পাম্প শ্রমিকদের ধর্মঘটে রাজশাহীর সড়কে কমছে যান চলাচল
১৫ দফা দাবিতে রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ধর্মঘট। টানা দ্বিতীয় দিন বিভাগীয় শহরটির সকল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ থাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এই অচলাবস্থা না কাটলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আগের দিনের মতোই তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। তবে তারা পাম্প খোলা রেখেছেন। যানবাহনের চালকরা পাম্পে তেল নিতে আসলে তাদেরকে শ্রমিকদের দাবি সম্বলিত লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছেন।
নগরীর কাজলা এলাকার মেসার্স ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মুরাদ হোসেন জানান, তারা আজ (সোমবার) ভোর থেকে পাম্পে এলেও তেল বিক্রি করছেন না। ডিপো থেকে ডিলাররা জ্বালানি তেল তুলছেন না। আবার ট্যাংকলরির মালিক-শ্রমিকরা তেল পরিবহনও করছেন না।
নগরীর কুমারপাড়া এলাকার গুল গফুর ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আবদুর রহিম বলেন, ‘দাবি মেনে না নিলে আমরা তেল বিক্রি করব না। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, তবে আমাদের দিকেও সরকারের তাকানো উচিত।’
এদিকে বিপাকে পড়া যানবাহনের মালিক ও চালকরা নগরীর কিছু কিছু স্থানে খুচরা হিসেবে সামান্য তেল ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। নগরীর কাজীহাটা এলাকার মোটরসাইকেল চালক সোহেল রানা জানান, রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুরে একটি বাড়িতে তেল পাওয়া যাচ্ছে জেনে সেখানে যান তিনি। ওই বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে গোপনে তিন লিটার তেল পেয়েছেন। তবে দাম প্রায় দ্বিগুণ নিচ্ছে।
নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া জনি পরিবহনের চালক শহিদুল আলম বলেন, ‘যারা ঢাকা যাচ্ছে, তারা ওদিক থেকে তেল ভরে নিয়ে ফিরছে। গাড়ি চালাতে কোনো ঝামেলা হচ্ছে না। কিন্তু আমরা যারা রাজশাহী-খুলনা রুটে গাড়ি চালাচ্ছি, আমরা তেল পাচ্ছি না। আমার এই ট্রিপই শেষ। তেল না পেলে গাড়ি বন্ধ রাখতে হবে।’