বুলিংয়ে স্তব্ধ শিশু, কী হচ্ছে আইএসডিতে!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা, ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ বছরের একজন শিশু নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে। প্রাণোচ্ছল, ওরিগামি নিয়ে মেতে থাকা শিশুটি স্কুলেও নিজের মতো থাকতে পছন্দ করত। অন্যদের দুষ্টুমিকে সবসময় সহজে মেনে নিতে পারতো না। এ নিয়ে সহপাঠী বন্ধুরা তাকে বুলিং করতে শুরু করে। শিশুটির শরীরের আকার এবং ত্বকের রং নিয়ে তাকে খ্যাপাতে থাকে। বিমর্ষ হয়ে পড়ে শিশু সুমি (ছদ্মনাম)।

ঢাকার নামীদামি স্কুলগুলো থেকে এভাবেই ঝরে পড়ছে সুমির মতো কোমলমতি শিশুরা। স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে, ক্লাস থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই স্কুলগুলোতে নিতে হবে এন্টি বুলিং পলিসি। কারণ, নগরায়ণের ফলে স্কুল ছাড়া বাচ্চাদের খুব বেশি সামাজিক সংযোগ ঘটানোর সুযোগ থাকে না। আর সেখানে নিশ্চিত করতে হবে শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ।

গত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকাকে (আইএসডি) সন্তানের মানবিক এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন সুমির অভিভাবক। অভিভাবকের পক্ষে ব্যারিস্টার হাসান আজিম এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান স্কুলের ডিরেক্টর টিজে কোবার্নকে।

শুধু এই অভিভাবকই নন আর আইএসডি স্কুলসহ দেশের নামীদামি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ নতুন নয়। কোটি কোটি টাকা নিয়েও শিক্ষার্থীদের একটি নিরাপদ পরিবেশ স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রদান করতে পারছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

এই কেস স্টাডিটিই ধরা যাক। অভিভাবকের অভিযোগ, সপ্তম গ্রেডে থাকা সুমির শরীরের আকার, ওজন এবং ত্বকের রং নিয়ে তার সহপাঠীরা উত্যক্ত করত। একসময় হীনমন্যতায় ভুগতে থাকে সে। সাঁতারের ক্লাস ও শরীর চর্চার ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সুমি। নিজেকে গুটিয়ে নেয় অন্যদের কাছ থেকে। এমনকি পরিবারের কাছ থেকেও। শিশুটিকে তার সহপাঠীরা এমন ধরনের প্রশ্ন করে যে, সে তার আত্মপরিচয়ের সংকটে পড়ে যায়। নিজের মধ্যে চলতে থাকা দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বাবা-মাকে প্রশ্ন করে! আত্মহত্যার পথেও চলে যেতে চায় এই শিশুটি।

কথা হয়েছে সুমির অভিভাবক সালমা খানমের সঙ্গে। সন্তানের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া এই বিপর্যয়ে তিনিও বিধ্বস্ত মানসিকভাবে। বললেন, ‘আমি বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। সরাসরি দেখা করে অভিযোগ করেছি। ই-মেইলে বিষয়টি জানিয়েছি। বলেছি আমার বাচ্চার বিষয়ে একটু নজর দিতে এবং যে সহপাঠীরা উত্যক্ত করছে, ওদেরকেও কনসালটেন্সি করানোর জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু স্কুলের হেড অব সেকেন্ডারি ইলডিকো মুরে কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিয়ে আমার সন্তানকে অন্য স্কুলে বা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে বললেন। আমার মেয়ের সামনে এই ধরনের ব্যবহারে সে আরও বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।’

এখন কী অবস্থা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুল পরিবর্তন করেছি। কিন্তু আমার মেয়ের মনে স্কুল সম্পর্কে ভীতি কাজ করছে। স্কুলে যাওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিয়ে রওনা করে, আবার দেখা যায় লিফটের সামনে যেয়ে ফিরে আসছে। স্কুলের ভয়ঙ্কর স্মৃতি থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ওর ভয় কাটিয়ে ওঠানোর জন্য আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছি।’

