অবৈধ পুকুর খনন

মোহনপুরে দু’বছরে ফসলি জমি কমেছে ১১০০ হেক্টর



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
মোহনপুরে পুকুর খনন চলছে, ছবি: বার্তা২৪

মোহনপুরে পুকুর খনন চলছে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি অধ্যুষিত জেলা রাজশাহীর সবচেয়ে ছোট আয়তনের উপজেলা মোহনপুর। এখানে ধান, পান, গম ও আমের চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী- ২০১৬ সালে মোহনপুরে ফসলি জমি ছিল ১২ হাজার ৪৩২ হেক্টর। তবে ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩২০ হেক্টরে।

স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলাজুড়ে বাণিজ্যিক পুকুর খননের কারণে কমছে ফসলি জমি। জোর করে কৃষকদের কাছ থেকে জমি নিয়ে পুকুর খনন করছে প্রভাবশালী একটি মহল। পুকুর খননকারীরা মাঠের মাঝামাঝি স্থানের কোনো জমি টার্গেট করেন। সেই জমির মালিককে অর্থের প্রলোভনে জমি কব্জা করেন। ওই জমিতে পুকুর খনন শুরু করলে তখন বাধ্য হয়ে আশেপাশের কৃষকরাও তাদেরকে জমি দিয়ে দেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561023543558.JPG

কৃষকদের অভিযোগ- তারা এ বিষয়ে কৃষিবিভাগ ও বরেন্দ্র বহমুখী প্রকল্পসহ (বিএমডিএ) স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে উঁচু জমির ফসলহানির পাশাপাশি জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে রয়েছে তিন শতাধিক বাড়িঘর।

এদিকে, গত ১০ মার্চ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানওয়ার হোসেন। এরপরও থেমে নেই প্রভাবশালী মহলের পুকুর খনন।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি মৌসুমে যেসব পুকুর খনন শুরু করা হয়েছে, তা শেষ হলে ফসলি জমি কমবে আরও ৭০০ হেক্টর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে উপজেলায় ফসলি জমির অস্তিত্ব থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, অন্তত দশটি পুকুর খননের কাজ পুরোদমে চলছে। দিনরাত প্রায় ২৪ ঘণ্টায় এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। প্রতিটি পুকুরের আয়তন ২০ বিঘা জমি থেকে ৮০ বিঘা পর্যন্ত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেশরহাটের পৌর এলাকার মগরা বিলে আলমগীর হোসেন, ধুরইল বিলে বাবু ও লিখন, বিদ্যাধরপুর বিলে শাফিউল আলম, তেঘর মাড়িয়া বিলে এনামুল হক ও রানা হোসেন এবং শিবপুর বিলে নাজমুল হোসেন জমি লিজ নিয়ে পুকুর খননের কাজ করছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561023561855.jpg

তারা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপি ও জামায়াতের কিছু নেতাও বেশি টাকা দিয়ে এদের সঙ্গে শেয়ারে পুকুর খননে যুক্ত হচ্ছেন। ফলে অনেক সময় পুকুর বন্ধে মাঠে নেমে ব্যবস্থা নিতে গেলেও রাজনৈতিক প্রভাবে নিস্ফল ফিরে আসতে হচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

উপজেলার বাকশৈল গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান, সাদেকুর রহমান ও রাশেদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, উপজেলার কয়েকটি বিলে তিন ফসলি জমিতে পুকুর করে আবাদি জমি প্রায় শেষ। খালের মাঝে পুকুর খনন করে বাঁধ দেওয়ায় পানি বের হয় না। জলাবদ্ধতায় ধান নষ্ট হয়ে যায়। গত মৌসুমে কৃষকের দুর্দশা দেখে এমপি আয়েন উদ্দিন নিজে পানিতে নেমে পুকুরের পাড় কেটে পানি বের করার ব্যবস্থা করেন। কয়েকদিন পরে পুকুর মালিকরা আবার পাড় বেঁধে দেন। বারবার তো আর এমপি আসতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে তাদেরকে (পুকুর খননকারী) জমি দিয়ে দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে পুকুর খননকারী আলমগীর হোসেন ও এনামুল হক দাবি করেন, চাষাবাদ ভালো না হওয়ায় জমির মালিকরা ডেকে পুকুর খননের জন্য জমি দিচ্ছেন। কৃষকদের জমির খাজনা পরিশোধের পাশাপাশি সাংবাদিকসহ স্থানীয় প্রশাসনকেও ম্যানেজ করতে হয়। অল্প জমিতে পুকুর খননে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একসঙ্গে বেশি জমি হলে ভালো হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561023602206.JPG

