার সন্তান কার সাথে মিশছে এবং নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কী না-সেদিকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

জানা যায়, সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার, নাগরী চত্বর, দরগাহ গেইট, সুবিদবাজার, শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়া মায়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, মনোয়ার সিএনজি পাম্পের সামনে, লামাবাজার, মির্জাজাঙ্গল, কুয়ারপার, ওসমানী মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, শামীমাবাদ, উপশহর ডি ব্লক ৩১নং রোডসহ বিভিন্ন এলাকা কিশোর গ্যাং সদস্যদের তৎপরতা দেখা যায়। ওই এলাকাগুলোতে কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা বসে এবং ছিনতাই থেকে শুরু করে সব ধরণের অপরাধের সাথে জড়াচ্ছে।

গত ৩মে আধিপত্য নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছের কিশোর মোহাম্মদ আলী নিশো। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে কিশোর গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকতেন। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামী।

এদিকে, মঙ্গলবার (২১মে) সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার মো.জাকির হোসেন খান, পিপিএম’র সভাপতিত্বে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় পুলিশ কমিশনার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হালনাগাদ তালিকা ও তথ্যাদি প্রণয়ন করা, কিশোর গ্যাংয়ের নাম, তাদের লিডারদের নাম এবং পৃষ্টপোষকের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।

কিশোরগ্যাং সংক্রান্তে নিয়মিত চিঠি প্রেরণ, মিটিং করতে ও কোথায় মিটিং হয় তার ছবি প্রেরণের করতে বলেন পুলিশ কমিশনার। স্থানীয় পত্রিকাতে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশেষ করে শাহপরাণে কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করতে ওসি শাহপরাণকে নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও নগরীর যেসকল স্থানে কিশোর গ্যাং কর্তৃক অপকর্ম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে সমস্ত স্থানে পুলিশের নজরধারী বাড়ানোর জন্য সকল থানার ওসিদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

;

নিউমার্কেটে ফের চসিকের অভিযান, দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় ফের উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এসময় ফুটপাত ও সড়ক থেকে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদসহ পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনের নেতৃত্বে অভিযান চলে।

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ জানান, নিউমার্কেট মোড়, স্টেশন রোড, জুবিলি রোড, অমরচাঁদ রোডে অভিযানে ফুটপাত ও সড়ক থেকে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদসহ পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়। অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহায়তা দিয়েছে।

;