জাবিতে শিক্ষকদের জন্য আরো ৭ টি বাস, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে শিক্ষকদের জন্য আরো নতুন ৭ টি বাস সংযুক্ত করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর সঙ্গে দৈনন্দিন যোগাযোগের জন্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাসের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়ার পরেও শিক্ষকদের জন্য নতুন ৭ টি বাস ক্রয়কে ভালভাবে গ্রহণ করেনি শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে সবগুলো বাস ক্রয় করা হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা থেকে অর্জিত শিক্ষার্থীদেরই প্রদানকৃত অর্থ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া ফেসবুক গ্রুপ ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’-এ শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নতুন ৭ টি বাসের মধ্যে ২৮ সিটের দুইটি এসি মিনি বাস এবং ১৬ সিটের ২ টি ও ৭ সিটের তিনটি মাইক্রোবাস রয়েছে। এগুলো শিক্ষকদের জন্য ব্যবহৃত হবে বলে শিক্ষার্থী ও পরিবহন অফিসে কথা বলে জানা গেছে। এ কারণে ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ছাড়াই বাস উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো উদ্বোধনের ছবিটিতে হাস্যোজ্জ্বল শিক্ষকদের দেখা গেলেও একজনও শিক্ষার্থী সেখানে ছিলোনা।

/uploads/files/DO7DPAJRywL8CUK6tGF5tq4OYLAJZng6rQoEAbng.jpeg

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান নাঈম বিশ্বাস লেখেন, যে জাতি তার শিক্ষকদের সম্মান দিতে জানে না সে জাতি আজীবন মূর্খদের কাতারে রয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের সমস্যা হলো তারা শুধু নিবেন, দেবেন না মোটেই, এ কেমন বিচার?

অফিস আওয়ার নয়টা পাঁচটা, তবে দেড়টার বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক শিক্ষক ঢাকা চলে যান প্রতিদিন। আর বিভাগ উন্নয়ন ফি অন্যায্য, শিক্ষাকে রাষ্ট্র মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ব্যয়ভার ছাত্রদের বহন করবার কথা না, বিভাগের উন্নয়ন ফি ছাত্ররা কেন দিবে? ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকার একটা ছোট অংশ থেকেই সে ব্যয়ভার বহন করা যায়, শুধু অভাব সদিচ্ছার।

মিজানুর আপন নামের অপর এক ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী লেখেন, ওনাদের জন্য কয়েকটা হেলিকপ্টারও কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

আলম শেখ নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী লেখেন, ছাত্র ছাত্রীদের বাসের ব্যবস্থা না করে শুধু ব্রাহ্মণ সমাজের জন্য করেন,,,, তাহারা আগে বাঁচুক।

সাইদুর রাহমান রাফি নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে একটি ভাঙাচুরা এম্বুলেন্স রাখার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নজির আমিন চৌধুরী জয় একটি পোস্টে লেখেন, আমরা উপাচার্যকে বলেছিলাম ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম বিক্রির টাকা দিয়ে, গাদাগাদি করে ছাত্রদের যাতে ঢাকা যেতে না হয় তার জন্য বাস ক্রয় করা হোক ।

ফর্ম বিক্রির টাকা দিয়ে বিভাগ গুলোর উন্নয়নের জন্য টাকা দিতে,যাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি না নিতে হয়। উনি কিছুই করলেন না। বরং, ১০টায় ক্যাম্পাসে এসে ১.১৫ তে ঢাকা ফিরে যাওয়া শিক্ষকদের জন্যে বাস কিনলেন। পুনশ্চঃ ফর্ম বিক্রির আয়কৃত টাকার একটা বড় অংশ ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি দেয়ার সম্মানি হিসেবে শিক্ষকরাই পান।

/uploads/files/JK0HuvEOlBveKfjt6dVRuTuaxDnnPrjPKx54Mfkm.jpeg

এই পোস্টের পরদিন জাবি ছাত্র ইউনিয়ন ফর্ম বিক্রির টাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য বাস না কিনে শিক্ষকদের জন্য ক্রয়কে ‘নিন্দনীয়’ বলে বিবৃতি প্রকাশ করে।

নজিরের পোস্টের নিচে নাহিদ তাসনিয়া জাহান রিয়া লেখেন, হেই মিয়া! ক্যাম্পাস কি আমাদের নাকি। যাদের ক্যাম্পাস তাদের জন্য কিনবে না ত কি করবে? তুমি আমি তাড়াতাড়ি পড়াশুনা করে বাইর হয়ে যাব। আমাদেরকে দিয়ে কোন লাভ আছে? তুমি আসলেই একটা প্রিয় ছাত্র।

