ইসিতে অগ্নিনিরাপত্তায় ৫ সুপারিশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংকাদিকদের ব্রিফ করেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান

সাংকাদিকদের ব্রিফ করেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের অগ্নিনিরাপত্তায় পাঁচটি সুপারিশ করেছে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে কমিটি জানিয়েছে গত রোববার নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যেখানে ইভিএম কাস্টমাইজড হয়ে থাকে, সেই জায়গাটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছিল রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেরেছি ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ধোয়া দৃশ্যমান হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যারা ছিলেন তারা ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারে ফোন করেন। ছয়টি ইউনিট আধা ঘণ্টার মধ্যে রাত ১২টার আগে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। সেদিন রাতেই ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ইভিএম কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯টি, মনিটর ১ হাজার ২৩৩টি, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, ল্যাপটপ একটি ও দুটি বার কোড স্ক্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইভিএম সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৩ টাকা। অন্যান্য কিছু ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীও ছিল তার মধ্যে এসি ছিল ৯টি, সিলিং লাইন ৪৮টি, একটি প্রজেক্টর, হুইল চেয়ার ও অটবি চেয়ার ১৬টি, টেবিল তিনটি, ঘড়ি একটি, সুইচ বোর্ড ১৪টি, বিভিন্ন রকমের ৯টি প্লাগ, ওয্যারিং চ্যানেল ২ হাজার ফিট, ফ্লোর টাইলস ৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মূল্য ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। পূর্ত ক্ষতি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ইভিএম ও সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকা।

বিজ্ঞাপন

মোখলেসুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পাঁচটি সুপারিশ রেখেছি। প্রথমটি হলো- কমিশন ভবনে ইভিএম কাস্টমাইজ কক্ষের মতো অন্যান্য হাইটেক কক্ষগুলোতে সার্বক্ষণিক সয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত পোর্টেবল ফায়ার ইস্টিংগুইশার স্থাপন করতে হবে। কাস্টমাইজসহ অন্যান্য হাইটেক কক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে সার্বক্ষণিক সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। বিদ্যমান ফোর্স ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

দুই. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে নির্বাচন ভবনের যেকোন পূর্ত এবং ইএম (বিদ্যুৎ) কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাথে অধিকতর সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিন. ইভিএম কাস্টমাইজেশন কক্ষটির অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজের ক্ষেত্রে উন্নত তার ব্যবহার করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টিপ্লাগ, তার, সুইচ, সকেট ব্যবহার করতে হবে। নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ ও প্রাত্যহিক ব্যবহার ক্যালকুলেশন করে ঠিক করতে হবে।

চার. প্রতি ছয় মাস পর পর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (বিইসি), গণপূর্ত অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রতিনিধির সমন্বয় গঠিত কমিটি দ্বারা বৈদ্যুতিক লাইন ও ফায়ার সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

পাঁচ. নির্বাচন ভবনে অত্যাধুনিক ইন্টেগ্রেটেড বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হবে ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।