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘মোহনপুর ছোট আয়তনের একটি উপজেলা। এখানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফলে কৃষি ভূমির পরিমাণ দিন কমে আসছে। হুমকির মুখে পড়ছে এখানকার প্রধান ফসল পান ও ধানের চাষ। এ ধরনের পুকুর খনন বন্ধের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছে উপজেলা কৃষিবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাক আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পুকুর খননের খবর পেলেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ করছি। তারা রাতের আঁধারে পুকুর কাটছে, ফলে প্রতিরোধ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে কিছুটা রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে।’

তবে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি।

   

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে 'রিমাল'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার (২৬ মে) দুপুর ২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।

এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটেও এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে রিমালের প্রভাবে কুয়াকাটা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর ও আশে পাশের এলাকায় প্রচন্ড বাতাস বইতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। জান মালের নিরাপত্তায় উপকূলবর্তী সকলকে নিরাপদ স্থানে যাওয়া অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রিমালের গতিবেগ ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০ কি.মি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকুলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকুলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

রিমালের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর,ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

রিমালের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। 

;

‘অনলাইন হলেও বিডার অনেক সেবা নিতে সশরীরে যেতে হয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওএসস সম্পূর্ণ অনলাইন নির্ভর হলেও এখনও অনেক সেবা নিতে বিনিয়োগকারীকে সশরীরে যেতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

রোববার (২৬ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কনফারেন্স হলে সংস্থাটির ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক সভার শুরুতে সালমান এফ রহমান এই অভিযোগ জানান।

এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয়-বিভাগের সচিববৃন্দসহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।

কোভিড ও ইউরোপে যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন,ফেডারেল রিজার্ভ ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে দিল। এর ফলে ডলারের দাম বেড়ে গেলো, আর তাতে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপ পড়লো। কমডেটি, সার ও জ্বালানির দাম বেড়ে গেলো। যে তিনটা জিনিস আমরা আমদানি করি, সেগুলোর দাম অনেক বাড়ল। আমাদের অর্থনীতির ওপরেও চাপ বাড়লো।

অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলা ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ওএসস সেবাগুলো দিতে পারলে আমরা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারবো।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ২০১৯ সালে বিডা অনলাইনভিত্তিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের কার্যক্রম চালু করে এ পর্যন্ত ৪৮টি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে ৪১ সংস্থার ১০১ সেবা বিডার ওএসএস -এ যুক্ত হয়েছে। বিডার নিজস্ব ২৩ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১০১টি সেবাসহ বিডা বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের ১২৪টি সেবা প্রদান করে আসছে। ৪১ সংস্থার মধ্যে ৩০টি সংস্থার সব সেবা ইতোমধ্যে বিডা ওএসএস এ যুক্ত হয়েছে, বাকি ১১টি সংস্থার ২২টি সেবা দ্রুতই বিডা ওএসএস যুক্ত হবে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকারী ৪৮ সংস্থার মধ্যে ৭ সংস্থার কোন সেবাই এখনো বিডা ওএসএস-এ যুক্ত হয় হয়নি, এখানে ২০টি বিনিয়োগ সেবা যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ থেকে শুরু করে বিডা এ পর্যন্ত ওএসএস প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিডার নিজস্ব ১৪৪,৬০৪ সেবা এবং অন্যান্য প্রটিষ্ঠানের ১,৮৯৪টি বিনিয়োগ সেবা প্রদান করেছে।

;

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৬ মে) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ভোর রাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়াবাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোররাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামের এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। এ সময় সে মারা যায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, নিহত আহাদ শরীফ বাহিনীর সদস্য ছিল। তবে তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

;

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: লক্ষ্মীপুরে লোকজনকে সর্তক করে নৌ-পুলিশের মাইকিং



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সর্তক করে মাইকিং করা হচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে উপজেলার বড়খেরী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করছে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

ওই এলাকাটি বঙ্গোপসাগরের খুব কাছাকাছি হওয়ায় যে কোন ঝড়ের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'র ক্ষতির হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মাইকিং করেছি। উপকূলীয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল'র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষসহ গবাদিপশু রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।

সভায় জানানো হয়, দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

;