চক্ষু শিবিরে ২০ জনের চোখ হারানোর করুণ কাহিনী



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
দিনমজুর আহাম্মদ আলী (৫০) বাম চোখে ঝাপসা দেখতে থাকেন কয়েক মাস আগে। এক পর্যায়ে তা প্রকট আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে যান। এ জন্য তাকে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ সংগ্রহ করতে হয়। চোখ ভালো না হলে তার কর্মহীন থাকতে হবে এই আশঙ্কায় তিনি ঋণ করেই চিকিৎসার টাকা জোগাড় করেন। ৫ মার্চ তার বাম চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। বিপত্তি ঘটে তার পরই। ভুল চিকিৎসার কারণে এখন চোখটিই তুলে ফেলতে হয়েছে তাকে।চক্ষু শিবিরে ২০ জনের চোখ হারানোর করুণ কাহিনী শুধু চুয়াডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আহাম্মদ আলী নন; ওই জেলার মোট ২০ জন নারী-পুরুষের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের চক্ষু শিবিরের অপারেশনে। তাদের মধ্যে ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে। এরা সবাই গরিব। তাই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন। তারা বলছেন, তাদের প্রায় সবারই 'দিন আনি দিন খাই' অবস্থা। গ্রামে থাকেন; শহরে এলেও সেখানে চলাফেরায় অভ্যস্ত নন। ইম্প্যাক্ট হেল্‌থ সেন্টারের বিরুদ্ধে তারা লড়বেন কী করে? এমনকি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যন্ত এসব ঘটনা জেনেও নীরব। সমকালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমুনিটি হেল্‌থ সেন্টারে তিন দিনের চক্ষু শিবিরের দ্বিতীয় দিন ৫ মার্চ ২৪ জন নারী-পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। তবে বাসায় ফিরেই ২০ জন রোগীর চোখে ইনফেকশন দেখা দেয়। এসব রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ মার্চ অপারেশনের পর ৬ মার্চ তাদের প্রত্যেককেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ওই দিনই কারও বিকেলে, কারও সন্ধ্যায়, কারও বা রাত থেকে চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা ও পানি ঝরতে শুরু করে। পরদিনই তারা যোগাযোগ করেন ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে। তাদের তখন গুরুত্ব না দিয়ে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু যন্ত্রণা অসহনীয় হয়ে উঠলে ফের তারা ইম্প্যাক্টে যান। সেখান থেকে তখন কয়েকজন রোগীকে স্থানীয় এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এদের মধ্যে চারজন রোগী নিজেদের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্বজনদের নিয়ে ঢাকায় আসেন। পরে ইম্প্যাক্ট থেকে ১২ মার্চ একসঙ্গে ১৬ জন রোগীকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ৫ মার্চের ওই অপারেশনের ফলে এদের চোখের এত ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে যে, ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে। ১৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে খামারবাড়ির ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে নয়জন এবং ২০, ২১ ও ২২ মার্চে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের দৃষ্টি চক্ষু হাসপাতালে ১০ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়। এ ছাড়া হায়াতুন (৬০) নামে এক নারীর অপারেশন করা বাম চোখের অবস্থাও ভালো নয়। ঢাকায় দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করলেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি তার। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সর্বশেষ ২৫ মার্চ ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চোখ তুলে ফেলতে হয় হানিফা বেগমের (৬৫)। ২৬ মার্চ সরেজমিন দেখা যায়, নিচতলার ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তিনি। পাশে থাকা তার মেয়ে হালিমা বেগম সমকালের সঙ্গে মায়ের চোখের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে ৫ মার্চ তার মায়ের বাম চোখের ছানি অপারেশনের পর ৬ মার্চ ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন তাকে গ্রামের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরিতে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই তার মায়ের চোখে অসহনীয় যন্ত্রণা শুরু হয়। চোখ থেকে পানিও ঝরতে থাকে। পরদিন ইম্প্যাক্টে যোগাযোগ করলে বলা হয়- ওষুধ খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ৯ মার্চ মাকে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে তার মাকে চুয়াডাঙ্গার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ফকির মহাম্মদের কাছে রেফার করা হয়। রোগীর চোখের অবস্থা ভয়াবহ দেখে ওই চিকিৎসক তাকে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। ১২ মার্চ ঢাকার খামারবাড়ির ইস্পাহানী ইসলামিয়া হাসপাতালে হানিফাকে ভর্তি করেন স্বজনরা। ওই দিনই তার চোখের অপারেশন করা হয়। পরে আরও একটি অপারেশনের তারিখ দেওয়া হয় সেখান থেকে। ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ায় ২৫ মার্চ অপারেশন করে চোখটি তুলে ফেলতে হয়। এর আগে একই কারণে এই হাসপাতালে আরও আটজন রোগীর চোখ তুলে ফেলতে হয়। ইস্পাহানী ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক গাজী নজরুল ইসলাম ফয়সাল ২৭ মার্চ সমকালকে বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জরুরি রোগী ইসলামিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট থেকে যেসব রোগী এসেছিলেন, তাদের অপারেশন করা চোখটিতে 'ইনডোপথালমাইটিস' নামের জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছিল। অপারেশনের সময় অসতর্কতা, ব্যবহূত যন্ত্রপাতি অপরিস্কার ও ওষুধসহ বিভিন্ন কারণে এ ইনফেকশন হতে পারে। তবে রোগীদের আরও আগে ঢাকায় আনা হলে হয়তো চোখ বাঁচানো যেত। সমকালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই ২০ রোগীর সবাই দরিদ্র। কেউ স্বজনের কাছে ধারদেনা করে, কেউ বাড়ির ছাগল-মুরগি বিক্রি করে, কেউ বা এনজিও থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে ভর্তি হয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে। সেখানে অপারেশনের পরই তাদের চোখে ইনফেকশন হয়। পরে অপারেশন হওয়া চোখ তুলে ফেলতে হয়। তবে ঢাকার হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা ব্যয় দিয়েই নিজেদের দায় সেরেছে ইম্প্যাক্ট। যদিও সংশ্নিষ্টদের বিচার ও চিরদিনের জন্য অন্ধত্বের ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। 