আর্থিক সংকটে রিফাত শরীফের পরিবার



জহির রায়হান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
রিফাত শরীফ ও বাবা দুলাল শরীফ /ছবি: সংগৃহীত

রিফাত শরীফ ও বাবা দুলাল শরীফ /ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় কলেজ রোডে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আলোচিত হত্যাকাণ্ডটি দেশব্যাপী মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। রিফাত ছিল বাবা-মার একমাত্র ছেলে।

রিফাতের নিথর মরদেহ দেখে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার। পরিবারে রয়েছেন হার্টে রিং বসানো বাবা দুলাল শরীফ, বাতজ্বরে আক্রান্ত মা ডেইজি বেগম আর একমাত্র অনার্স পড়ুয়া বোন ইসরাত জাহান মৌ।

এখনো রিফাতের কবর জিয়ারত আর রাতভর কান্না করে প্রতিদিন বুক ভাসান মা-বাবা। ছেলের মৃত্যুর পর থেমে যায় দুলাল শরীফের কৃষি নির্ভর সংসার। নিজের জমি আবাদ করে ধান-চাল বিক্রি করেই চলছে জীবন-সংসার৷

তারপরও বাঁচার তাগিদে প্রতিমাসে ১৫/১৬ হাজার টাকার ঔষধ কিনে খেতে হয় রিফাতের মা-বাবার। ছোট মেয়ে মৌ-এর লেখা-পড়ার খরচ চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে রিফাতের বাবার।

রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বার্তা২৪.কম-কে জানান, রিফাতের মৃত্যুর পর দিনে দিনে বিভিন্ন ভাবে খরচ বেড়ে গেছে। তবে আয়ের উৎস কমে গেছে। সব মিলে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট ।

তিনি আরও জানান, রিফাত হত্যাকাণ্ডের মামলা চালাতে কোন খরচ না লাগলেও যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। তবুও ছেলের হত্যার দ্রুত ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশাবাদী এই পিতা।

রিফাতের মা ডেইজী বেগম সাংবাদিকদের জানান, ছেলের হত্যার পেছনে মিন্নিকে দায়ী করে সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

রিফাতের বোন ইসরাত জাহান মৌ জানান, নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ভাই রিফাতের সঙ্গে মিন্নির প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে ষড়যন্ত্র করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়।

চলতি মাসের ৮ জানুয়ারি চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে রিফাত হত্যা মামলার বিচারকার্য শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালত এ হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন তাতে খুশি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নিহত রিফাতের পরিবার।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ আর যোগ্যতা অনুযায়ী রিফাতের ছোট বোন ইসরাত জাহান মৌ’র একটা চাকুরীর দাবি রিফাতের পরিবারের ।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সর্বশেষ বিচারকার্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বার্তা২৪.কম-কে জানান, আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়।

ইতোমধ্যে ‍রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

এর আগে গেল বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে জখম করা হয় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

রিফাতকে কোপানোর ঘটনার ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে তা পুরো দেশবাসীকে নাড়িয়ে দেয়। রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পর ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও শহরের মাদ্রাসা পাড়া থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর বাড়ির পাশের গলি থেকে নিবির (১২) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের গলিতে ছেলের অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন নিবিরের মা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিবির ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী আব্দুস সালাম বাবলুর ছেলে। সে সালান্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- একই এলাকার শিপন আলীর ছেলে আলিফ ও ফজর আলীর ছেলে লিখন।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি নিবির। এ নিয়ে সদর থানায় জিডি, মাইকিং ও ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার করা হলেও সন্ধান মেলেনি তার।

বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্য রাতে (শনিবার, ২০ এপ্রিল) বাড়ির জানালায় বিকট শব্দ করে দুর্বৃত্তরা। ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বাইরে আসেননি। তবে সকালে বাড়ির পাশের গলিতে নিবিরের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন নিবিরের মা। এরপর পরিবারের সবাই সেখানে হাজির হয়। পরে থানায় জানানো হয়।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;

হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা থানার হাতিরঝিল অংশের পুলিশ প্লাজার পেছনের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতের নাম- মো. রবিন (২৯)। পিতা আব্দুল সাত্তার। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায়।

এর আগে, শনিবার সকাল বেলা ব্রিজ ধরে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে পথচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনাস্থল বাড্ডা থানাধীন হওয়ায় পরে বাড্ডা থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন গাজী।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি পুলিশ প্লাজার পেছনে ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। পরে বাড্ডা থানার একটি টিম গিয়ে উদ্ধার করে মরদেহটি।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পুলিশ কাজ করছে। তবে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

;

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়ে মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত কাশেম গাজীর ছেলে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সাথে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যান। সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই  মধ্যে বনবিভাগের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তারা ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে।



;

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি মো. মামুন (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শিহাব করিম বলেন, ওয়ারেন্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে শহরের দত্তবাড়ি থেকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় যান। ভিকটিম রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ফোন করে পরিবারের সদস্যদের বলেন, তিনি যাত্রী নিয়ে জয়পুরপাড়ায় আছেন। এরপর থেকে সাইদুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে সাইদুল বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে শহরের ধরমপুর গড়েরহাট এলাকায় ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি বাগানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়ারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ৫ বছর জেল হাজতে কারাবাসের পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন নিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। 

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। বগুড়ার বিজ্ঞ ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারকার্য শেষে মো. মামুন এর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড সাজা প্রদানপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-২ আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ডিএমপি দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মামুনকে গ্রেফতার করে। 

তিনি বলেন, জানা যায় আসামি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;