ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি সংরক্ষণের চেষ্টা করব: প্রতিমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈত্রিক ভিটা পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈত্রিক ভিটা পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

কালজয়ী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের রাজশাহীর পৈত্রিক ভিটা পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়ার পথে নগরীর মিয়াপাড়ায় বাড়িটি ঘুরে দেখেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এটির আদলটি অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উচিত ছিল ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতির ও সংস্কৃতি বিকাশের এই জায়গাটি ধরে রাখা। যতটুকু জায়গা আছে, সেটুকু কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়; তার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করবো।

সামরিক শাসক এরশাদের সমালোচনা করে কে এম খালিদ বলেন, সামরিক শাসকরা সংস্কৃতির অঙ্গনগুলোকে সবসময়ই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিভিন্ন কালা-কানুন দিয়ে তারা সংস্কৃতির বিকাশকে রুদ্ধ করেছে। সেটিরই একটি লক্ষণ হলো ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি, ১৯৮৪ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করে দেওয়া হয়। অনেক জায়গাই তো ছিল কলেজ করার!

বিজ্ঞাপন

পরে প্রতিমন্ত্রী হোমিওপ্যাথিক কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেন, ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিটুকু নষ্ট না করে আপনারা আপনাদের কলেজ কার্যক্রম করতে থাকেন। তারপরে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আইন যেভাবে চলে, সেভাবেই আপনাদের চলতে হবে।

এদিকে, কিছুদিন আগে প্রতিমন্ত্রীর ভাই অভিনেতা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক ম. হামিদ ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি পরিদর্শনে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমতি না পাওয়াটা দুঃখজনক। ঋত্বিক ঘটক শুধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তার পৈত্রিক নিবাসের এই জায়গায় একজন সংস্কৃতিকর্মী অনুমতি না পেয়ে ফিরে যাওয়াটা দুঃখজনক। ঋত্বিক ঘটকরা তো আর যুগে যুগে জন্মায় না, শত বছরে একজন পাওয়া যায়। সেই তার জন্মভিটায় একজন সংস্কৃতিকর্মীর না আসতে পারাটা অবশ্যই বেদনার।

পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন, রাজশাহী জেলা সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার, হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান প্রমুখ।