'ভারতে বিটিভি, দুই দেশের নৈকট্য আরও বাড়বে'



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ভারতে বিটিভির সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ভারতে বিটিভির সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে বিটিভি'র সম্প্রচার শুরুর ফলে দুই দেশের মানুষের মধ্যে নৈকট্য আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে গত সাড়ে ১০ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের একটি নতুন মাত্রা উন্নীত হয়েছে। নতুন সেই মাত্রায় আজ থেকে ভারতে টিভি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে নৈকট্য আরও বাড়াবে।'

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামপুরার বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মিলনায়তনে এ সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের দূরদর্শন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকরা বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিটিভি দেখতে পারছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে পৃথিবী আজ একটি গ্লোবাল ভিলেজ। এখন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যখন সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আমাদের টেলিভিশনকে একটি গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখার কোনো কারণ থাকতে পারে না।'

'ভারতের বিটিভি দেখার ফলে দুই দেশের নৈকট্য আরও বাড়বে'

তিনি বলেন, 'যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী চিন্তা ও সহায়তায় বিটিভি ভারতের মানুষ দেখতে পাচ্ছে। বিশেষ করে কলকাতা-পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলা ভাষাভাষী মানুষগুলো আমাদের টিভি দেখতে পেলে মানুষে মানুষে যে নৈকট্য ও সম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও দৃঢ় হবে।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'দেশের স্বাধীনতার সময় ভারত সরকার যে সহযোগিতা করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভারত সরকারের এই ত্যাগ আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফলে আজ ভারতে বিটিভির সম্প্রচার শুরু হয়েছে। আগামীতে সমগ্র বিশ্বে দেখা যাবে।'

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, 'এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের মানুষকে আরও কাছে আনবে। আমাদের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে।'

তথ্যসচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিভির মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ স্বাগত বক্তব্য দেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ভারতে বিটিভির এই সম্প্রচার শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতে বিটিভির সম্প্রচার শুরু

   

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। সোমবার (১৭ জুন) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর পরিদর্শনে সব দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু।

তিনি বলেন ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৭ জুন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর সকল দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে এবং ১৮জুন থেকে যথা নিয়মে প্রত্নস্থল ও জাদুঘর (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত) খোলা থাকবে। সবাইকে নির্ধারিত সময়ে প্রত্নস্থল ও জাদুঘর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানবসভ্যতার ইতিহাসের ঐতিহাসিক সাক্ষ্য পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার তথা সোমপুর মহাবিহার যা বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের অনন্য নিদর্শন শুধু দেশের ঐতিহ্যের নয় বিশ্ব ইতিহাসের জায়গা করে নিয়েছেন ও বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন উচ্চ মর্যাদা। দেশের এ পর্যটনশিল্প সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত উপভোগ করতে আসেন দেশ বিদেশের হাজার পর্যটন পিয়াসি মানুষ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাদুঘর ও প্রত্নস্থল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

;

বুবলী দিচ্ছেন গরু কোরবানি, অপু দেবেন ছাগল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। অন্য মানুষের মতো শোবিজ তারকারাও পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর কে কী কোরবানি দিচ্ছেন, তা জানার অপেক্ষায় থাকেন তাদের ভক্তরা।

জানা গেছে, এবারের ঈদে ছেলে আব্রাম খান জয়ের নামে ছাগল কোরবানি দেবেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ইতোমধ্যে সাদা রঙের একটি ছাগলও কিনেছেন এই চিত্রনায়িকা।

অপরদিকে, প্রতি বারের মত এবারও কোরবানি দিচ্ছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তিনি একটি গরু কোরবানি দেবেন।

অপু বিশ্বাসের নাম নিলে এখন আলোচনায় বুবলীর নামও চলে আসে। কারণ উভয়ই শাকিব খানের সন্তানের মা। যদিও শাকিব খান তাদের দু’জনকেই প্রাক্তন বলেই এখন পরিচয় দেন। 

প্রসঙ্গত, এবারের ঈদে অপু বিশ্বাসের কোনো সিনেমা মুক্তি না পেলেও বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এমডি ইকবাল পরিচালিত এই সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক রোশানকে।

