‘প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ জন কাউন্সিলর নিয়োগ দেবে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন ড. দীপু মনি, ছবি: বার্তা২৪.কম

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন ড. দীপু মনি, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন নারী এবং একজন পুরুষ কাউন্সিলর নিয়োগ দেবে সরকার।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) আয়োজিত ‘শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে প্রতিটি জেলায়, সম্ভব হলে প্রতিটি উপজেলায় দু’জন করে কাউন্সিল নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে একজন থাকবে নারী, অন্যজন পুরুষ। পরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একজন নারী ও একজন পুরুষ কাউন্সিলর নিয়োগ করা হবে। শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।’

‘আমরা শিক্ষায় অনেক এগিয়েছি। আমাদের অনেক সাফল্য। এখন মানসম্মত শিক্ষা দেওয়াটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। একজন শিক্ষার্থীকে শুধু ভালো ফল করলেই চলবে না, সচেতন ও সুনাগরিকও হতে হবে। সেটিই আসলে মানসম্মত শিক্ষা। একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে হলে স্বাস্থ্যে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীর পুষ্টির কথা ভাবতে হচ্ছে। যা ১০ বছর আগেও ভাবা সম্ভব হয়নি,’ বলেন ডা. দীপু মনি।

যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নৈতিকতার শিক্ষা প্রয়োজন, আমাদের সংবেদনশীলতা দরকার এবং শিক্ষার্থীদের সাহসী হওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। প্রথমেই বড় ঘটনা ঘটে না। যখন হয়রানির শিকার হয়েও চুপ করে থাকে, তখন অপরাধীরা বড় ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পেয়ে যায়।’

পরিবারের সবাইকে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নিপীড়নের শিক্ষা নারী শিক্ষার্থীকে শুধু সমাজে নয়, প্রথমে পরিবারেই নারীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে, তাকেও অপরাধী সাবস্ত করা হচ্ছে। কাজেই সচেতনতা, সংবেদনশীলতা পরিবার থেকেই শুরু হতে হবে। বাবা, মা ও শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।’

নৈতিকতার শিক্ষা বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নৈতিকতার শিক্ষা ভেঙে গেলে জোড়া লাগানো যায় না। কোনো সুপারগ্লু নেই। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। পজেটিভ সংবাদ প্রকাশ করে দেশের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম পজেটিভ বা নেগেটিভ সংবাদ করবে না, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। তাহলেই অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা যাবে। দেশের মানুষের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখছে, ভবিষ্যতে গণমাধ্যম আরও ভূমিকা রাখবে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করায়। শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের নৈকিতার শিক্ষা দেবেন, যদি তা না হয়, সে লজ্জা শিক্ষকদের বহন করতে হবে।’

সভায় আরো বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব শাহজাহান আলম সাজু, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান, সিটি কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্বাস এবং সাংগাঠনিক সম্পাদক নূর এ আলম পিন্টু।

   

বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত

কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের ২ বগি লাইনচ্যুত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেন (ঈদ স্পেশাল) লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা জংশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।

তিনি বলেন, ডুলাহাজারা জংশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ২ টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনটি উদ্ধার করার জন্য উদ্ধারকারী দল রওয়ানা দিয়েছে।

ডুলাহাজারা থেকে তীব্র গরমের মধ্যে বাসে সবাই কক্সবাজারে ফিরে এসেছে বলে জানান যাত্রীরা।

ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী সায়ন্তন ভট্টাচার্য বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলাম। ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়। তীব্র গরমের মধ্যে সব যাত্রীরা বাসে ফিরে যাচ্ছে। আমরাও বাসেই কক্সবাজারে চলে আসি। ট্রেনটি ঠিক হতে হয়তো সারাদিন লেগে যেতে পারে।

;

র‌্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাকে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাব ১১ জন মুখপাত্র পেয়েছে। আরাফাত ১২তম মুখপাত্র হলেন।

দীর্ঘ তিনবছর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা মঈন গত বৃহস্পতিবার নিজ বাহিনীতে ফেরত যান। এর আগে তিনি ২০২১ সালের ২৫ মার্চ র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হন।

জানা গেছে, কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বর্তমানে র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতবছরের জানুয়ারিতে তিনি ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পান। ২০২২ সালে তিনি প্রেষণে র‌্যাবে আসেন। নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা ১৯৯৫ সালে বাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে আরাফাত ইসলাম নেভিগেশন অ্যান্ড ডাইরেকশনের ওপর স্পেশালাইজেশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি আবহাওয়াবিদ্যায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

পেশাগত জীবনে তিনি নৌবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে লেবানন এবং সাউথ সুদানে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি নৌবাহিনী প্রধানের প্রশংসা, ফোর্স কমান্ডার’স কমেন্ডেশনসহ নৌ উৎকর্ষতা পদক (এনইউপি) এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড মেডেল (পিসিজিএম) এ ভূষিত হন। তাছাড়া পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশের প্রায় ৩৪টি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই কন্যা সন্তানের জনক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১০ পিস ইয়াবা, ১০ কেজি ৪০০ গ্রাম ৪০ পুরিয়া গাঁজা, ১৫১ গ্রাম হেরোইন ও ৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর, নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত রানা প্লাজা ধ্বসের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ভবন ধ্বসের ঘটনায় আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনেরা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সাভার বাজার স্ট্যান্ড সংলগ্ন ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে এই শ্রদ্ধা জানান তারা। এসময় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা ভবন মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। পাশাপাশি আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দাবি করেন।

এদিকে, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

;