এম ডি মাঈন উদ্দিন নামের এক ছাত্র লেখেন, আমার মনে হয় আমরা স্টুডেন্টরা টাকা তুলে হলে ও আমাদের প্রাণপ্রিয় সন্মানিত অফিসিয়াল শিক্ষকদের একটা বাস কিনে উপহার দেওয়া উচিত। এই ক্যাম্পাস তো স্টুডেন্টদেরই আবাসিক ক্যাম্পাস সবাই হলে থাকতে পারবো আমরা। কিন্তু বেচারা শিক্ষিত শিক্ষকের তো বৌ,বাচ্ছা আছে আর তাই বাসায় যাওয়ার ও তাড়া আছে।

অয়ন আজাদ নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন, মাত্র দুইটা বাস!! প্রত্যেক টিচারের জন্য একটা করে এসি বাস কেনার জোর দাবি জানাই।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধতা প্রত্যক্ষ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অর্থে আমাদের জন্য বাস না কিনে যাদের জন্য পর্যাপ্ত বাস রয়েছে তাদের জন্য ক্রয় করা হলো। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষক বাস অধিকাংশ সময় খালি থাকে।

এই ব্যাপারে একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জুলকারনাইন শিকদার ফেসবুকে লেখেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বিভাগ উন্নয়ন ফি থাকবে কি থাকবে না সেটা নির্ধারণ করতে প্রতিটি বিভাগের ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি বা ছাত্রদের সবার মতামত জরুরি। এছাড়া বিভাগ উন্নয়নের টাকা কিভাবে ব্যয় হবে তারও একটি নীতিমালা আছে। কোনো শিক্ষক চাইলেন আর তহবিল থেকে মনের মতো খরচ করলেন বিষয়টি তেমন নয়। এর জন্য বিভাগীয় সভায় পূর্বানুমোদন নিতে হয়। এবার ইউজিসির অনুমোদন নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার থেকে অর্জিত তহবিল দিয়ে যে সাতটি গাড়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রয় করেছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এগুলো কেবল শিক্ষকদের জন্যই নয়। বিশ্ববিদ্যালয় তার যেকোন প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করাবেন।

   

বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধ করা হবে। এটা আইনত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, যারা অনেক কাজ করে তাদের ভুলত্রুটিও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোন উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে।

জঙ্গিবাদ নির্মূল প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা সারাদেশে একযোগে আক্রমণ করে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে। পুলিশ জঙ্গিদের সেই ধৃষ্টতাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান জানান, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার আলোকেই দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। অতীতেও পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে। সবার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জাকির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি সঠিক থাকলে সমস্ত সেবা পাওয়া যায়। আর ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি।

রোববার (১৯ মে) সকালে রংপুরে একদিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর আয়োজনে গত ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন উপলক্ষে রোববার হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতিবন্ধীদের সেবার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়ার লক্ষে দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলাতেও করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমাজসেবা অফিস কমপ্লেক্সে আলাদা করে প্রতিবন্ধী কর্নার খুলে সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেডিকেল সায়েন্সে যে ১৩ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ পুনর্বাসনের ও বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার সংখ্যা, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোন যাবে না বলেও জানান তিনি।

হাইপার টেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্ত্রী হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন করেন। হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘদিন থেকে এরকমভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ক্যাম্পেইন উঠান বৈঠক কর্মশালা, উঠান বৈঠক জনসচেতনতামূলক সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নিয়মিত করে আসছে ।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ৫০ টাকার রেজিস্ট্রেশন করে পরবর্তীতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন বিগত ১৬ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

;

পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের যোগাযোগ বাড়াতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থায়ী কমিটির বৈঠক

স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বাড়িয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করছে স্থায়ী কমিটি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মো. জাকারিয়া, ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, হাবিবুন নাহার, মো. আওলাদ হোসেন ও ঝর্না হাসান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকসহ দেশে নিরাপদে ফিরে আসায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটি কমলাপুর আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) টার্মিনাল মূলত বন্দরের অংশ উল্লেখ করে আইসিডির দায়িত্ব পরিচালনা সম্পূর্ণ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার সুপারিশ করে। যেখানে সবগুলো পোর্টই হবে আইসিডির স্টেকহোল্ডার।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতর, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর কার্যক্রমসমূহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্রগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;