'লোন তুলে চোখের অপারেশন'  নিজের ভিটেও নেই বৃদ্ধ আহাম্মদ আলীর। অন্যের জমিতে দিনমজুরি করতেন তিনি। দুই মেয়ে এক ছেলে তার। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ১০ বছরের ছেলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। আহাম্মদ আলী বলেন, 'চিকিৎসা করার টাকা ছিল না। সমিতি (এনজিও) থেকে লোন তুলে ৫ মার্চে ইম্প্যাক্টে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে চোখের অপারেশন করি। আমার চোখ ভালো হওয়া তো দূরের কথা, চিরদিনের জন্য এক চোখ কানা হয়ে গেল! আমি এখন কাজ করতে পারি নে। লোনের টাকা দিয়ে সংসার চালাই, প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিই। এই টাকা শেষ হয়ে গেলে কী করব বুঝতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।' 'আমার মায়ের চোখ ফেরত চাই' চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদির হায়াতুনের (৬০) অপারেশন করা বাম চোখের অবস্থাও ভালো নয়। ঢাকায় দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি তার। ইম্প্যাক্টের পক্ষ থেকে তার খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তার মেয়ে ফরিদা খাতুন। ফরিদা ২৬ মার্চ সমকালকে বলেন, 'ভালো করার জন্য আমার মায়ের বাম চোখ অপারেশন করিয়েছিলাম। এখন চোখটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রক্ত পড়ছে। ডান চোখেও পানি পড়ছে। দেখতে পাচ্ছেন না। যন্ত্রণায় কাঁদছেন সব সময়। আমরা গরিব মানুষ। কী করব বুঝতে পারছি না। আমি আমার মায়ের চোখ ফেরত চাই।' 'ভিক্ষে করতে হবে, না হলে আত্মহত্যা' অপারেশনের পর ডান চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে আলমডাঙ্গার স্বর্ণপট্টির চা দোকানি অবণি দত্তের (৭০)। তা ছাড়া বাম চোখেও ঝাপসা দেখছেন। তিনি বলেন, 'জমিজমা নেই। চায়ের দোকান করেই সংসার চালাতাম। এখন দোকান চালাতে পারি না। ছোটো ছেলে মাধব কাপড়ের দোকানে কাজ করে যে টাকা পায়, তাতে সংসার চলে না। আমাকে ভিক্ষে করতে হবে, না হলে আত্মহত্যা। ছেলে আর ক'দিন দেখতে পারবে?' আরও যে ১৬ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে, তারা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা গ্রামের ফাতেমা খাতুন (৬০), পৌলবাগুন্দার খবিরন নেছা (৫৭), বারাদি এনায়েতপুরের কৃষক খন্দকার ইয়াকুব আলী (৬২), রংপুর গ্রামের ইখলাস আলী (৪০), ঘোলদাড়ির উষা রানী (৬৫), খাসকওরা গ্রামের লাল মোহাম্মদ (৭০), নাইন্দিহাউলির কুটিয়া খাতুন (৪৫), দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের তায়েব আলী (৬০), চিৎলা গ্রামের নবিছদ্দিন (৬০), বড়বলদিয়া গ্রামের আয়েশা খাতুন (৭০), পারকেষ্টপুরের শ্রী মধু হালদার (৫০), মজলিশপুরের শফিকুল (৫৫), কোমরপুরের গোলজান (৬০), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের গোলজার হোসেন (৭০), আলোকদিয়ার ওলি মোহাম্মদ (৭০) এবং জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের আজিজুল হক (৭৫)। ইম্প্যাক্ট কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ এ ঘটনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাসিব মাহমুদ। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে তারা এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এই প্রথম এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল। এতে তারা মর্মাহত। তিনি বলেন, ৪, ৫ ও ৬ মার্চ চক্ষু শিবির করে মোট ৬০ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয় চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্টে। ৫ মার্চ ২৪ জনের মধ্যে ২০ জনের চোখে ইনফেকশন হয়। ইম্প্যাক্টের খরচে এসব রোগীকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইনফেকশনের কারণেই ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে। হায়াতুন নামের আরেক রোগীর চোখের চিকিৎসা চলছে। ডা. হাসিব মাহমুদ বলেন, ১৩ মার্চ আইসিডিডিআরবি'র ল্যাবে পরীক্ষা করে জানা গেছে, অপারেশনের সময় ব্যবহূত 'ট্রাইপেন ব্লু'তে একটা জীবাণু পাওয়া গেছে। সেটি থেকে এই ইনফেকশন হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আইরিসের কাছ থেকে ট্রাইপেন ব্লু সংগ্রহ করে। বিষয়টি আইরিসকে জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে আইরিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ইম্প্যাক্ট থেকে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। ট্রাইপেন ব্লু তিনি ভারত থেকে আমদানি করেন। আইসিডিডিআরবি'র দেওয়া রিপোর্ট ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনা জানেন না সিভিল সার্জন : চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে অপারেশন করা রোগীদের এসব তথ্য তিনি জানেন না। কেউ তার কাছে অভিযোগও করেননি। এক পর্যায়ে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, 'ইম্প্যাক্টের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কেউ সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দিয়েছেন।' তাকে তখন জানানো হয়, ইম্প্যাক্টে অপারেশন করা রোগীদের পরে ঢাকার দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাদের চোখ তুলে ফেলার তথ্য সমকালের কাছে রয়েছে। সিভিল সার্জন তখন বলেন, 'এত কিছু তো জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
   

