হাজারো শিশুর কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
এক হাজার ৯২০ জন শিশু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কণ্ঠে ধারণ করে/ছবি:বার্তা২৪.কম

এক হাজার ৯২০ জন শিশু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কণ্ঠে ধারণ করে/ছবি:বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এক হাজার ৯২০ শিশুর কণ্ঠে শোনা গেল ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ।

মুজিববর্ষ উদযাপন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই আয়োজনে এক হাজার ৯২০ শিশুর অংশগ্রহণ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আজকের অনুষ্ঠানে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের সেই ভাষণ নিজেদের কণ্ঠে ধারণ করে।

খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়

এরপর সাড়ে ১১টায় ১৫ আগস্টে শহীদ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দেয়া ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ১৯২০ জন আলেম দোয়া ও মোনাজাত করেন। অনুষ্ঠানটিতে সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা মুজিবকোট পড়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়া জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ভাষণ শুনতে সর্বসাধারণের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনির মাধ্যমে কাউন্টডাউন প্রথম প্রহরে মুজিববর্ষ সূচনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধুর ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, সোয়া ১০টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

 অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাতেরও আয়োজন ছিলো

এদিকে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার জন্য জেলায় ১৯টি মেশিন বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। এরমধ্যে নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ও শহীদ হাদিস পার্ক, খুলনা সার্কিট হাউজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়সহ জেলার রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, কয়রা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কার্যালয়ে কাউন্টডাউন ওয়াচ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর দৌলতপুরস্থ সেভ এন সেইফ, জোড়াগেট মোড়সহ মোট পাঁচটি স্থানে এ ওয়াচ স্থাপন করা হয়েছে।

আজ বিকেলে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনা নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে বসানো জায়ান্ট স্ক্রিনে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

   

মহাসড়কে লরির ধাক্কায় খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, শিক্ষার্থীসহ আহত ১৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহাসড়কে মালবোঝাই লরির ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে খাদে পড়ে শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে খৈয়াছড়া ঝরনা রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত যাত্রীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে ৫ জন নিজামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা আহতেদর উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আলম বলেন, দুপুর ১টার দিকে উত্তরা পরিবহনের একটি বাসকে বিএসআরএম’র মাল বোঝাই লরি ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। লরিটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১৫ জনের মত যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয় নিজামপুর কলেজের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। তারা কলেজ শেষে উত্তরা বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

ওই বাসে থাকা নিজাম উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, আমি শুকলালহাট থেকে বারইয়ারহাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসটিতে উঠি। কিছু বুঝে উঠার আগেই পেছন থেকে একটি স্ক্র্যাপবোঝাই বিএসআরএমের লরি আমাদের বাসটিকে ধাক্কা দিলে এটি রাস্তার পাশে উল্টে খাদে পড়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আমার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাসে থাকা ১৫-২০ যাত্রী আহত হয়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এর আগে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধারে কাজ চলছে।

;

চিকিৎসক হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ ২ জন কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
হত্যা মামলার আসামি/ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলার আসামি/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হওয়া দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীকে হত্যা মামলায় গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে দন্ত চিকিৎসককে হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিল দুই আসামি।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশান এবং আরিফুল্লাহ রাজু।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যা মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে বুধবার সকালে আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিল। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এইএচএম জিয়া উদ্দিন জানান, আজ গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজু উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিল। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গোলাম রসুল নিশান মামলার ৭ নম্বর আসামি। নিশানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নেতৃত্বে আসামিরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করত এবং তার নির্দেশনায় হামলা হয়। কিন্তু নিশান ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিল না। অপর আসামি রাজুর বিরুদ্ধে এফআইআরের কোন অভিযোগ ছিল না।

এদিকে আদালতে গোলাম রসুল নিশান অনুসারী কিশোর গ্যাংয়ের প্রায় ৬০ জন সদস্য সকাল থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালত কক্ষের সামনে ভিড় করে। দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যা মামলায় আদালতে শুনানি শেষে কক্ষ থেকে আসামি গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা দেয়। এছাড়াও ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে তাদের হুমকি দেয়। প্রথম আলোর আলোকচিত্রী সৌরভ দাশ আসামির ছবি তুলতে গেলে তাকে গালিগালাজ করে। ভিডিও ধারণের সময় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফার মো.আলমগীরকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয় তারা। পরে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফিরোজশাহ কলোনির ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় গত ৫ এপ্রিল কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েছিলেন দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও হামলার শিকার হন কোরবান আলী। গত ১০ এপ্রিল একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোরবান আলীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল আলী রেজা বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা গোলাম রসুলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় হত্যা মামলা করেন।মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। এই মামলায় আসামিরা হলেন- মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, আরিফুল্লাহ রাজু, অপূর্ব, সাগর, রিয়াদ, সংগ্রাম ও শাফায়েত।

;

চট্টগ্রামের সবচেয়ে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজের দাবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার মোড়। সাতদিক থেকে ছোট-বড় সড়ক এসে মিলিত হয়েছে এই মোড়ে। তার ওপর আবার এই মোড়ে পড়েছে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সংযোগমুখও। সড়ক পারাপারে তাই এই মোড়টি তাই পথচারীদের জন্য হয়ে ওঠেছে সবচেয়ে বিভীষিকার। সেই ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে এবার একজোট হয়েছে তিন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতারা।

রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষ তিন দলের কর্মীদের ফুটওভার ব্রিজের দাবিতে এক করার এই উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল। এই সংস্থার ২৪তম ব্যাচের প্রধান তিন দলের (আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি) তরুণ নেতারা গত মে থেকে চট্টগ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি লালখান বাজার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যক্রমের আওতায় তরুণ ফেলোরা পারস্পরিক ও নিজ নিজ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরের নাগরিকদের সঙ্গে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে আলাপ অলোচনা করেন এবং সমস্যা সমাধানের দাবি সম্বলিত, স্থানীয় প্রায় তিনশ মানুষের সই নেন।

বুধবার (২৬ জুন) এই বিষয়ে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ২৪তম ব্যাচের তিন তরুণ রাজনৈতিক ফেলো যুব মহিলা লীগের সদস্য নাজমা সুলতানা নুপুর, মহানগর মহিলা দলের সমাজ কল্যাণ সম্পাদিকা অ্যাডভোকেট বিলকিস আরা মিতু এবং জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউএসএআইডি-এর সহায়তায় আর্ন্তজাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ‘স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় লালখান বাজারে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লালখান বাজারের মোড়টি পথচারীদের রাস্তাপায়ারের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিরাপদ। এ স্থানে নগরীর অন্যতম গরুত্বপূর্ণ আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওয়ার ও নগরীর প্রধান লাইফ লাইন সিডিএ এভিনিউ/এম এম আলী সড়কের সংযোগস্থল হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। সেই সঙ্গে চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, হাইলেবেল সড়কের সংযোগস্থল হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক পথচারী পারাপার করে। পথচারী পারাপারের কোনো সুষ্ঠ ব্যবস্থা না থাকায় চলন্ত যানবাহরে মাঝে পথচারি পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রায় এই স্থানে দুর্ঘটনার ঘটে থাকে, সেই সঙ্গে নগরবাসী এই স্থানে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হোন। ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিরাপদ লালখানবাজার মোড়কে নিরাপদ করতে চট্টগ্রামবাসীর বহুদিনের দাবি, লালখানবাজার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।

এই মোড়ের পথচারী ও সাধারণ জনগণকে রাস্তা পারাপারের জন্য অনেক ঘুরপথ দিয়ে যেতে হয় জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, রাস্তা পারাপারের জন্য কোন ফুটওভার ব্রিজ নেই বিধায় অনেকে দ্রুত রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা পড়েন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সড়কে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাদের এই পারাপারকে শঙ্কামুক্ত রাখতে উক্ত স্থানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।

তারা লালখান বাজার মোড়ে দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ লাঘব, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যানজট নিরসন, পথচারী পারপার নির্বিঘ্ন করতে অনতিবিলম্বে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

;

বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

বগুড়ায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে তিনি ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি ঘটনা আছে। পূর্ববর্তী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষ যখন আদালতে আসে, সেখানে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার কোনো জায়গা থাকেনা। তখন প্রধানমন্ত্রী সহানুভূতিশীল হয়ে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তারই অংশ বগুড়ার এই ন্যায়কুঞ্জ। প্রায় এক বছর আগে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিলো। সারা দেশে ২ ধরনের ন্যায়কুঞ্জ আছে ৮০০ বর্গফুট ও এক হাজার বর্গফুট আয়তনের। বগুড়া জেলা বড় বিধায় এখানে এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জ নির্মিত হয়েছে। যেসকল বিচারপ্রার্থী মানুষ বগুড়ার আদালতে আসেন তারা যেন সাচ্ছন্দে এখানে বসতে পারেন, বিশ্রাম ও পানি পান করার সুযোগ পান এই উদ্দেশেই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মানুষের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাদের জন্য ন্যায় বিচার সেই বিচারপ্রার্থী মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বিচার বিভাগকে যেমন চিন্তা করতে হয়; একই সঙ্গে রাষ্ট্র অবশ্যই তা চিন্তা করে। আর রাষ্ট্র চিন্তা করে বলেই বিচার বিভাগের প্রস্তাবে সরকার সাড়া দেওয়ায় ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের শাসনের অধিকার প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান এই অধিকারকে নিশ্চিত করেছে। যারা বিচারপ্রার্থী মানুষ এখানে আসবেন, স্বাক্ষী দিতে যারা আসবেন তারা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এমনকি জামিনে থাকা আসামীরাও এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। এতে করে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। এক সময় আমরা দেখতে পাব বিচার কাজের মন্থরগতি কমে গেছে, বিচার গতি পেয়েছে এবং বিচারকাজ গতিময়তার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই আমরা বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে চাই এবং এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক অভিভাষণ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো. শহিদল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা জজ) শরনিম আকতার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আশিকুল খবির, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজবৃন্দ, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকগণ ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য একটি ওয়েটিং রুমে বসার জন্য ৭২টি সিট রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দুগ্ধপোষ্য শিশু ও মায়ের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রয়েছে। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা শৌচাগারসহ জরুরী প্রয়োজনে খাবার কেনার জন্য আলাদা ফুড কর্নারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই ন্যায়কুঞ্জে। প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেছে বগুড়ার গণপূর্ত বিভাগ।

;