শিশু আলীজাকে বাঁচাতে ‘টুকরো হাসি’র প্রচেষ্টা
তাহরীম আহমেদ আলীজা। বয়স মাত্র ১৩ দিন। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে গত ৪ নভেম্বর সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার জন্ম। জন্মের পর থেকে নি:শ্বাস নিতে পারছিল না আলীজা। এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা হবে না বলে জানায় চিকিৎসকরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আলীজাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা যায়, Congenital Diaphragmatic Hernia রোগে আক্রান্ত সে। জন্মের সময় পেটের নাড়ি ফুসফুস এবং হার্টের সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। জন্মের ১ দিন পর আলীজার মেজর সার্জারি হয়। বর্তমানে তাকে NICU তে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। যাতে সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। কমপক্ষে আরো ৪-৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
বাবা তাজিন আহমেদ তন্ময় নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা। ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন তিনি। আলীজার মা দরিয়াতুন নূর আখি রাজশাহী গভঃনিউ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু তার পক্ষে এত পরিমাণ টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তন্ময়।
আলীজার চিকিৎসার জন্য অর্থের জোগান দিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে রাজশাহীর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “টুকরো হাসি”। নগরীর বিভিন্ন স্থানে দলবদ্ধ হয়ে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করছেন সংগঠনের একদল তরুণ-তরুণী। পরিচিতদের ফোনে যোগাযোগ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজে পোস্ট দিয়ে সকলকে জানিয়েছেন বিষয়টি।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন তারা। প্লাটফর্মে অবস্থানরত ট্রেন ও বাসের যাত্রীদের কাছে গিয়ে ব্যানার আর বাক্স হাতে তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়েন। এরপর নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে অর্থ জোগাড় করবেন তারা।
টুকরো হাসি সংগঠনের কর্ণধার সাজিয়া সুলতানা মীম বলেন, আলীজার বিষয়টি জানার পরে আমরা উদ্যোগ নিই শিশুটির পরিবারকে সহযোগিতার জন্য। আমাদের কিছু প্রচেষ্টায় যদি শিশুটির বিন্দুমাত্র উপকার হয় আর তার পরিবারের হাসি ফিরে আসে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি জানান, ‘আলীজার জন্য টুকরো হাসি আজ থেকে কাজ শুরু করেছে। কেউ রাজশাহী কিংবা দেশের বাইরে থেকে চাইলে ‘টুকরো হাসি’র বিকাশ ও যোগাযোগ নম্বরে ০১৭২৮৪০৯৩০০ সহযোগিতা করতে পারেন।