‘সড়ক নিরাপত্তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলবে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাংকের লগো

বিশ্বব্যাংকের লগো

সড়ক দুর্ঘটনা ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির চেয়ে বেশি। একটি দেশের প্রবৃদ্ধি এবং মানুষের বিকাশকে ক্ষুণ্ন করে। অন্যান্য দেশের মতো রাস্তাঘাটের সুরক্ষার উন্নতি করে বাংলাদেশও দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংক-জাতিসংঘের সড়ক নিরাপত্তা চ্যাম্পিয়নস ভিডিও প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষণাকালে এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টভিগ শ্যাফার এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

সেরা পাঁচটি ভিডিও নির্মাতাদের পুরষ্কার দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ঢাকার রাস্তাগুলোকে নিরাপদ করার জন্য ধারণা চেয়েছিল এবং অপ্রতিরোধ্য সাড়া পেয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে শ্যাফার বলেন, ‘আমরা সবাই প্রতিযোগীদের প্রস্তাবিত ঢাকার রাস্তা সুরক্ষার জন্য সৃজনশীল, ব্যবহারিক এবং বাস্তবযোগ্য সমাধান পেয়ে অত্যন্ত অভিভূত। এই ধারণাগুলো সাক্ষী দেয় যে রাস্তা সুরক্ষা সংকট প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ চালিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘আমি এই ভিডিও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সমস্ত তরুণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের ও তোমাদের সকলের জন্য রাস্তা নিরাপদ দরকার।’

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে। মোটরচালিত যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের ৫ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং সড়ক নিরাপত্তা একটি উন্নয়নের এজেন্ডা। এ নিয়ে আমাদের এখনই কাজ করা উচিত।’

অংশগ্রহণকারীদের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে উপযুক্ত শিরোনামসহ ২ মিনিটের একটি ভিডিও জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেলটিতে জাএএজিও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) স্থপতি ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হাবিব, ১০ মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক, বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের অপারেশনস ম্যানেজার ড্যানডন চেন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক।

প্রতিযোগিতা থেকে উদ্ভূত মূল থিমগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- পৃথক বাস লেন, মোবাইল অ্যাপস, স্মার্ট বাস, ব্যারিকেড সিস্টেম, স্পিড, ক্যামেরা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে যাত্রীদের নামা-ওঠার জন্য বাসের সংখ্যা এবং এলোমেলো পার্কিং সীমাবদ্ধ করা।

বিজয়ীরা হলেন

প্রথম বিজয়ী কাজী মো.মারফু-উম আবিদ, ফারহানা হক এবং মো. ফাহিমুর রহমান শুভ।
দ্বিতীয় বিজয়ী মো. ফাহমিদ-উল-যুবরাজ, ফারনাজ ফাওয়াদ হাসান এবং রশাদ করিম নাভিদ।
তৃতীয় বিজয়ী মো. তৌফিকুজ্জামান প্রান্তো।
প্রথম রানার-আপ প্রোটয় রায়, সৃস্টি রায় চৌধুরী এবং ফাহিম ফয়সাল রুনাক
দ্বিতীয় রানার-আপ আবরার মাহমুদ চৌধুরী, নাহিদ কবির এবং মো. ফাহাদ ওয়াফিক।