;

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা।

ঈদুল-আজহার প্রাক্কালে রোববার (১৬ জুন) তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম,এক বছর পর আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল-আজহা। আমি আপনাদের সবাইকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন,‘আসুন ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সকলে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’

বার্তার শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ঈদ মোবারক।’

;

ফেনীতে শেষ মুহূর্তে হাঁকডাকে জমজমাট কোরবানি পশুর হাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে কোরবানি পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার সরগম হয়ে উঠেছে। শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু থাকলেও ক্রেতার সংকটে ছিলো কোরবানির হাটগুলোতে। শুরুর দিকে গরুর দাম বাড়তি থাকায় শেষদিকের বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিল ক্রেতারা কিন্তু শেষ দিকেও দাম চড়া রয়েছে। শেষ বাজার হওয়াতে বাড়তি দাম হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট ভাবে শেষ হচ্ছে এ বছরের কোরবানির পশুর বাজার।

রোববার (১৬ জুন) ফেনীর ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোরবানি পশুর হাট, মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কসকা বাজার ও শহরের বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠেছে কেনাবেচা। একের পর এক ক্রেতা দর্শনার্থীদের সঙ্গে অনবরত দামদর চলছে বেপারি, খামারি কিংবা ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীদের।

ফাজিলপুর বাজার কমিটির সূত্রে জানা যায়, বাজারে ৫ থেকে ৬ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। শেষদিন হওয়াতে বেশিরভাগ মানুষ ইতোমধ্যে গরু কিনে ফেলছে। এরপরেও দাম ও হাসিল নাগালের মধ্য থাকায় অধিক পরিমান গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু হাটে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। মাঝে দুইদিন গরুর দাম সীমিত ছিল কিন্তু গতকালকের বৃষ্টি পর হঠাৎ দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়তি হওয়ার কারনে ক্রেতারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিল যার কারণে শুরুর দিলে বিক্রি কম হলেও শেষ দুই দিনে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে।

কালা মিয়া নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে ৪টি বিক্রি করেছি। বাজারে প্রচুর ক্রেতা আছে। বেচাবিক্রি ভালোই হয়েছে। তিনি জানান, ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু আছে। শেষ মুহুর্তে এসে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

নূর নবী নামের এক খামারি বলেন, হাঁটে ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযর্ন্ত ৪টা গরু বিক্রি করেছি। শুরুতে তেমন ক্রেতা ছিল না যার কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শেষ দুই দিনে গরুগুলো বিক্রি হওয়ায় খুশি।

ফয়সাল মাহমুদ নামে এক ক্রেতা বলেন,রাত পোহালেই কোরবান। বাজারে প্রচুর পরিমাণ গরু উঠেছে। তবে ক্রেতা অন্যদিনের তুলনায় কম। কারণ অনেকে গরু কিনে ফেলেছে। আমাদের রাখার জায়গায় সমস্যা যার কারনে আজ দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির গরু আল্লাহর নামে নিয়ে ফেলেছি।

আরিফ নামের নামের আরেক ক্রেতা বলেন, শুরুতে বাড়তি দাম বাড়তি ছিল, মাঝে কিছুটা কমেছে। তবে শেষ মুহুর্তে দাম আবার বাড়তি রাখছে বিক্রেতারা। হঠাৎ করে গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার বেড়ে গেছে। আমি একটা কিনেছি গরুটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পড়েছে। কিন্তু এর দুদিন আগেও এ গরু ১ লাখ পর্যন্ত মূলামুলি হয়েছে।

সাইফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। শুরুতে দাম নাগালের বাইরে ছিল তাই শেষ দিকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এখন আবারও বেড়ে গেছে।

উল্লেখ্য জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ২০০টি। তারমধ্যে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে ৯০ হাজার ২৫০টি গবাদি পশু। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৮০৪টি গরু, ৫ হাজার ৭২৮টি মহিষ এবং ১৫ হাজার ৭১৮টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত ছিল।

;