এমপি আনারের মাংস কেটে করা হয়েছে কিমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের একাংশ বুধবার (২২ মে) উদ্ধারের একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালায় সিআইডি।

মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এদিন রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত জিহাদকে নিয়ে কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি করে সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ জানিয়েছে, এমপিকে হত্যার পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে ফেলে। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে নেয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরণের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেয়। কিমা করার জন্য মুম্বাই থেকে কসাই এনে মাংস কাটায় হত্যাকারীরা।

পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বক্তব্য যাচাই করতে এবং শরীরের বাকি অংশগুলো উদ্ধার করতে তার জন্য বারাসাত আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন জিহাদ হাওলাদার একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করতো ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করতো।

জানা গেছে পরিকল্পিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

;

এমপি আনার হত্যার নেপথ্যে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তে বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসছে।

তদন্তকারীদের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার সোনা ও হুন্ডির ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধীদের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে ভারতে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৩০ এপ্রিল কিলিং মিশন বাস্তবায়নকারী সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুলকে নিয়ে ভারতের কলকাতায় যান মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহিন। নিউমার্কেট এলাকা থেকে ছুরি, চাপাতিসহ হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিয়ে রাখেন নিউটাউন অভিজাত এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনসে। আগে থেকেই হত্যার ছক আঁকা থাকায় আমান দফায় দফায় রিহার্সেল করেন তার সহযোগীদের সঙ্গে।

তার অংশ হিসেবেই পরিকল্পিতভাবে ছোটবেলার বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহিন এমপি আনারকে ভারতে নিয়ে বিনিয়োগের টাকা ফেরত দিতে বলেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। মৃতের পরিচয় যাতে বোঝা না যায় তাই তারা শরীরের হাড় ও মাংস আলাদা করে ফেলেন। এর পর হাড় ও মাংস টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে সব কিছু পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাটের বাইরে গিয়ে ফেলে দেয়।

