রহমতের নগরীতে উল্টাপাল্টা করলে সর্বনাশ!



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব (মদিনা) থেকে "আমার দেখা প্রায় ১'শ ব্যবসায়ী মদিনা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর এই মদিনা। মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওযা ঘিরে বছরজুড়েই ব্যস্ত এই শহরে প্রবাসীরা গড়ে তুলেছিলেন নানা ধরনের ব্যবসা বানিজ্য। একটা সময় ব্যবসা জমজমাট করেও শেষ অবধি তারা টিকে থাকতে পারেন নি। সব কিছু গুটিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে।

কারণ তারা সঠিকভাবে,নীতি নিয়ে ব্যবসা করেন নি।দ্রুত বেশি লাভ করতে গিয়ে ব্যবসায় গড়বড় করেছেন।হয়তো মানুষকে ঠকাতে চেয়েছেন।ফলাফল ব্যবসায় কোন বরকত পাননি।এটা একটা দৃষ্টান্ত। আর সেটা মাথায় রেখেই আমি ব্যবসা পরিচালনা করি।আলহামদুলিল্লাহ, যেখানে হাত দিয়েছি, সেখানেই বরকত পেয়েছি। মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করেছি"- মদিনায় নিজ কার্যালয়ে বসে বার্তা২৪.কমকে এমনটিই বলছিলেন সালাহউদ্দিন সোহেল (৩২)।

৬২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুসারীদের নিয়ে মহানবী মক্কা থেকে মদীনায় আগমন বা হিজরতের পর হযরত মুহাম্মদ (সা) নির্মাণ করেছিলেন "মসজিদে নববী"। অন্যতম সেই বৃহৎ মসজিদের চারপাশে বাংলায় চোখ ধাঁধানো সাইনবোর্ডের ছড়াছড়ি। প্রবাসীদের কেউ এখানে হোটেল,কেউ বা রেষ্টুরেন্টে কেউ বা রকমারী খেঁজুর,অনেকেই আবার বোরকাসহ নানা ধরনের ব্যবসা খুলে নিজেরাই গড়ে তুলেছেন ভিন্ন আরেক বাংলাদেশ।

মাত্র ১৭ বছর আগে সামান্য ক্লিনার হিসেবে এ দেশে এসেছিলেন সোহেল।সঙ্গী ছিলো পরিবারের অসীম দারিদ্রতা। সেই মানুষটি আজ রহমতের এই নগরীতে বেশ কয়েকটি হোটেল ও নামকরা একাধিক অভিজাত রেষ্টুরেন্টের ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা করছেন।নিজের সফলতায় প্রবাসীদের মাঝেও গড়ে তুলেছেন অনন্য অবস্থান। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার জয় নারায়নপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সালাহউদ্দিন সোহেল। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সবার বড়।

মসজিদ নববীর কাছে বাংলাদেশী মার্কেট এলাকায় অভিজাত "মোহাম্মদীয়া হোটেল" নামের বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টে বসেই কথা হয় সোহেলের সাথে। এই যে ঈর্ষনীয় সাফল্য। এর মূলমন্ত্র কি? এক কথায় আদর্শ। আরেকটু গভীর ভাবে বলতে গেলে সততা আর কঠোর পরিশ্রম। এই বরকতের নগরীতে কেউ যদি ঈমানের সাথে সততা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন তবে কেউ শূন্যহাতে ফিরবে না এই পূণ্যভূমি থেকে। এটা এখানকার সাধারণ বিশ্বাস।

"আমি কিন্তু এখনো সাধারণ একজন ক্লিনার। প্রয়োজনে নিজেই নেমে পড়ি কোমড় বেঁধে। রেষ্টুরেন্টে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে। কারণ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। মদীনায় দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসেন।আগে এখানে মান সম্পন্ন কোন খাবারের হোটেল ছিলো না। আমি পরিবর্তনের সূচনা করেছি মাত্র।এখান অনেকেই আমাকে অনুসরণ করছেন।এটাই আমার প্রাপ্তি - জানান সালাহউদ্দিন সোহেল।

