তদন্ত বিশ্বমানের না হওয়ায় সাজার হার কম: দুদক চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ডটকম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সংস্থার তদন্তের মান যদি বিশ্বমানের হতো তাহলে হয়তো সাজার হার শতভাগে উন্নীত হতো। তাই কমিশন নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউএসএআইডি-এর কনসালট্যান্ট এবং গভর্নেন্স অ্যাডভাইজর রুমানা আমিন অর্চির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি একটি গভর্নেন্স ইস্যু এবং এর নিয়ন্ত্রণ করাও অত্যন্ত জটিল। দেশের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনীতিবিদ, আমলা, সুশীল সমাজ, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী, এনজিও, ব্যবসায়ীসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই বর্তমান কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যক্তির ভূমিকাকে গৌণ করে পদ্ধতিগত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার আগেও দুর্নীতি দমনে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। তারপরও কেন কমিশন করা হলো? মূলত দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে উন্নত কর্মকৌশল প্রয়োগ করে সমন্বিত এবং পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা এবং সমাজের সর্বস্তরে প্রবাহমান একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবিরোধী সংস্কৃতির চর্চা এবং এর প্রসার সুনিশ্চিত করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান কমিশন সবচেয়ে বড় সংস্কার করেছে অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গ্রেডিং সিস্টেম প্রবর্তন করে। এখন কমিশনের যে কেউ ইচ্ছা করলেই নির্ধারিত নম্বরে কল পেলেই অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করতে পারবেন না। একইভাবে সম্পদ পুনরুদ্ধার ইউনিট, গোয়েন্দা ইউনিট, সশস্ত্র ইউনিট, হাজতখানা ইত্যাদি সৃষ্টি করে কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ‘কমিশনের তদন্তের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার জন্য কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কমিশনের মামলায় সাজার হার বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি উন্নীত হয়েছে,’ যোগ করেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, সরকারি সেবা প্রদানের প্রক্রিয়াকে পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে ঘুষ, দুর্নীতি, দীর্ঘসূত্রিতা এবং জনহয়রানি লাঘবের লক্ষ্যে কমিশন ২৮টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবাখাতে কমিশন প্রণীত বেশকিছু সুপারিশ সরকার এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিদ্যমান বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া শুধু মামলা-মোকদ্দমা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে না। কমিশন স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের কল্যাণমূলক কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গণ-শুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এতে স্থানীয় সরকারি সেবা প্রত্যাশী জনগণ এবং সেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংযোগের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা অনুধাবন করছেন জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। এতে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জনগণের কণ্ঠ উচ্চ হচ্ছে।

যা দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রশংসাও পাচ্ছে। শুদ্ধাচার বিকাশ কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন সততা স্টোর স্থাপন, সততা সংঘ গঠন ইত্যাদি কার্যক্রমও অবহিত করেন দুদক চেয়ারম্যান।

   

বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে তিনি ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি ঘটনা আছে। পূর্ববর্তী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষ যখন আদালতে আসে, সেখানে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার কোনো জায়গা থাকেনা। তখন প্রধানমন্ত্রী সহানুভূতিশীল হয়ে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তারই অংশ বগুড়ার এই ন্যায়কুঞ্জ। প্রায় এক বছর আগে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিলো। সারা দেশে ২ ধরনের ন্যায়কুঞ্জ আছে ৮০০ বর্গফুট ও এক হাজার বর্গফুট আয়তনের। বগুড়া জেলা বড় বিধায় এখানে এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জ নির্মিত হয়েছে। যেসকল বিচারপ্রার্থী মানুষ বগুড়ার আদালতে আসেন তারা যেন সাচ্ছন্দে এখানে বসতে পারেন, বিশ্রাম ও পানি পান করার সুযোগ পান এই উদ্দেশেই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মানুষের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাদের জন্য ন্যায় বিচার সেই বিচারপ্রার্থী মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বিচার বিভাগকে যেমন চিন্তা করতে হয়; একই সঙ্গে রাষ্ট্র অবশ্যই তা চিন্তা করে। আর রাষ্ট্র চিন্তা করে বলেই বিচার বিভাগের প্রস্তাবে সরকার সাড়া দেওয়ায় ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের শাসনের অধিকার প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান এই অধিকারকে নিশ্চিত করেছে। যারা বিচারপ্রার্থী মানুষ এখানে আসবেন, স্বাক্ষী দিতে যারা আসবেন তারা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এমনকি জামিনে থাকা আসামীরাও এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এতে করে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। এক সময় আমরা দেখতে পাব বিচার কাজের মন্থরগতি কমে গেছে, বিচার গতি পেয়েছে এবং বিচারকাজ গতিময়তার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আমরা বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে চাই এবং এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক অভিভাষণ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. শহিদল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা জজ) শরনিম আকতার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আশিকুল খবির, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজবৃন্দ, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকগণ ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য একটি ওয়েটিং রুমে বসার জন্য ৭২টি সিট রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দুগ্ধপোষ্য শিশু ও মায়ের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রয়েছে। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা শৌচাগারসহ জরুরী প্রয়োজনে খাবার কেনার জন্য আলাদা ফুড কর্নারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই ন্যায়কুঞ্জে। প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেছে বগুড়ার গণপূর্ত বিভাগ।

;

