‘প্রতিদিন ই-পাসপোর্টের ৫শ আবেদন নিতে পারব’



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চালু হয়েছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট পরিষেবা। সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও ই-পাসপোর্টের আবেদন সবাই কি করতে পারছেন? ই-পাসপোর্টের সুযোগ-সুবিধাই বা কী? এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজ অফিস কক্ষে বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারেই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাকিল আহমেদ। বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হল।

বার্তা২৪.কম: প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর ই-পাসপোর্ট সেবা কি পুরোপুরি চালু হয়েছে? 

মে. জে. সাকিল আহমেদ: হ্যাঁ, আমরা কিছু নীতিমালার আওতায় ই-পাসপোর্টের অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করব। যাদের এমআরপি আছে এবং এমআরপির মেয়াদ আছে তারা এমআরপি নিয়েই চলতে পারবেন। এমআরপির ওপরে এখনো কোন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় নাই।

সাক্ষাৎকারে কথা বলছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বার্তা২৪.কম: শোনা যাচ্ছে ই-পাসপোর্টে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে না? 

মে. জে. সাকিল আহমেদ: না,ঠিক তা না। যদি পাসপোর্ট নতুন ইস্যুর আবেদন করে তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে। আর যদি রি-ইস্যু হয় তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে না।

বার্তা২৪.কম: সাধারণ মানুষ কি আবেদন করতে পারছেন? 

মে. জে. সাকিল আহমেদ: হ্যাঁ, সাধারণ মানুষ আবেদন করতে পারছেন। অনলাইনে বা পিডিএফ ফাইলে প্রিন্ট করে আবেদন করা যাবে। তবে আমরা অনলাইনে আবেদন করাতে উৎসাহিত করি। কেননা সেখানে আবেদন করলে সেবাগ্রহীতা জানতে পারবেন তাকে কোন দিনে কখন সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। অযথা এসে বসে থাকার দরকার নেই। অনলাইনে আবেদন করার পর এনআইডি নিয়ে আসতে পারলে ভালো হয়। আমরা এনআইডি নম্বর দিয়ে সব তথ্য ঠিক করতে পারব।

বার্তা২৪.কম: ই-পাসপোর্ট যারা পাচ্ছেন না তাদের জন্য কী ব্যবস্থা আছে?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: যাদের এমআরপি আছে তারা এমআরপি নিয়েই চলতে পারবেন। আর যারা নতুন ইস্যু তারা ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হয়ে যাচ্ছে তারাই শুধু ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমআরপির কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। আমাদের রিসোর্স দুই ভাগে ভাগ করে ফেলছি। একদিকে এমআরপি চলছে আরেক দিকে ই-পাসপোর্ট চলছে।

বার্তা২৪.কম: ই-পাসপোর্টের জন্য আমাদের বিমানবন্দরের গেটগুলো প্রস্তুত কি না?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমনে ৬টি আর আগমনে ৩টি ই-গেট স্থাপন করেছি। আরও দুটো বিমানবন্দর আর স্থলবন্দরে ই-গেট স্থাপনের কাজ চলমান আছে।

বার্তা২৪.কম: ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য কতগুলো বুথ রয়েছে? 

মে. জে. সাকিল আহমেদ: আমরা প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও-উত্তরা এবং যাত্রাবাড়ী— এই ৩টা আরপিও থেকে যাত্রা শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব অফিসে বুথ স্থাপন করব।

বার্তা২৪.কম:উদ্বোধনের পর দিন এখন পর্যন্ত কতগুলো আবেদন জমা পড়েছে?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: আমরা এখন প্রতিদিন ৩০০-৫০০ আবেদন রিসিভ করতে পারি। নতুন সিস্টেম, নতুন সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত হতে একটু সময় লাগবে। আমাদের অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তাদেরও এটার সঙ্গে পরিচিত হতে একটু সময় লাগবে। কাজ করতে করতে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ই-পাসপোর্টের যন্ত্রগুলো উন্নত প্রযুক্তির। যেমন ছবিটা যদি ভালো না হয় বা ছবি পাসপোর্টে দেওয়ার মতো না হয় তাহলে কম্পিউটার গ্রহণ করে না। এছাড়া আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না হলে গ্রহণ করে না। চোখের কর্নিয়ার ইমেজটা যদি ঠিকমতো না আসে গ্রহণ করে না। এসব কারণে প্রাথমিকভাবে সময়টা একটু বেশি লাগতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই সময়টা কমে যাবে। তখন অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করার গতিও বেড়ে যাবে।