২০০১ সালে শ্রমিক হিসেবে মদিনায় আসেন তিনি।মাত্র ১২'শ রিয়াল বেতনে ক্লিনার হিসেবে কাজ নেন মদিনার বদরুদ্দিন সুপার মার্কেটে। টানা ১০ ঘন্টার কাজ। তারপরও বাড়তি আয়ের আশায় খন্ডকালীন কর্মী হিসেবে কাজ নেন একটি ক্যান্টিনে।সেখানে ৬ ঘন্টার কাজে বানাতে হতো স্যান্ডউইচ আর বার্গার।

সেই মানুষটি এখন সাফা ডায়মন্ড গ্রুপ নামের শিল্প পরিবার খুলে পরিচালনা করছেন সাতটি হোটেল,একটি বাংলাদেশী ও একটি পাকিস্তানী রেষ্টুরেন্ট।পাশাপাশি আরো ভিন্ন ধরনের ব্যবসা। যেখানে কাজ করেন ১৩ জন সৌদি,১২ জন পাকিস্থানী ও ৭০জন বাংলাদেশী। এ ভাবেই প্রবাসে নিজের সফলতার আলো ছড়াচ্ছেন এই প্রবাসী।

   

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভনে খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতেন নিউটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন

মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন

  • Font increase
  • Font Decrease

নবীন খেলোয়াড়দের ভালো সুযোগ ও বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

তিনি বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে খেলোয়ারদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে রফিকুলকে সহায়তা করত অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা স্বীকার করেছে। রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়শনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে এই কোমলমতি মেয়েদেরকে এগিযে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই ব্যক্তি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালায়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী মামলায় দায়ের করলে আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে। মামলার এজাহার নামীয় দ্বিতীয় আসামি নারী খেলোয়াড়কে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার মার্শাল আর্ট জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে নিউটন এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী নারী গত দুই বছর যাবৎ রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন সময় রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো। পরে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেফতার নারী ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনে। পরে রফিকুল ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এরপর গ্রেফতার নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের নগ্ন ছবি ধারণ করে এবং কাউকে জানালে ভিকটিমের নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। কিছুদিন পর রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

;

পাথরঘাটায় বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু



ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটায় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আসাদুল (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাঠাতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) আহত হয়েছে। এবং দুটি গরু মারা গেছে। নিহত আসাদুল কাঠাতলী ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসাদুল দুপুরের ভাত খেয়ে বিশ্রাম করছিল। আকাশে মেঘ হওয়ায় বাড়ির সামনের মাঠে গরু আনতে যায় আসাদুল ও তার ছেলে। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে আসাদুলের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম।

তিনি বলেন, আসাদুল অত্যন্ত গরিব মানুষ। নদীতে মাছ শিকারের পাশাপাশি গরু পালন করতো। মাঠ থেকে সেই গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়।

;

বেশি দামে মসলা বিক্রি, খাতুনগঞ্জের ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি, ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সংরক্ষণ না করা ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চট্টগ্রামের সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর ও পরিদর্শক বেলাল হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

অভিযানে আল্লার দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স নুর ট্রেডার্সকে ২ হাজার, মেসার্স খান ব্রাদার্সকে ৫ হাজার, মেসার্স নবীন ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, শাহজাহান ট্রেডার্সকে ২ হাজার এবং দি চিটাগাং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, অভিযানে গিয়ে আমরা দেখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখাতে পারছে না, নির্ধারিত দামের তুলনায় অধিক দামে মসলা ও পণ্য বিক্রি করছে, মূল্য তালিকাবিহীন মালামাল বিক্রি ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ নেই, পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। পরে এসব অভিযোগে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর আওতায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

;

জব্দ হওয়া মোবাইল নিতে ডিবিতে যান মামুনুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতারের সময় জব্দকৃত নিজের মোবাইল ফোন নিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি একথা জানান।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছিল। সেই ফোন নিতেই ডিবিতে এসেছি। আমাকে ডাকা হয়নি। আমি নিজেই এসেছি।

গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

;