ঈদের আগে দৌরাত্ম্য বেড়েছে জাল নোট চক্রের!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর জুড়েই রাজধানীসহ সারা দেশে কমবেশি সক্রিয় থাকে জাল নোট তৈরির বেশ কয়েকটি চক্র। চলমান সব ধরনের নোট জাল করে নানা কৌশলে তা বাজারে ছাড়ছে চক্রগুলো। আর এসব চক্রকে রুখতে সারা বছরই অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

তবে ঈদকে সামনে রেখে জাল নোট তৈরির চক্রগুলো সব থেকে বেশি সক্রিয় থাকে। যেকোনো উৎসবকে প্রাধান্য দেয় এই চক্রগুলো। এ সময় তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে বাজারে মোটা পরিমাণে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা করে।

পুলিশের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ইতোমধ্যে তিনটি অভিযানে এক কোটি ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চক্রের ৯ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে, জাল নোট চক্রের কারণে ঈদকে সামনে রেখে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের টার্গেট করে চক্রটি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বছর জুড়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই চক্রের সদস্যরা ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের আগে তারা রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অবস্থান নেয়। বাসা ভাড়া নিয়ে গোপনে জাল টাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করে। সেখানেই কোটি কোটি টাকার জাল নোট তৈরি হয়। তবে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে তারা নিয়মিত বাসাও পরিবর্তন করে।

আরও জানা গেছে, কয়েকটি স্তর অবলম্বন করে জাল নোট তৈরি ও সেটা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। চক্রগুলোর মূল হোতা বা প্রথম সারিতে যারা থাকেন তারা বিভিন্ন কারখানায় এসব নোট তৈরি করে। পরে দ্বিতীয় স্তরে বিভিন্ন কায়দায় এসব টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই স্তরের অধিকাংশ সদস্য নারী। আর তারা গ্রেফতার হলে মূল হোতারা আইনি সহায়তার মাধ্যমে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

জাল নোটের চক্রদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন ডিবি কর্মকর্তা জানান, অভিযানে জাল নোট চক্র সদস্যদের গ্রেফতার করা হলেও কিছুদিন পর তারা জামিনে মুক্তি পায়। পরে তারা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মাহবুবুর আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রতারক চক্র জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়। এবারো তারা নানা কায়দায় জাল নোট বাজারে ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ডিবি পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে। এই চক্রকে প্রতিহত করতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।

এদিকে ঈদের আগে জাল নোট চক্রদের দৌরাত্ম্য বাড়ায় নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি সচিবালয়ে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাল টাকার বিস্তার রোধে পুলিশ ও র‌্যাবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ওই বৈঠকে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে যেকোনো বে-আইনি কাজ রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করবে। ঈদে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। বিভিন্ন শহরে ব্লক রেইড দেওয়া হবে। ঢাকায় প্রবেশ ও বাহির পথে চেকপোস্ট থাকবে। এছাড়া চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জাল টাকার বিষয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় দেশের ৫৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের জন্য বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

   

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন



স্পেশাল করেমপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণ কলেজছাত্র ইমন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিহত তরুণের পরিচয় মিলল। তাঁর নাম আজিজুল হাকিম ইমন। তিনি নগরের সদরঘাটের ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন ইমনের পরিবারের সদস্যরা। 

ইমনের ছোট ভাই রেজাউল হাকিম ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফেসবুকে ভাইয়ের ছবি দেখে এলাকার লোকজন আমাদের খবর দেন। পরে আমি নিজেও ফেসবুকে দেখি। এরপর হাসপাতালের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছি। কীভাবে ভাইয়ের এমন পরিণতি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।'

তবে কিছুদিন ধরে ইমন মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন রেজাউল। বলেন, ভাই নিজে নিজে কথা বলতেন। নানা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এ জন্য চিকিৎসাও চলছে। সোমবার জোহর নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুজি করেও পাইনি। বাসা থেকে এতদূরে কীভাবে গেলেন বুঝতেছি না।'

ইমনদের বাসা রামপুর ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকায়। আর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাসার প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরের আছাদগঞ্জের চাক্তাই খাল থেকে।

খাল থেকে মরদেহক উদ্ধারের সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চার যুবক ডুব দিয়ে এক যুবককে তুলে টেনে খালের পাড়ে নিয়ে আসেন। পরে পাড়ে থাকা লোকজনের সহায়তায় ওই যুবককে খাল থেকে তুলে আনা হয়। তখনও যুবক বেঁচে ছিলেন বলে একজনকে বলতে শোনা যায়। যদিও তরুণটি ছিলেন নিস্তেজ।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর বলেন, ‘সোমবার বিকেলে চাক্তাইখালে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এ সময় এক যুবককে খালে পড়ে যেতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই যুবক কীভাবে পড়লেন তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।’

