চীনা নাগরিক হত্যা মামলায় এখনো গ্রেফতার নেই কেউ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়ানহুই গাও, ছবি: সংগৃহীত

জিয়ানহুই গাও, ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে চীনা নাগরিক জিয়ানহুই গাও (৪৩) হত্যার ঘটনায় বনানী থানায় মামলা করেন অন্য চীনা নাগরিক জাহাং সু হোয়াং।

মামলা হওয়ার প্রায় ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

তবে ঘটনার দিনই সন্দেহভাজন হিসেবে তিন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে বা নতুন কাউকে এ হত্যা মামলায় এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাই ঘটনাটি এখনো রহস্যে ঘেরা রয়েছে।

এদিকে এ বিদেশিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের ধারণা, গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে গাওকে হত্যা করা হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে লাশটি মাটিচাপা দেওয়া হয়। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাও পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করতেন। এছাড়া পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রেরও পাথর সরবরাহকারী ছিলেন জিয়ানহুই গাও।

অন্যদিকে মামলাটি বনানী থানা পুলিশের কাছে থাকলেও ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি উত্তরের উপকমিশনার মশিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত প্রাথমিক অবস্থায় থাকায় এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

এর আগে বুধবার সকালে বনানীর এ ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাড়ির ফাঁকা জায়গা থেকে গাওয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার আগে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন গাও। পরদিন বুধবার সকালে গৃহকর্মীরা বাসার পাশের খোলা জায়গায় কাজ করছিলেন। এ সময় মাটির নিচ থেকে শরীরের কিছু অংশ বেরিয়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, মাটিতে পুঁতে রাখা মরদেহের গোড়ালি আর মাথার চুল মাটির ওপরে বেরিয়ে আছে। তখন গাওয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

বনানীর এ ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাসার ছয়তলার ৬-বি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন গাও। মি. গাও ওই বাসায় বসবাস করলেও মালিকের সঙ্গে ভাড়ার বিষয়ে তার কোনো চুক্তি হয়নি। গাওয়ের বান্ধবী লিউ সিসি ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে দেন। তবে চুক্তি করলেও লিউ সিসি অন্য বাসায় থাকতেন। গতকাল পর্যন্ত গাওয়ের বান্ধবী সিসিরও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ তাকেও খুঁজছে।

তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, বান্ধবী লিউ সিসিকে পাওয়া গেলে হত্যার রহস্য অনেকটা খুলবে।