শাস্তি পাচ্ছেন বিমানের সেই পাইলট
![ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ/ ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Jun/09/1560067799287.jpg)
ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ/ ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পাসপোর্ট না নিয়ে কাতার চলে যাওয়া ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় এরই মধ্যে এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
যদিও বলা হচ্ছে এটি একান্তই ব্যক্তির ভুল, এর সাথে এয়ারলাইন্সের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এতে এয়ারলাইন্সের সংশ্লিষ্টতা থাকুক আর না থাকুক ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ যে নিয়ম ভেঙেছেন এটি স্পষ্ট। আর এজন্য তাকে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পেতেই যাচ্ছে এমনটি আভাস পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
গত ৫ জুন পাসপোর্ট ছাড়াই ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার নিয়ে দোহা যান। ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়া পাইলটের এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়, প্রশ্ন উঠে প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিয়েও। কোনো কোনো গণমাধ্যমে এমনও প্রতিবেদন আসে যে ঐ পাইলট আটক হয়েছেন। এ অবস্থায় বিমান এই ঘটনায় একটি ব্যাখ্যা দেয়। তবে ঐ ব্যাখ্যায় পাইলট পাসপোর্ট ছাড়া কিভাবে ইমিগ্রেশন পার হলেন, সেই ব্যাখ্যা নেই।
এই ঘটনায় এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগমকে প্রধান করে চার সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই জন যুগ্ম-সচিবকে রাখা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিমান বলছেন, ৬ জুন সন্ধ্যায় কাতারের রাজধানী দোহায় ঐ পাইলটের পাসপোর্ট প্রেরণ করা হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কোনো জটিলতা ছাড়া ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় চলে যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাসপোর্ট না নিয়ে কাতার যাওয়া প্রসঙ্গে ঐ পাইলট বলেছেন, তিনি পাসপোর্ট নিতে ভুলে গিয়েছেন। বিমান ও ঐ পাইলট যে ব্যাখ্যাই দেন না কেন এটি দেশের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গের শামিল। ঐ পাইলটকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এ সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মূলত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিমানের এক পাইলট নাম প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কিছু ব্যক্তিক্রম ছাড়া কোনো দেশে ফ্লাইট নিয়ে যেতে সাধারণত পাইলটদের ভিসা লাগে না। তবে পাসপোর্ট অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হয়। নতুবা ওই পাইলটকে সংশ্লিষ্ট দেশে ঢুকতে দেওয়া হয় না।’
বিমানের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘যতই বলা হোক না কেন এটি ব্যক্তি ফজল মাহমুদের ভুল, সামগ্রিকভাবে এটি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের অব্যবস্থাপনারই উদাহরণ। সুতরাং এর দায় প্রতিষ্ঠানকেও নিতে হবে, শুধু ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে রেহাই পাবে না বিমান।’