পাইলট সংকটে বিমান



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ/বার্তা২৪.কম

গ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বৈমানিক সংকটে ভুগছে। বৈমানিক স্বল্পতায় বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি নতুন কোনো রুটে ফ্লাইট চালু কিংবা চলমান রুটগুলোতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে পারছে না। এতে করে বিমানের ইচ্ছে থাকা সত্বেও লাভজনক রুটেও বাড়াতে পারছে না ফ্লাইট সংখ্যা।

বর্তমানে বিমানে বৈমানিক সংখ্যা ১৮৬ জন। তবে তাদের প্রয়োজন প্রায় ২৫০ জন বৈমানিক। অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সে এখনো ৬০ জনের বেশি বৈমানিক কম রয়েছে।

বৈমানিক সংকট কাটাতে বিমান সম্প্রতি আবারও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তবে এবার ঠিক কতজন নেওয়া হবে সেই সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।

এর আগে, বিমান ড্রিমলাইনার ৭৮৭ এর জন্য ১৮ জন বৈমানিক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। কিন্তু আবেদন জমা পড়ে মাত্র ১৬টি। এরপর সব প্রক্রিয়া শেষে যোগদান করে মাত্র ৪ জন বৈমানিক। এর মধ্যে মাত্র দুই মাসের মধ্যে তিনজন আবার বিমানের চাকরি ছেড়ে দেয়।

সদ্য বিদায়ী বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম এয়ারলাইন্সটিতে যোগদানের পরপরই ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৭৭, ৭৮৭ এবং ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বৈমানিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। মার্চে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ করা যায়নি।

ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষের আগেই ইতোমধ্যে বিমান নারিতা, গুয়াংজু, চেন্নাই ও রোমে ফ্লাইট চালু করে। এরপর গত মে মাসে শফিউল আজিম বিদায় নেওয়ার পরেও বিমান এখন পর্যন্ত বৈমানিক নিয়োগের কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। কিন্তু আগের বৈমানিক দিয়ে নতুন করে চারটি রুটে ফ্লাইট চালু করেছিলেন তিনি।

নাম না প্রকাশের শর্তে বিমানের একজন বৈমানিক এই প্রতিবেদককে বলেন, বিমানের চাকরির প্রতি বৈমানিকেরা আগ্রহ হারাচ্ছে। এর প্রধান কারণ আর্থিক প্যাকেজ প্রতিযোগিতামূলক নয়। বিমান অবশ্য মনে করে শুধুমাত্র আর্থিক প্যাকেজই একমাত্র বিষয় নয়। এর সাথে আরও কারণ রয়েছে।

বিমানে বৈমানিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ জটিল কারণ এর সঙ্গে বিভিন্ন স্বার্থ জড়িত, যা একটি বড় সমস্যা। এর সাথে আরও কিছু বিষয়ও রয়েছে; যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। বিমানে স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং কিছু বৈমানিক অন্যভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

যাই হোক, বৈমানিক সমস্যার সমাধান করতে বিমান ক্যাডেট পাইলট নিয়োগ দিচ্ছে। তাছাড়া বিমান ২০৩৪ সালের মধ্যে আরও ২৬টি উড়োজাহাজ কিনলে নতুন করে কমপক্ষে ৩০০ বৈমানিক প্রয়োজন হবে। বিমান ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোতে প্রায় ৪০ জন বৈমানিক প্রয়োজন রয়েছে।

বিমানের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এত সংখ্যক বৈমানিকের পদ শূন্য রেখে বিমানের মতো একটি বৃহৎ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনা দুরূহ।

এ বিষয়ে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) বোসরা ইসলামের কাছে বক্তব্য জানতে চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত প্রশ্ন পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

;

নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো.হাবিবুর রহমানকে (২১) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১

তিনি উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের রশিদপুর গ্রামের কালাগাজী বেপারী বাড়ির মৃত মো. মোস্তাফার ছেলে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি হাবিবুর রহমান ভিকটিমের প্রতিবেশী হয়। ভিকটিম রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ভিকটিমকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল হাবিবুর। আসামির পরিবারকে একাধিকবার বিষয়টি জানালেও আসামির পরিবার কোন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয়রা ভিকটিমের মরদেহ একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাগানের আমগাছের নিচে পড়ে থাকতে দেখে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভিকটিম প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে আসামি হাবিবুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে ভিকটিম স্কুল থেকে একাকী আসার পথে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর স্থানীয় বেগমের পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে লাশ ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে আসামি ১৮ বছরের কম হওয়ায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, আসামি জামিন পেয়ে পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‍্যাব-১১ নোয়াখালীর আভিযানিক দল পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে দেশি অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী জসিম ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) কর্ণফুলী থানাধীন মহলখান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- কর্ণফুলী থানাধীন উত্তর বন্দর এলাকার মৃত নসু মিয়া ওরফে নজু মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দিন ওরফে টুয়েন্টি জসিম (৩৮) এবং বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামের দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. সেলিম (২৮)।

র‌্যাব-৭ জানায়, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাদক কেনাবেচার উদ্দেশে মহলখান এলাকায় অস্ত্রধারী মাদক কারবারিরা অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে অভিযান চালিয়ে জসিম ও সেলিম নামে দুই অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার এবং তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন মাদক কারবারিদের মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও বহনে নিরাপত্তা দিতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল আলম বলেন, গ্রেফতার জসিমের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানায় মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি ও চুরির ৫টি এবং সেলিমের বিরুদ্ধে নগরীর পতেঙ্গা থানায় ২টি মামলা রয়েছে। দুজনকে পরবর্তী আইগত ব্যবস্থা নিতে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;