সাঈদ খোকনের উদাসীনতায় আলেমদের ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলেমরা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলেমরা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'সকাল এগারোটা থেকে বসে আছি। মেয়রের আসার নাম নেই'- রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরভবনের ডানপাশের বিশাল করিডরে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন একজন ইমাম।

জোহরের নামাযের ওয়াক্তও শুরু হচ্ছে। ইমামের চোখে মুখে তখন স্পষ্ট বিরক্তি।

ঘটনার সূত্রপাত রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনে।

কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে মসজিদের খতিব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় ও অ্যারোসেল স্প্রে বিতরণ সভার আয়োজন করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দক্ষিণ সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডের ইমাম, খতিবদের নগর ভবনে সকাল ১১টায় আমন্ত্রণ জানানে হয়। কয়েকশ খতিব ও ইমাম তাই যথাসময়ে হাজির হন নগরভবনে। কিন্তু এরপর শুরু হয় অপেক্ষার গল্প। ঘড়ির কাটায় সময় বয়ে যায়, মেয়রের দেখা নেই। আমন্ত্রিত অতিথিদের শুধুই অপেক্ষা।

অগোছালো আয়োজন, মেয়রের উদাসীনতা নিয়ে আমন্ত্রিতদের অনেকেই বিরক্ত, অধৈর্য্য। এক পর্যায়ে তাদের কেউ কেউ অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যেতে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। বেইজ্জতির আশঙ্কায় প্রমোদগুনতে থাকেন নগর ভবনের কর্মকর্তারা। অনেকে তখন আলেমদের বুঝিয়ে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564912628154.jpg

এমন পরিবেশে দুপুর পৌনে একটায় অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন নগর দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। ঢিলেঢালা সাদা ট্র্যাকস্যুট, সাদা টি-শার্ট, সাদা ক্যাপ মাথায় দিয়ে মেয়র খোকন মঞ্চে উঠে উপস্থিত ইমামদের হাত তুলে সালাম জানান। এরপর তরঘড়ি করে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সঞ্চালক শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ঘোষণা দেন। শুরু হয় তেলাওয়াত, বাধে বিপত্তি।

কারণ, অশুদ্ধ উচ্চারণে সেই তেলাওয়াত শুনে মঞ্চের সামনে থেকে আলেমরা হইচই করে ওঠে। আলেমদের হঠাৎ হট্টোগোলে চমকে ওঠে মেয়র খোকন। কয়েকমুহূর্ত  সবাই যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

তারপর আলেমদের বিক্ষোভে যেন নাস্তানাবুদ হতে না হয় সেজন্য মেয়র দ্রুত মাইক টেনে নিয়ে বলেন, 'কি ভুল পড়ছে, ভুল পড়ছে। দাঁড়ান এক্ষুণি পাল্টে দিচ্ছি'।

এরপর আলেমদের একজন প্রতিনিধি গিয়ে নতুন করে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন। সেই তেলাওয়াতের পর মাশাল্লাহ বলে উচ্ছ্বাস জানান উপস্থিত আলেমরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564913781194.jpg

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১ টা থেকে আলেমরা নগরভবনে অপেক্ষা করলেও মেয়র সকালে শান্তিনগরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ নিয়েছিলেন। এরপর নগরভবনে ফিরে নিজের কক্ষেই মিটিং ও বিশ্রামে ব্যস্ত ছিলেন। এছাড়া যে ব্যক্তিকে দিয়ে অশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত করানো হয় তিনি কোন আলেমও নয়, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ছিলেন।

কোরআন তেলাওয়াতের পর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার পরে মেয়র বক্তব্য দেন। এরপর মেয়র দুই তিনজন ইমামকে কথা বলার জন্য ফ্লোর ওপেন করে দিলে অনুষ্ঠানের বিলম্বে শুরু হওয়া, মেয়রের দেরি হওয়া নিয়ে একজন ইমাম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে ১১ টায় আসতে। আপনি এলেন দেড়টায়। আমাদেরকে এরপর ভবিষ্যতে ডাকা হলে যেন সঠিক সময়টাই বলা হয়। তাহলে আমাদের হয়রানি হতে হয় না।

তখন মেয়র বিড়ম্বনার জন্য আলেম সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন হবে না বলেও জানান।

এরপর দ্রুতই মোনাজাত করে মেয়র কয়েকজন ইমামের হাতে অ্যারোসোল স্প্রে তুলে দিয়ে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিদায় নেন তিনি।

আর এভাবেই প্রায় ২ ঘণ্টা সবাইকে অপেক্ষায় রাখলেও ৪৫ মিনিটের মধ্যে মেয়রের মতবিনিময় সভা শেষ হয়।

