আরও ধর্ষণ! আরও নারী নির্যাতন!



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
আরও ধর্ষণ, আরও নারী নির্যাতনের শেষ কোথায়, ছবি: সংগৃহীত

আরও ধর্ষণ, আরও নারী নির্যাতনের শেষ কোথায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশেষত যৌন নির্যাতন তথা ধর্ষণ সাম্প্রতিককালে শুধু দৃষ্টিকটুভাবে দৃশ্যমানই নয়, অতি প্রবল ও আগ্রাসীভাবে বেড়েই চলেছে। চারদিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে আরও ধর্ষণ! আরও নারী নির্যাতন!! শোনা যাচ্ছে নিপীড়িত নারীর গোঙানি ও আর্তনাদ।   

প্রতিনিয়তই উন্মত্ত পাশবিকতার নির্মম যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে নারী। প্রতিদিনই দেশব্যাপী একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। এক এলাকায় ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গণমাধ্যমে আসছে নতুন আরেক ধর্ষণের খবর। এমন নির্মমতার খবরের যেন শেষ নেই।

দিনকয়েক আগে রাজধানীর কুর্মিটোলায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী। এক মাদকাসক্তই তাকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ। গাজীপুর থেকে ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ক'দিন পরই  রাজধানীরই ভাটারায় মাত্র ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ভাটারায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, ঢামেকে ভর্তি

এভাবে প্রতিদিনই ঘটছে নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা। কোনটি গণমাধ্যম পর্যন্ত আসে, কোনটি চাপা পড়ে যায় নানা কারণে। অপরাধীদের ভয়ে, লোকলজ্জায়, সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়া এবং কন্যার ভবিষ্যৎ চিন্তায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। ফলে গণমাধ্যমে প্রায়শই সব খবর আসে না। এমনকি থানা-পুলিশ পর্যন্ত সে সব সংবাদ পৌঁছে না।

যার কারণে বাংলাদেশের মতো সমাজে বেশির ভাগ ধর্ষণ-ঘটনাই সাধারণ মানুষের জানার বাইরে থেকে যায়। আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ার পাশাপাশি মাদকের বিস্তার এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ থেকে চ্যুতির কারণেই যে এসব ঘৃণিত ও চরম পাশবিক অপকর্ম হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সন্দেহ নেই, এ ব্যাপারে এখনই বিশেষ প্রতিষেধক-উদ্যোগ না নিলে আগামীতে তা নিয়ন্ত্রণহীন পর্যায়ে চলে যাবে। ধর্ষণ ও নারী-শিশুর প্রতি নৃশংস সহিংসতা বাড়তে বাড়তে মানুষের স্বাভাবিক-নিরাপদ বসবাস বিষিয়ে তুলবে।

ধর্ষণ যে একটি চরম সমস্যা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী গত বছর মোট ৪,৬২২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৭০৩ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৭ জনকে। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৪৫ জনের সঙ্গে।

গত এক বছরে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনা ২০১৭ ও ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ২৪ জন; অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৫১ জন; অপহরণের শিকার হয়েছে ১৪৭ জন; অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১ জনকে; ১৭ জন নারী ও শিশুকে পাচার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সাতজনকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হয়। একই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৬৩২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে; উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১০৪ জনকে, এ কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৭ জন। গত বছর নির্যাতনের কারণে ২৬৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে; ফতোয়ার শিকার হয়েছে ২৪ জন।

অতি সম্প্রতি ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পৌর কাউন্সিলরের বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ এবং ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে এক কিশোরী ও ঢাকার সাভারে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে।

নানা গবেষণা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে না, অভিযোগ দায়ের হয় না, পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয় না। নারী ও শিশু ধর্ষণ ঘটনায় প্রায় ক্ষেত্রেই উভয় পক্ষের লোকজন দিয়ে মীমাংসা করিয়ে নেয়া হয়। কখনও কখনও ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতাকে বিয়ে দেয়া হয়। ফলে এসব নির্যাতনের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে থাকে।

এটি কোনো মতেই সভ্য ও সুস্থ সমাজের লক্ষণ হতে পারে না। কারণ, যৌনসন্ত্রাসের ভয়াবহ চিত্রের অবসানে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংস অপরাধের রাশ টেনে ধরার জন্য প্রথম কর্তব্য হচ্ছে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠিন আইন প্রয়োগে গতি সঞ্চার করা। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মধ্য দিয়ে সমাজে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত করা। তা যদি না হয় বা উল্টোটা হয়, তখন সমাজ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়। অপরাধীরা তখন বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

এজন্য সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে আইনের নিরপেক্ষ ও কঠোর প্রয়োগের বিকল্প নেই। দ্রুততর করতে হবে বিচারের কাজও। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ধর্ষণজনিত অপরাধের বিচার ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু নানা কারণে তা হচ্ছে না। এতে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিতে হবে।

আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজ মানসেও পরিবর্তন আনতে হবে। ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ থাকতে হবে। সবাই যদি সতর্ক ও সচেতন থাকে, তাহলে ধর্ষণের হার নিশ্চয়ই কমে আসবে। নচেৎ পুরো সমাজ ব্যবস্থাই নারী নির্যাতনের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এবং নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতার কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য হবে।

আরও পড়ুন: ‘তুমিই ধর্ষক’ 

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;