চিনিতে আটা ও ফিটকারি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘খেজুর গুড়’

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভেজাল গুড়ের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভেজাল গুড়ের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহীর বাঘায় চিনি গলিয়ে তাতে আটা, হাইড্রস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেল তেল এবং রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নকল খেজুরের গুড়।

মৌসুম শুরু হওয়ায় এসব নকল ‍গুড় আসল বলে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। যা চরম অস্বাস্থ্যকর।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী জেলার মধ্যে বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় তৈরি হয়। এখানকার গুড় রাজশাহীর বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বাঘায় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি শুরু হয়েছে। রাজশাহীর বাজারে নতুন খেজুর গুড় বিক্রিও শুরু হয়েছে।

পুকুরে ফেলা হচ্ছে ভেজাল গুড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

তবে এসব গুড়ের বেশিরভাগই নকল। বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি, আটা, হাইড্রস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেল তেল এবং রঙ একসঙ্গে জ্বাল দিয়েই যা তৈরি করছেন। খবর পেয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তেপুকুরিয়া গ্রামের একটি কারখানায় আকস্মিক অভিযানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলাকালে ১০ মণ নকল ‍গুড় জব্দ করে পানিতে ফেলা হয়। আর এক গুড় ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, স্থানীয় গাছিরা প্রশাসনকে নকল গুড় তৈরির বিষয়টি অবগত করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামের মন্টু মিয়ার বাড়ির গুড় কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে প্রায় ১০ মণ নকল গুড় ও গুড় তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত নকল গুড় ও সামগ্রী পুকুরে ফেলে বিনষ্ট করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কারখানা মালিক মন্টু মিয়া আগেই পালিয়ে যান। পরে মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভেজাল গুড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা আরো জানান, পরে আরো কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু টের পেয়ে সেসব কারখানার মালিকরা আগেই পালিয়ে যান। আগামীতে গ্রামে গ্রামে গুড়ের নকল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।