   

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কবি পরিবার



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কবি পরিবার।

শনিবার (২৫ মে) সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে কবির নাতনি খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী কবি পরিবারের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান।

কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর পর কবির নাতনি খিলখিল কাজী বলেন, প্রতিবছরই আবেদন থাকে, জাতীয় কবির জন্মদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক। সকল বাঙালির কাছে কাজী নজরুল পৌঁছে যাক। নজরুল রচনাবলি অনুবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সবার দায়িত্ব। এটা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক। ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে’ গানটি জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করা দরকার। এটা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গান।

প্রসঙ্গত, বাংলা বিদ্রোহী কবিতা ও গানের বুলবুল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৫ মে) অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ) বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

;

ভয়ংকর আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক থেকে উপকূলের আরও কাছে আসছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শনিবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি ওমানের দেয়া, যার অর্থ ‘বালু’।

সর্বশেষ সামুদ্রিক বার্তার তথ্যানুযায়ী গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার রাতে (২৪ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, রোববার (২৬ মে) রেমাল খুলনা থেকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে আঘাত হানতে পারে। অপেক্ষাকৃত বেশি এলাকা ধরে ঘূর্ণিঝড়টির বিস্তৃতি থাকতে পারে। সমুদ্র উপকূলের সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

রেমাল হতে পারে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়

আবহাওয়াবিদদের মতে, সামুদ্রিক ঝড়ে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। আর গতিবেগ যদি ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন সেটি হয় ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’। আর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তখন সেটিকে ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা এর বেশি হলে তা হয় ‘সুপার সাইক্লোন’।

;

বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্রোহ, প্রেম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ। দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম মূলত বিদ্রোহী কবি হলেও কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। চির প্রেমের এ কবি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন।

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল তার সাহিত্যের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপজীব্য। আর তাই ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে এবার। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক।’

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২৫ থেকে ২৭ মে) অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। এছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের নেতৃত্বে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবির সমাধিতে অর্পণ করা হবে পুষ্পস্তবক।

এছাড়া ময়মনসিংহ ও জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে। কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

শনিবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। এছাড়া বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত নজরুল প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সকাল সোয়া ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় কবির সমাধিতে যাবেন। পরে তারা জাতীয় কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে তার লেখনী। তার কবিতা ও গান যুগ যুগ ধরে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে মানুষকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়িও দেন কবির জন্য। 

;

নরসিংদীতে প্রার্থী হত্যার ঘটনায় আল্টিমেটাম, হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যাকারী রুবেলকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু।

রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার জানাজা শেষে সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু জানাজায় আগতদের সামনে এসব কথা বলেন।

প্রার্থী সুমন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। এদিকে প্রার্থী নিহতের ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে এ উপজেলার সকল পদের নির্বাচন।

প্রার্থী সুমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন দলীয় কর্মী ও স্বজনেরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় অভিযুক্ত আবিদ হাসান রুবেলসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য। এতে ব্যর্থ হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এসময় এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু আরও বলেন, 'গুলশানের একটি বাসায় দুইদিন বসে এই হামলার ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল একটি বাজে ছেলে, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বাবাও খুনি, আর খুনির ছেলে খুনিই হয়। রুবেল প্রকাশ্যে বলেছিল সুমনকে ছাড়া যাবে না, যেভাবেই হউক সুমন যেন ফিরে যেতে না পারে। আজকে কোথায় সে(রুবেল)? লেজ গুটাইয়া পালিয়েছে। যে রুবেলকে ধরিয়ে দিতে পারবে তার ১ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করছি। বিনা চিকিৎসায় সুমন মারা গেছে, এর বিচার চাই আমি।'

এমপি আরও বলেন, তিনি ৫৩ বছর রায়পুরায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কোনোদিন সন্ত্রাসী লালন করেননি। তিনি কাউকে ভয় করেন না। রায়পুরায় কোনো সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। এমপি রাজিউদ্দিন প্রশাসনকে লক্ষ করে বলেন, তিনি আন্দোলনে যেতেন। খবর পাওয়া গেছে রুবেল মালয়েশিয়া পালানোর চেষ্টা করছে। কোনোদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাননি তিনি, প্রশাসনকে দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশনা দেন, নতুবা রায়পুরাকে শান্ত করা যাবে না বলে জানান। কিন্তু ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের ধরতে না পারলে জেলা উত্তাল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ঘোষণা করেন। 

;