কোতোয়ালী থানা পুলিশের এসআই বাবুল পাল জানিয়েছেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে আছাদগঞ্জ থেকে চামড়া গুদামের দিকে যেতে দেখা যায়। এর কয়েক মিনিটের মাথায় স্থানীয় লোকজনকে চিল্লাচিল্লি করতে দেখা যায়। কয়েকজনকে খালে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায়। এর আগে ওই যুবক খালে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাবুল পাল আরও বলেন, কলাবাগিচা খাল ও চাক্তাইখালের সংযোগস্থলে একটি ব্রিজ রয়েছে। সেখানে পাশে সংকীর্ণ একটি উন্মুক্ত জায়গায় লোকজন প্রস্রাব করেন। বৃষ্টিতে খালের পাড় পিচ্ছিল ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক ওখানে প্রস্রাব করতে গিয়ে খালে পড়ে স্রোতে তলিয়ে যান।

;

ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী

ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, একটি আদর্শ ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রভাব সূদূরপ্রসারী।

তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানে আলোকিত করার পাশাপাশি তাদের আচরণগত উৎকর্ষ সাধন এবং নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে বিশেষ প্রভাব ফেলে।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম অডিটোরিয়ামে 'টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভূমিকা' বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, মসজিদ-মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে বসে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা লাভের সুযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষার মেলবন্ধনে শিক্ষার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়। সমাজের সমস্ত জরা-ব্যাধি প্রতিরোধ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এরূপ শিক্ষা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার নিরিখে কাজ করে যাচ্ছে। গত দেড় দশকে জাতির সামনে তিনি ৩টি উন্নয়ন পরিকল্পনা পেশ করেছেন। রূপকল্প-২০২১ এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার সফল হয়েছে। বাংলাদেশ স্বপ্লোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।

মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, কাউকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসডিজি’র অন্যতম মূলনীতি হলো কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের মূল ফোকাসটা এখানেই। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সকল ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ন্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে চারিদিকে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় লক্ষণীয়। দুর্নীতি-সন্ত্রাস, ঘুষ, কালোবাজারি, মজুতদারি, ভেজাল প্রভৃতি ব্যাধি সমাজে জেঁকে বসেছে। এই ব্যাধির করাল গ্রাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে এই প্রকল্পটির উপযোগিতা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটা অবশ্যই আমলে নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সৎ ও একনিষ্ঠ থাকতে হবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আরমা দত্ত, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষেন্দু কুমার পাল ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কাযক্রম (৬ষ্ঠ পযায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ।

উল্লেখ্য, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পযায়) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রকল্পের সহকারী পরিচালক, মাস্টার ট্রেইনার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিক্ষকমন্ডলী ও সাংবাদিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে তিনজনের মৃত্যু

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, পটুয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে তিনজনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে তিনজনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। 

নিহতরা হলেন কলাপাড়া উপজেলার মো. শরীফ (২৭), বাউফল উপজেলার করিম আলী (৬৫) ও দুমকি উপজেলার জয়নাল হাওলাদার (৭০)।

সোমবার (২৭ মে) রাতে জেলা দুর্যোগ ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের বোন ও ফুফুকে বাঁচাতে গিয়ে মো. শরীফ (২৭) নামের একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (২৬ মে) দুপুরে কলাপাড়া উপজেলায় ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরীফ অনন্তপাড়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমাল চলাকালীন গাছ চাপায় বাউফল উপজেলার রনাজিরপুর ইউনিয়নের ধানন্দী গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে করিম আলী (৬৫) ও দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানী এলাকার আজিজ হাওলাদারের ছেলে জয়নাল হাওলাদার (৭০) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের দাফন কাফনের জন্য তাৎক্ষণিক সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

;

খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক

খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

সোমবার (২৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর  দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দু’দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আজ এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ হতে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ হতে চাল আমদানি করছে না তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে। ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবি এর আওতায় ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে ৫ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আ্ওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএস এর আওতায় চাল আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করছে। এছাড়া বছরে  প্রতি ইউনিয়নে ৭-৮ হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে; তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।

ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।

এসময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

;