সময় মতো হাসপাতালে নিলে হয়তো বেঁচে যেত আবরার
আবরার হত্যাসময় মতো হাসপাতালে নিলে হয়তো আবরার ফাহাদ বেঁচে যেত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
এ হত্যাকাণ্ডে বুয়েট প্রশাসনের কতটুকু গাফিলতি আছে, জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পায় রাত ৩টায়। পুলিশ এসে হলের ভেতরে ঢুকতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলে, সমস্যা যা ছিল, সেটা মিটে গেছে। কিন্তু বুয়েট প্রশাসন রাত ২টার দিকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। তারা যদি তখন আবরারকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো আবরার বেঁচে যেত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ২৫ জনকে আসামি করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে করা এক পোস্টের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডে আরো ছয়জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।