মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে ময়লার ভাগাড়



সাদিয়া কানিজ লিজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
পথচারীদের হাঁটাচলায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পথচারীদের হাঁটাচলায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মগবাজারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড়টি সবার নজরে পড়বে। অল্প বৃষ্টিতেই ওই ময়লা ছড়িয়ে পড়ে মূল রাস্তায়। এতে গাড়ি চলাচলসহ পথচারীদের হাঁটাচলায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তায় ময়লা ছড়িয়ে থাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকে সড়কটিতে।

ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ট পথচারীদের অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার ভ্যানগুলো প্রতিদিন এখানে ময়লা ফেলে। অথচ সামনেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাইনবোর্ড ঝুলছে। তার সঙ্গেই আছে জাতীয় চার্চ পরিষদ আর পরিষদের ভেতরেই এ জি চার্চ নামে ইংরেজি ও বাংলা মিডিয়াম স্কুল। আশেপাশে রয়েছে আরও কিছু বড় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই সমস্যা দেখার ফুসরত নেই সিটি করপোরেশনের।

বাংলামোটর থেকে মগবাজারগামী এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যান চলাচল করে। ফলে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া একটু সামনে এগোলেই ইস্পাহানি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই আবর্জনার তিক্ত গন্ধ নিয়েই স্কুলে যাতায়াত করছে। পাশাপাশি অভিভাবকরাও সহ্য করেন এই দুর্গন্ধ। অথচ অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই রাস্তায় ব্যবহার করতে হয় তাদের।

এভাবেই রাস্তা পার হতে হয় পথচারীদের

মগবাজারের এই রাস্তার মাঝামাঝি অংশ দিয়ে ফ্লাইওভার উঠে যাওয়ায় দুই পাশের রাস্তা কিছুটা সংকুচিত হয়ে গেছে। সংকুচিত হয়ে যাওয়া রাস্তার ওপরই ফেলা হয় ময়লা। তাই অনেকটা উপায় না পেয়ে এভাবেই রাস্তা পার হতে হয় পথচারীদের।

জানা গেছে, সারাদিনের ময়লা রাতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ময়লা সরানোর সময় কিছু অংশ কন্টেইনারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি অংশ রাস্তার ওপরই পড়ে থাকে। এগুলো রাতে কুকুর-বিড়াল রাস্তার ওপরে টেনে আনে। ফলে গাড়ির চাকার সঙ্গে ময়লা অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সমন্বয়কারী খাজা আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে ময়লার ভাগাড় থাকাটা বিব্রতকর। আমরা লিখিত অভিযোগ করার পরও সমাধান হয়নি। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেখছি এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে।’

ভুক্তভোগী এক অভিভাবক জানান, এই রাস্তা দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতে অনেক অসুবিধা হয়। নাকে কাপড় না দিয়ে হাঁটা যায় না।

জায়গা স্বল্পতার কারণে রাস্তার পাশেই ময়লা রাখা হচ্ছে

ডিএসসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা নিরুপায়, রাস্তায় ময়লা ফেলার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আমাদের ময়লা ফেলার জন্য আলাদা জায়গা দেয়নি। ফলে জায়গা স্বল্পতার কারণে রাস্তার পাশেই ময়লা রাখতে হয়। তবে উপযুক্ত জায়গা দেওয়া হলে সেখানেই ময়লা রাখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার পাশে ময়লা ফেলায় আমাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা কারও কথা রাখতে পারছি না। কারণ ওই স্থান থেকে ময়লা নিয়ে অন্যত্র রাখলে সেখানের বাসিন্দারাও অভিযোগ করবেন। তবে দিনে যানজট থাকায় রাতেই ময়লা নেওয়া হয়। এছাড়া হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দিনে ময়লা অপসারণ করা সম্ভব না। তাই রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে ময়লা সরানো হয়।’

সামুয়েল হাদসা নামের এক ব্যক্তি জানান, এই ময়লার গন্ধে এলাকায় টিকে থাকা কষ্টকর। এখান থেকে ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়া হলে তারা বেশ উপকৃত হবেন।

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নামে এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এই সড়কটি শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এটা কি ময়লা ফেলার জায়গা? এখানে ময়লা রাখা উচিত? কিন্তু কে শোনে কার কথা।’

   

হাওরে ৭০, অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষি উৎপাদন সহায়তার জন্য সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের মাঝে সহজ ও কম মূল্যে বিতরণের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ফলে ধান কর্তন সময়ে হাওর এলাকায় শ্রমিকের যে সংকট তৈরি হয় তার অবসান ঘটবে। কৃষকগণ স্বল্পতম সময়ে তাদের গোলায় ফসল তুলতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ‘কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা’ নামে একটি খাত রয়েছে। এ খাত হতে মূলতঃ দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল চাষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা কর্মসূচিও পরিচালনা করা হয়। পুনর্বাসন বা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কৃষকদের সার্বিক কল্যাণ এবং বিভিন্ন ফসল চাষে তাদের আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি অর্থবছরেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কর্মসূচিগুলোর লক্ষ্যমাত্রাও বৃদ্ধি করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মহাসড়কে মিনিট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. পেঁচু মিয়া (৬০) আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন- আবুল কালাম (৪৫) ও আলিফ (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মিনিট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. পেঁচু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মৃত ব্যক্তির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনিট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

;

শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় নারী নিহত, আহত ৩



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রীতা রাণী (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশুকন্যা প্রিয়াসহ (২) মোট ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৬ মে) বিকেলে নাভারণ সাতক্ষীরা সড়কের শার্শার জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রীতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী।

আহতরা হলেন- নিহত রীতা রাণীর স্বামী মিলন গোলদার (৩০) ও তাদের শিশু কন্যা এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুছ সানার ছেলে মোটরসাইকেল চালক আসমাতুল্লা (৩৫)।

আহত মিলন গোলদার জানান, তারা শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে তার শ্বশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়ায় যাচ্ছিলেন। এসময় পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর তাদের চাপা দিলে তারা ট্রাক্টরের চাকার তলায় পড়ে যান। এতে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ছোট মেয়ে আহত হয়। পরে পথচারীরা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

নাভারণ হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) মফিজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার এবং মাটিবাহী ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক।

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

;

‘নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদনের সুযোগ নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

রোববার (৫ মে) সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বেশ কয়েক দফা মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য অনলাইনে সর্বশেষ বার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এসব আবেদন উপজেলা, জেলা কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের আর কোনো সুযোগ নেই।

সরকারি দলের অপর সদস্য তারানা হালিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই দেশে সর্বপ্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে। তার সময়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংসদে উপস্থাপনের জন্য তিনি সংসদ সদস্য তারানা হালিমকে একটি নোটিশ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

মো. মাইনুল হোসেন খানের অপর একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ৪০ হাজার জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা উপকারভোগীকে ৩০০ টাকা হারে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা সম্মানি ভাতাসহ বাৎসরিক ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা বাবদ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা হারে এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান বিজয় দিবস ভাতা বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে।

;