এমপি আনার খুনের ঘটনায় কলকাতার সিআইডি ইতোমধ্যেই তিন জনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এক জন জুবেরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কী কারণে সেই সাক্ষাৎ সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খুনের কিনারা করতে সিআইডির একটি দল বৃহস্পতিবারই ঢাকা আসে। তারা ঢাকায় আটকদের জেরা করবেন।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম। প্রথমে তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরের এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখান থেকে দু’দিন পর নিখোঁজ হয়ে যান। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই বন্ধু। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যেরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে যোগাযোগ করা হয় ভারত সরকারের সঙ্গে। তার পর সংসদ সদস্যের খোঁজ শুরু হয়।

সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, সংসদ সদস্য আনার কলকাতায় আসার অনেক আগেই এখানে চলে এসেছিলেন অভিযুক্তেরা। শহরে বসেই তারা খুনের ছক কষেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। দুই অভিযুক্ত কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে ছিলেন গত ২ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ১২ তারিখ কলকাতায় আসেন সংসদ সদস্য আনার। অর্থাৎ, তার আসার অন্তত ১০ দিন আগে কলকাতায় এসে পড়েছিলেন ওই দুই অভিযুক্ত। তারা হোটেল ছাড়েন আজিম আসার এক দিন পরেই। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ১০ দিন ধরে শহরে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তেরা।

;

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও নৌকার মাঝি মনির!



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জীবন নামক শব্দে আছে অনেক উত্থান-পতন। দুঃখ-কষ্ট, আশা-হতাশা যার নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন নৌকায় বসে বৈঠা হাতে পাড়ি দিতে হয় অকূল দরিয়া। আর জীবনের উত্থান পতনের করুণ পরিণতি মেনে নিয়ে, বাস্তব জীবনে নৌকার বৈঠা হাতেই বুড়িগঙ্গার ঘাটে কাটছে তার দিন রাত। ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে চলছে জীবন। তবে জীবনের সূত্রগুলোর সাথে এমন করুণ সমীকরণ মেলাতে পারেন না মনির।

স্বপ্নগুলো ভেঙে গেছে জীবন নদীর আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউয়ে। সেই ঢেউয়ের প্রভাবে পেয়েছেন ধোঁকা, লাঞ্ছনা, আর হতাশা। তাই তো জীবন বাঁচাতে দেশের সব থেকে বড় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়েও আজ সদরঘাটের মাঝি হয়েছেন মনির। মা, বউ ও একমাত্র মেয়ের মুখে ভাত তুলে দিতে নদীর ঢেউয়ের সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করছেন এ যুবক।

তবে জীবনের এমন করুণ পরিণতি না হলেও পারত আক্ষেপ মনিরের। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সহজিকরণ ও চাকরি ব্যবস্থায় দুর্নীতি না থাকলে আজ হয়ত নৌকার বৈঠা বাইতে হতো না এমন অভিযোগ মনিরের।

নৌকার বৈঠা হাতেই বুড়িগঙ্গার ঘাটে কাটছে তার দিন রাত

কেন এমন অভিযোগ মনিরের?

কারণ জানতে চাইতেই আক্ষেপের সুরে মনির বলেন, বাবা ছিলেন কৃষক। নুন আনতে পান্তা ফুরাতো পরিবারে। ছোটবেলা থেকে বাবার সাথে কাজ করতাম। তবে বুক ভরা স্বপ্ন ছিল। পড়ালেখা করে ভালো চাকরি করব। পরিবারের হাল ধরব। তবে সে স্বপ্নের পথে বার বার বাধা এনেছে অভাব অনটন আর আর্থিক দৈন্য। তবুও সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এইচএসসি পাস করি ৪ দশমিক ৫৬ জিপিএ পেয়ে। স্বপ্ন দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। শিক্ষক ও আশেপাশের মানুষজন বলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেই নাকি জীবনে আর পিছনে তাকাতে হয় না। চাকরি মেলে। স্বপ্নের জীবন পাওয়া যায়। সে স্বপ্ন বুকে লালন করে সুযোগ পাই ভর্তির। তবে টাকার অভাবে ভর্তির সুযোগ কাজে আসছিল না। বাবা একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে আমাকে ভর্তি করিয়েছিলেন স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