শুধু সুমি নয়, আইএসডি স্কুল থেকে গত বছরই নবম গ্রেডের একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এরইমধ্যে আইবি এক্সামের জন্য ওই শিশুর নিবন্ধন হয়ে যাওয়ার ফলে ঢাকার কোনো স্কুলেই ওই সময় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যায়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও নিজের পুরো পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে হয়। আইএসডি নিজেদের দোষ আড়াল করতে তার সন্তানকে বহিষ্কার করে! আইএসডি সমস্যার সমাধান না করে বা শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং না করে উল্টো তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে।

এই বিষয়ে ব্যারিস্টার হাসান আজিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বুলিং বাচ্চাদের মনে বিরুপ প্রভাব ফেলে, যা অনেকদিন পর্যন্ত মনে গেঁথে থাকে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এন্টি বুলিং নীতি থাকতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে এর রূপ হবে র‌্যাগিংয়ের মতো ভয়াবহ ঘটনা। এক্ষেত্রে বুলিং যারা করছে এবং যারা শিকার হচ্ছে, এই সব শিশুকেই কাউন্সিলিংয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।’

গত বছরই ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী শিশু অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল অভিভাবককে তার সামনে অপমান করায়। এখানে হেড অব সেকেন্ডারি ইলডিকো ওই একই অপরাধটি করেছেন। সন্তানের সামনে বাবা মায়ের কাছে নালিশ করেছেন। যেখানে শিশুরা নিজেদের অপরাধী ভাবতে শুরু করে এবং আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়। অথচ এখানে স্কুল কর্তৃপক্ষেরই শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল। এই স্কুলের বিরুদ্ধে আগেও এই ধরনের অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।

তিনি আরও বলেন, ‘বুলিং একটি অপরাধ। এর প্রতিকার না করে যদি প্রশ্রয় দেওয়া হয়, সেটি পরবর্তীতে বড় আকার ধারণ করে। বুলিংকারী শিশুটিই বড় হয়ে র‌্যাগিং দেওয়ার চর্চা করবে। অপরাধী হয়ে উঠবে আর ঘটবে আবরার হত্যার মতো অপরাধ।’

   

চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন তিনি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন ফায়ার ফাইটার ভবেশ চন্দ্র। এটাই তার চাকরি জীবনের ঈদের শেষ ডিউটি, কারণ আর দুই মাস পরেই অবসরে যাবেন তিনি।

সনাতন ধর্মের অনুসারি হওয়ায় স্বভাবতই ঈদে তাকে ডিউটি দেওয়া হতো। তিনিও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে যোগদানের পর থেকেই প্রত্যেকটি ঈদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি।

গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে আলাপে নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ভবেশ চন্দ্র বলেন, একটা সময় ছিল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হামলার শিকার হতে হতো। আমার মনে হয় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উৎসুক জনতার হামলার শিকার হতে হতো। এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে।

এই বদলে যাওয়ার প্রধান কারণ কি বলে আপনার ধারণা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে যদি বলতে হয় ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন, এখন লজিস্টিক সাপোর্ট বেড়েছে, আবার মানুষের মধ্যেও অনেক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে প্রধানত জেলা সদর কেন্দ্রীক ছিল ফায়ার স্টেশন। প্রত্যন্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্থলে পৌঁছাতে হলে অনেক সময়সাপেক্ষ ছিল। এখন বেশিরভাগ উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন রয়েছে। যে কারণে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারছে। সে দিক থেকেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে।

চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে ভবেশ চন্দ্র বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে সাইড দিতে অনেকে গড়িমসি করেন। আমরা যদি সুষ্ঠুভাবে চলতে পথ চলতে পারি, তাহলে আরও জানমালের ক্ষতি কমানো সম্ভব, এখানে জনসচেতনতা প্রয়োজন। অন্যদিকে উৎসুক জনতার ভিড় অনেক সময় কাজকে বাঁধাগ্রস্ত করে, সেদিক থেকেও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা জরুরি। সামান্য স্বার্থের কারণে আপনার জীবন ও সম্পদকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। সে কারণে আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।

মানিকগঞ্জ সদরের বাসিন্দা ভবেশ চন্দ্র, চাকরি জীবনে তেমন ঘোরাফেরা করতে পারেননি। অবসর জীবনে দেশটাকে ঘুরে দেখতে চান তিনি। সঙ্গে ধর্মীয় নানা তীর্থ দেখার আগ্রহ রয়েছে। লালন ভক্ত ভবেশ চন্দ্র ধর্ম-বর্ণ ও জাত বৈষম্যের বিরোধী। ছোট বেলায় দেখেছেন সনাতন ধর্মের এক শ্রেণির লোকজন অন্যদের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে গোসল করে পবিত্র হতো। আবার অনেক জাতের লোককে বাড়িতে ঢুকতে দিতো না। এই ধরণের মানসিকতাতে চরমভাবে ঘৃনা করেন তিনি। মানুষের কল্যাণ ও মানুষের উপকারে আসাটাকেই সবচেয়ে বড় মনে করেন তিনি।

;

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মোহাম্মদ তারেক (১৫)। ৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে কলাতলী পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমেছিল তারেক। কিন্তু অন্যান্য বন্ধুরা ফিরে এলেও সে আর ফেরেনি। রাত আটটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, “লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা তারেককে খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরিবারকেও বিষয়টি অবগত করে হয়েছে।”

তারেকের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজার এলাকায়। সে মোহাম্মদ জয়নালের ছেলে। ঈদের ছুটিতে ৬ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল।

তারেকের বন্ধুর বরাতে বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুর একটার দিকে তারা গোসলে নামে। দেড়টার দিকে ৫ বন্ধু উঠে এলেও তারেক উঠেনি। এরপর থেকেই তাকে খোঁজা শুরু হয়।

ঈদের দিন হওয়ায় সৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের কিছুটা ভিড় থাকলেও ছিলেন না লাইফগার্ড কর্মীরা।

;

এবার আশা দেখাচ্ছে চামড়ার দাম, তবে নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে চামড়া বড় বাজার। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব্যে গত কয়েক বছর ধরে চামড়া নিয়ে কাঁদছেন শতশত মৌসুমী ব্যবসায়ী। ফলে চামড়া কেনা নিয়ে পুরোই সেই চেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।

তবে টানা কয়েক বছর ধরে চলা চামড়ার বাজারের আক্ষেপ এবার এসে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিকেলে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি।

চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, 'দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতাছে। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে।'

আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।


এদিকে আড়ৎদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদসাসার। হাতে গোনা কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন।

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুণছেন।


আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের মতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

;

৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, দাবি আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির বর্জ্য ছয় ঘণ্টায় অপসারণের ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির যে ৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে তার সবগুলোতে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, সোমবার সকালে পশু কোরবানির পর দুপুর ২টায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়ে রাত ৮টায় কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করেছেন। মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অপসারণের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়।

এর আগে, দুপুরে বর্জ্য অপসারণের কাজ উদ্বোধন করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে। বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিষ্কারক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণের জন্য বাসা বাড়ি ১০ লাখ পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আস্তে আস্তে নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির ব্যবস্থা করছি। তার ধারাবাহিকতায় মিরপুর ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে চারটি নির্দিষ্ট স্থানে ১২০০ টি গরু কোরবানি হয়েছে। ফলে বর্জ্য অপসারণ সহজ হচ্ছে আমাদের।

এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ছয় ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ সিটির ৭২ ওয়ার্ডের মধ্য প্রায় ৪০ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

;