বার্তা২৪.কম এর আলাপচারিতায় কথা বলছেন মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ

বার্তা২৪.কম: আবেদন করার পর ই-পাসপোর্ট কতদিনের মধ্যে হাতে পাবেন আবেদনকারী?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: আগের মতোই রেগুলার, এক্সপ্রেস, সুপার এক্সপ্রেস—এই তিন ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে। একই সময়সীমা ২১ দিন ও ৭ দিন। ২ দিনের মধ্যেও পাসপোর্ট দেব, সেটা সুপার এক্সেপ্রেসে আবেদন করলে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিজ উদ্যোগে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

বার্তার সঙ্গে আলাপ চলাকালে এক কর্মকর্তা এসে মহাপরিচালককে বললেন— ‘সব ঠিক করে আসলাম, ই-পাসপোর্টের সব প্রস্তুত! আগামী ৫ সপ্তাহের জন্য বুকড।

এরপর মে. জে. সাকিল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেখলেন ৫ সপ্তাহের জন্য এরই মধ্যে বুকড হয়ে গেছে! আসলে নতুন জিনিস, এর জন্য সবার আগ্রহ থাকবে।

বার্তা২৪.কম: বুকড কারা করেছে?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: গত দুইদিনে দুই হাজার আবেদন জমা পড়ছে। আর এজন্যই বুকড। আমরা সিরিয়ালি তাদেরকে ডাকবো। শিডিউলটা আমরাই করে দিচ্ছি। আবেদন করার পর আমরা তারিখ ও সময় দিয়ে দিচ্ছি যে, অমুক দিন ওই সময় তার সাক্ষাৎকার। শুধু শুধু এখানে এসে বসে থাকার দরকার নেই।

বার্তা২৪.কম: ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে সময় বেশি লাগছে কি?

মে. জে. সাকিল আহমেদ: প্রাথমিকভাবে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কেননা নতুন সিস্টেমে পুরোপুরি বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবেই। তবে ই-পাসপোর্ট আর অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করার ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। তাই আমরা সবাইকে অনলাইনে উৎসাহিত করি।

বার্তা২৪.কম: বার্তাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মে. জে. সাকিল আহমেদ:বার্তাকেও ধন্যবাদ।

   

বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে। এটা আইনত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, যারা অনেক কাজ করে তাদের ভুলত্রুটিও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোন উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে।

জঙ্গিবাদ নির্মূল প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা সারাদেশে একযোগে আক্রমণ করে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে। পুলিশ জঙ্গিদের সেই ধৃষ্টতাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান জানান, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার আলোকেই দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। অতীতেও পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে। সবার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি সঠিক থাকলে সমস্ত সেবা পাওয়া যায়। আর ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি।

রোববার (১৯ মে) সকালে রংপুরে একদিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর আয়োজনে গত ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন উপলক্ষে রোববার হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতিবন্ধীদের সেবার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়ার লক্ষে দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলাতেও করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমাজসেবা অফিস কমপ্লেক্সে আলাদা করে প্রতিবন্ধী কর্নার খুলে সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেডিকেল সায়েন্সে যে ১৩ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ পুনর্বাসনের ও বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার সংখ্যা, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোন যাবে না বলেও জানান তিনি।

হাইপার টেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্ত্রী হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন করেন। হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘদিন থেকে এরকমভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ক্যাম্পেইন উঠান বৈঠক কর্মশালা, উঠান বৈঠক জনসচেতনতামূলক সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নিয়মিত করে আসছে ।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ৫০ টাকার রেজিস্ট্রেশন করে পরবর্তীতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন বিগত ১৬ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

;

পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের যোগাযোগ বাড়াতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থায়ী কমিটির বৈঠক

স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বাড়িয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করছে স্থায়ী কমিটি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মো. জাকারিয়া, ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, হাবিবুন নাহার, মো. আওলাদ হোসেন ও ঝর্না হাসান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকসহ দেশে নিরাপদে ফিরে আসায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটি কমলাপুর আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) টার্মিনাল মূলত বন্দরের অংশ উল্লেখ করে আইসিডির দায়িত্ব পরিচালনা সম্পূর্ণ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার সুপারিশ করে। যেখানে সবগুলো পোর্টই হবে আইসিডির স্টেকহোল্ডার।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতর, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর কার্যক্রমসমূহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্রগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;