মনির বলেন, ভর্তির পর ৫-৬ মাস আমার রাস্তায় কেটেছে। ঢাকার কিছু চিনতাম না। আর সবার মতো আমার টাকাও ছিল না। অনেক চেষ্টা করেছি হলে একটা সিটের জন্য। স্যারদের বললে বড় ভাইদের সাথে যোগাযোগ করতে বলত। চেষ্টা করেও পাইনি স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট। ক্লাস বাধ্যতামূলক থাকায় রাতে ইটভাটায় কাজ নিয়েছিলাম। তবে কাজ করে দিনে ক্লাস করতে পারতাম না। এভাবেই থমকে গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুযোগ। পরে ২০১৪ সালে বরিশালের বিএম কলেজ থেকে ডিগ্রি শেষ করে প্রায় ২০০ চাকরিতে আবেদন করি। ইন্টারভিউ দিয়েছি প্রায় ৪০টা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তবে বার বার উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাইনি।

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নৌকায় মানুষ পারাপার করছেন মনির

প্রতিটা সেক্টরে হয়ত টাকা, নয়তো মামা-চাচা না থাকায় চাকরি বঞ্চিত হয়েছি আমি। বাবা মারা যাওয়ার পর কোন দিশা না পেয়ে আমি পরিবার বাঁচাতে হাতে তুলে নিই নৌকার বৈঠা।

মনিরের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলার বিসারকান্দি গ্রামে। সেখানে তার তিন বছরের মেয়ে, বউ ও মা থাকেন। বাবার মৃত্যুর পর তাদের মুখে দুবেলা ভাত তুলে দিতে দিনরাত পড়ে থাকেন বুড়িগঙ্গার ঘাটে। দিন শেষে আয় হয় ৩০০-৪০০ টাকা, তা দিয়ে নিজের খরচ শেষে পাঠান গ্রামে।

আর্থিক দৈন্যের জীবনে কিছুটা স্বস্তি আনতে ছোটবেলা থেকে সমাজের সাথে যুদ্ধ করেছেন মনির। তবে সমাজের ব্যতিক্রম নিয়মের কাছে হারতে হয়েছে বারবার। সফলতার পথে বহুদূর পাড়ি দিয়েও ফিরে এসে এখন মনিরের আক্ষেপ বাংলাদেশের পড়ালেখা গরিবের জন্য নয়!

;

গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু, প্রতিবাদে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু

গরমে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পোল্ট্রি খামারে প্রায় ৪ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভয়াবহ লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে দাবি করেছেন খামার মালিকরা। মারা যাওয়া প্রতিটি মুরগির ওজন দেড় থেকে দুই কেজি ছিল বলে জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পলাশের তালতলী সাব জোনাল অফিসের সামনে মরা মুরগি নিয়ে অবস্থান করে অফিস ঘেরাও করে রাখে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পল্লী বিদ্যুতের কর্তা ব্যক্তিরা খামারিদের দেখে অফিসের মূল গেটে তালা লাগিয়ে ভিতরে বসে থাকে।

এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে পুরো এলাকা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের জন্য বার বার ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাননি খামার মালিকরা।

‘মুরগিগুলো চোখের সামনে একে একে মারা যায়’ মন্তব্য করে খামার মালিক মহসিন জানায়, আমার খামারে প্রায় ৩ হাজার মুরগি মারা গেছে। এছাড়াও আমার স্বজন ও আশে পাশের খামারিদেরও মুরগি মারা গেছে। খুব কষ্ট করে মুরগিগুলো লালন-পালন করেছি। এ গরমের মধ্যে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং হয় তাহলে কীভাবে? বার বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেওয়ার পরও লোডশেডিং কমছে না। সরকারের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। তা না হলে আমাদের পথে বসতে হবে।

পলাশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, অতি গরমের কারণে উপজেলার চরসিন্দুরে কিছু মুরগি মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি তবে আজকের পল্লীবিদ্যুৎ ঘেরাও এর সংবাদ পাইনি। এ মুহুর্তে খামারিদের জন্য কোন প্রণোদনা নেই। তবে আমরা খবর নিচ্ছি কার কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে।

লোডশেডিংয়ে মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়ে ঘোড়াশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আকবর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। জিনারদী ইউনিয়নের কিছু অংশ আমার অধিনে হলেও তালতলী জোনাল অফিস আমার অধিনে নয়। লোডশেডিং কমানোর ব্যাপারে আসলে আমাদের কিছু করার নেই, আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি ততটুকুই দিচ্ছি। এর বাহিরে কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা যদি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর বরাবর আবেদন করে আর যদি বরাদ্দ থাকে তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

;