হটলাইনে কল

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান, আটক ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘুষ নেওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের তিন কর্মচারী। পরে দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বোর্ডের আরও তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বীকার করেছেন এই ঘুষের টাকার কথা।

আটক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইসমাইল হোসেন ও আহসান আলী, পত্রপ্রাপ্তি শাখার অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম ও মুরাদ আলী, স্ক্রিপ্ট শাখার দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী রুবেল খান ও মাধ্যমিক সনদ শাখার আসলাম হোসেন ওরফে চৌধুরী।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বোর্ডে শিক্ষার্থীদের সনদপত্র উত্তোলন, নাম সংশোধন, ফলাফল সংশোধন, ভর্তি বাতিল এবং এক কলেজে ভর্তি বাতিল করে আরেক কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন কাজের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা আদায়ে একজন ভুক্তভোগী দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করেন। বিদ্যালয় মঞ্জুরী নবায়ন, বিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলা, মহাবিদ্যালয়ের এডহক কমিটি, কার্যনির্বাহী কমিটি, একাডেমিক স্বীকৃতি ও মহাবিদ্যালয়ের ছাড়পত্র ছাড়াও আরও বিভিন্ন কাজে ঘুষ আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

তিনি আরো জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল সোমবার সকাল ১০টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত শিক্ষাবোর্ডে অভিযান চালায়। দলটি প্রথমে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে। এ সময় তারা দেখতে পায়, সেবা প্রত্যাশীদের নাম সংশোধন, সনদপত্র উত্তোলন ও সনদপত্র ইংরেজি ভার্সনে রূপান্তরের জন্য বোর্ডের কর্মচারীরা ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আদায় করছেন। কাউন্টারের মাধ্যমে আবেদনপত্র নেওয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ আবেদন ফরম কর্মচারীরা সরাসরি নিয়ে যাচ্ছেন। তারাই কর্মকর্তাদের ঘুষের ভাগ দিয়ে কাজ করে দিচ্ছেন। অথচ সেবা প্রত্যাশীরা মুঠোফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে ডেলিভারি কাউন্টার থেকে এসব সেবা পাওয়ার কথা। ঘুষের এমন কারবার সব শাখাতেই ধরা পড়ে।

এরপর দুদক কর্মকর্তারা প্রথমে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আসলাম হোসেন এবং অফিস সহকারী মুরাদ আলী ও রুবেল খানকে ঘুষের টাকাসহ আটক করে সংশ্লিষ্ট শাখায় নিয়ে যান। এ সময় তারা ঘুষ আদায়ের কথা স্বীকার করেন। দুদক কর্মকর্তারা তখন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইসমাইল হোসেন ও আহসান আলী এবং অফিস সহকারী শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরার মুখে তারাও এই ঘুষের টাকার ভাগ পাবার কথা স্বীকার করেন।

দুদক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে বোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। এ সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ডের সচিব তাৎক্ষণিকভাবে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখার প্রধানদের নির্দেশ দোয়া হয়েছে।

সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর ) বোর্ডে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুদক দল বোর্ডে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ঝোলানো, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে জায়গায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের অনুরোধ জানিয়েছে। সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাতে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের সরকারি মুঠোফোনে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত নম্বরটি খোলা থাকলেও তিনি ফোন ধরেননি।

   

বরিশালের জর্ডন রোডে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের ড্রেনের লোহার ঢাকনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঢাকনা চুরি করছে তার কোনো প্রমাণও নেই। তবে রাত হলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের এই জর্ডন রোড।

ইতিপূর্বে গত ৩০ মার্চ জর্ডন রোডের সার্কিট হাউসের পেছনের মোড়ে সড়কের ড্রেনে লাগানো লোহার ঢাকনা বা স্লাব চুরি হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন পথচারীসহ দ্রুতগামী যানবাহনের চালকরা। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। বিষয়টি জানা মাত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দ্রুত ২ এপ্রিল নতুন ঢাকনা লাগিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেন জর্ডন রোডের বাসিন্দা ও ঐ পথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে।

গত ১৭ এপ্রিল পুনরায় জর্ডন রোডের আরো একটি লোহার স্লাব চুরি করে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত চোর। ফলে এই সড়কে আবারো ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। শুধু তাই নয়, চোরেরা নতুন লাগানো ঢাকনাটিও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, যার প্রমাণ চারপাশে ভাঙা ইটের সুরকী (ছবি)।

জর্ডন রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চোরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে গভীর রাতে এই সড়কটি ভয়ংকর হয়ে ওঠে এবং একা প্রতিবাদ করার সাহস হয়না বলে দাবি করেন অনেকেই। এই সড়কের পাশে বহুতল একটি ভবন রয়েছে। যেখানে সিসি ক্যামেরাসহ রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও।

এই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন আলম রায়হান বলেন, প্রায় প্রতি রাতেই রাত বারোটার পর একদল টোকাই শ্রেণির মাদকাসক্তদের সোরগোল শুনতে পাওয়া যায়। তারা ভবনের সামনে আসে না, যদি আসলে তাহলে ডাক দেওয়ামাত্র ছুটে পালিয়ে যায়। তবে আশেপাশের বাসিন্দারা কেউ ভয়ে বের হয়না বলে জানান তিনি।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এই সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সচেতন হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু জর্ডন রোড নয়, নগরীর সব রোডের বাসিন্দাদেরই সচেতন হতে হবে। এই নগরীর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নয়, আমার আপনার সকলের। নগরবাসী যদি সচেতন না হন, তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহর সুন্দর রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।

;

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেড় ঘণ্টার সভায় ৩ বার লোডশেডিং



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের একটি মতবিনিময় সভায় ৩ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন নির্ধারিত সময়ের পর বেলা ১২টায় শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিটে শেষ হয় মতবিনিময় সভা। এর মাঝে অন্তত ৩ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে সভাস্থলে।

একপর্যায়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান। প্রায় ১০ মিনিট পর আবারও সভাস্থলে ফিরে আসেন তারা।

এ সময় বারবার লোডশেডিংয়ের জন্য একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটি।

আয়োজক কমিটিতে থাকা ডা. সুজিত সাহা 'বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি আমাদের দায়িত্বে না। আমরা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলাম।

;

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যরাতের ঝড় বৃষ্টিতে মুহুর্মুহু বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রাঙামাটির বরকলে জটিলা চাকমা (৫৮) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভুধছড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী প্রমোদ কানু চাকমা জানান, রাতে হঠাৎ বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। 

এসময় আমি খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর আমার স্ত্রীও তার মেয়ে ও নাতনি সহ মাটিতে বিছানা করে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ আচমকা বাড়ির ছাদে বজ্রপাত হলে আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার গুরুতর অবস্থা দেখে নিকটস্থ বরকল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তার ছোট মেয়ে ও নাতনিসহ ঘুমাতে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এই সময় হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তবে সাথে থাকা তার ছোট মেয়ে ও নাতনি কাকতাঁলীয়ভাবে প্রাণে বেঁচে যান।

;

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার আসামির হাতে বাদী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার আসামির ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন ওই মামলার বাদী রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এরআগে একইদিন রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

নিহত রাহিদুল ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন নিহত রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।

সেই মামলার জেরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের উপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে (রাহিদুলকে) চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।

;