‘বন্ধ হচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, আতঙ্কে যাত্রীরা’



তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ/ছবি: বার্তা২৪.কম

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্য যেকোনো গণপরিবহনের তুলনায় নিরাপদ হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ ট্রেনে ভ্রমণ। কিন্তু ট্রেনের যাত্রীদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে আচমকা চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কাজ করলেও সহসাই রোধ করা যাচ্ছে না ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা।

রেল সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২ হাজার ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ফলে দরজা জানালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাথরের আঘাতে যাত্রীদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে প্রীতি দাশ নামের এক প্রকৌশলী নিহত হবার পর, এ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। গত বছর নিহত হয় রেলেরই এক (টিটি) পরিদর্শক। তাছাড়া গত বছরের মে মাসে জিসান নামে একটি শিশুর আহত হবার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনায় আসে রেলে পাথর নিক্ষেপের বিষয়টি।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস কুমিল্লার গোমতী ব্রিজ এলাকায় আসলে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙে ৪ যাত্রী আহত হয়।

তাছাড়াও গত বছর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী উত্তরাঞ্চলে ভ্রমণের সময় তাকে বহনকারী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তার বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘এই ধরনের জঘন্য অপরাধ যারা করবে তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দিতে হবে।

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে জানতে চাইলে নিয়মিত ট্রেনে যাতায়াত করা ইয়াসিন আরাফাত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। মাঝে মধ্যেই ছুটিতে বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। আরামদায়ক ও নিরাপদ হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই যাওয়া আসা করা হয় ট্রেনেই। তবে বিভিন্ন সময় দেখি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত-নিহত হন। এসব ঘটনা আমাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করছে।’

এদিকে রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তাছাড়া পাথর নিক্ষেপে যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রেল সূত্রে আরও জানা যায়, বাংলাদেশে রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৯২৯ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার। সারাদেশে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ৩৩২টি এবং সর্বমোট স্টেশন রয়েছে ৪৬০টি । রেলের দুই বিভাগের ২০ জেলার মধ্যে ৭০ থেকে ৭২টি স্থানকে পাথর নিক্ষেপের স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থান থেকেই পাথর নিক্ষেপের ঘটনাগুলো ঘটছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে রেলপুলিশের মাঠে কাজ করা এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সাধারণত নিরিবিলি এলাকাগুলোতে হয়ে থাকে। দেখা গেছে রেল লাইনের আশপাশে যে সব বাড়ি ঘর আছে সেখান থেকে কেউ একজন রেল লাইনের পাথর নিয়ে নিক্ষেপ করে দিল। অনেক সময় দুষ্টামির ছলে অনেকে এ কাজ করে থাকে। একটা ট্রেন ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলছে ওই সময় কেউ একজন পাথর নিক্ষেপ করলে তাকে আর ধরার মতো নজরদারি থাকে না।

পাথর নিক্ষেপের বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে রেল বিভাগ জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (অপারেশন) মোছা. রশিদা সুলতানা গণি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, পাথর নিক্ষেপ দেখার দায়িত্ব আমাদের আরএনবি, রেল নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের। লিফলেট দিয়ে এবং পাথর নিক্ষেপের স্পট চিহ্নিত করে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করে ওই সব এলাকায় দেখানো হচ্ছে এবং মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে প্রচার-প্রচারণা করার কারণে আগে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কিছুটা কমেছে । তবে এখন কিছু মাদকাসক্ত আছে যারা এই কাজ করে থাকে। আগে পাথর নিক্ষেপ প্রতিদিনই ঘটতো কোনো না কোনো ট্রেনে। তবে বর্তমানে এটি কিছুটা কমেছে ।

   

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৪



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও মসজিদ কমিটি কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বিত্তিপাড়া গ্রামের মৃত কলিল মন্ডলের ছেলে জাহিদুর মন্ডল (৫৫), মৃত ফকির মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল (৬০), মৃত মকবুল মন্ডলের ছেলে খালেক মন্ডল (৫৫) ও মৃত আহসান আলীর ছেলে আক্কাস মন্ডল (৫০)।

আহতরা সবাই উজানগ্রামের বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থক।

আহতরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে বিত্তিপাড়া তেল পাম্পের নিকটে মোহিদের দোকানে বসে চা পান করছিলেন তারা। হঠাৎ করে উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক ও তার লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।

বুধবারের এই ঘটনার আগে গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর আগে ঈদের (ঈদুল ফিতর) নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোশত কিনতে গিয়ে দু’পক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এরপর ঈদগাহে আসার পথে বক্কার গ্রুপের লোকদের মারধর করা হয়। পরে সাড়ে ৮টার দিকে ঈদগাহের দখল নিয়ে দুপক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে বক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হন। পূর্বের ঘটনার জেরে সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে।

সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. শারমিন আক্তার জানান, ‘আমার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিত্তিপাড়া জামে মসজিদের গেইটের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান পাই। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দীক মসজিদে গিয়ে দাবি করেন, তিনি এ টাকা জেলা পরিষদ থেকে নিয়ে এসেছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। সে সময় তিনি দাবি করেন তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বানাতে হবে। এই নিয়ে মসজিদে মধ্যে হট্টগোল বাঁধে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হোসেন মেম্বারের লোকজন বাজারে গোশত কিনতে আসে। লোক মুখে শুনেছি, তখন সরদার পাড়ার জামাল পাগল অর্থাৎ জামাল খোড়া হোসেন মেম্বারের এক সমর্থককে মারধর করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেই সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। ওই মারামারি ঘটনা সমাধান না হওয়ার জের ধরে বুধবার অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীকের সমর্থকরা হোসেন মেম্বারের সমর্থকদের উপর এই হামলা চালিয়েছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘জেলার শীর্ষ নেতারা উভয় পক্ষের লোকজনদের এক জায়গায় বসিয়ে এই মারামারি, এই সংঘর্ষ পুনরায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে একটি সমাধান করে দেবেন। আমরা গ্রামের শান্তি চাই।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন অহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিত্তিপাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

;

মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা মাইন ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খননের সময়ে বেরিয়ে আসা দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটায় ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে ছিটরাজিব ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের এক পতিত জমি খননের সময়ে শ্রমিকরা থ্রি নট থ্রি রাইফেলের যন্ত্রাংশ, দুইটি মাইন ও একটি মটরসেল দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। সেসময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। পরে বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিস্ফোরণ করেন। ধারণা করা হয় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল।

এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টার শেলটি তাজা ছিল। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেগুলো বিস্ফোরণ করেন।

;

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;