মৃত্যুপ্রহরে ঢাকার খাল, অনেকগুলোই এখন স্মৃতি



আকরাম হোসেন, স্টাফ করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকা থেকে একে একে উধাও হয়ে যাচ্ছে একসময়ের প্রাণবন্ত খালগুলো। রাজধানীজুড়ে প্রবহমান খালগুলোর করুণ মৃতুর গল্প এখন পুরনো মানুষের মুখে মুখে। ঢাকার যোগাযোগ ক্ষেত্রে যে খালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত তার সিংহভাগ এখন দখলদারদের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারিয়েছে। আর যেগুলোও আছে দখল ও দূষণে তা পরিণত হয়েছে নোংরা নালায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতার নেপথ্যে খাল দখল। খাল, জলাধার ও নিম্নাঞ্চল দখল ও ভরাটের কারণে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য চারপাশের নদী ও খালগুলোকে দখলমুক্ত করে নাব্যতা ও পানি ধারণের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

দখল ও দূষণে খাল পরিণত হয়েছে নোংরা নালায়

জানা যায়, ঢাকা শহরে ৫০টিরও অধিক খাল জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, এসব খাল গিয়ে মিশেছে নদীতে। বৃষ্টি হলে শহরের পানি গিয়ে পড়তো খালে, খাল দিয়ে পানি চলে যেত নদীতে। পানির সঙ্গে সঙ্গে ময়লা আবর্জনা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার হয়ে যেত।

এসব খালের অধিকাংশ এখন দখল আর ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে এখন সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে ঢাকার রাস্তাঘাট। কিছু কিছু এলাকায় দিনের পর দিন জমে থাকছে পানি। সরু ড্রেনের মতো বয়ে চলা এসব খাল একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ করছে, আবার এর ভেতরে পড়ে প্রাণহানির ঘটনাও কম ঘটছে না। দূষণ খাল থেকে আশপাশে রোগজীবাণু ছড়াচ্ছে। মশা-মাছির প্রকোপ বাড়াচ্ছে এসব খাল।

খালের অধিকাংশ এখন দখল আর ভরাট হয়ে গেছে

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে রাজধানীতে ৫০টি খাল রয়েছে।

জেলা প্রশাসকের দেয়া তথ্যের সঙ্গে মিল নেই ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশে ট্রাস্ট (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট) গবেষণার। তারা বলছে স্বাধীনতার পূর্বে রাজধানী ঢাকাতে ৪৭টি খাল থাকলেও বর্তমানে ২৬টি খাল রয়েছে। বাকি খালগুলো সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে।

দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি খাল

প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে ঢাকা শহরের খাল নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণা থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা পর থেকে অনেকগুলো খালের কথা খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব নেই।

রায়েরবাজার খাল: কাঁটাসুর খাল হতে উৎপত্তি হয়ে সরাই জাফরাবাদ ও সুলতানগঞ্জ মৌজার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রায়েরবাজারের বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রায়েরবাজার খাল ছিল। পুরো খালই ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

পরীবাগ খাল: শাহবাগ থেকে মগবাজার পর্যন্ত পরীবাগ খাল ছিল। তবে সেখানে এখন খালের কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না। খাল ভরাট করে সোনারগাঁও সড়ক বানানো হয়েছে।

খালের বেহাল দশা

গোপীবাগ খাল: গোপীবাগ থেকে শুরু হয়ে ওয়ারী, ব্রাহ্মণচিরণ, আরামবাগ খাল পর্যন্ত গোপীবাগ খাল ছিল। ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

পান্থপথ খাল: পান্থপথের পিচঢালা সড়কের নিচে চাপা পড়ে আছে একটি বিশাল খাল ও জলাভূমি। যেখানে ধানমন্ডি খাল দিয়ে এই এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে পান্থপথ হয়ে বেগুনবাড়ি খালে পড়ত। পান্থপথ খালের উপর বর্তমানে সড়ক ও বড় বড় অট্টালিকা বানানো হয়েছে।

এছাড়াও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের গবেষণা থেকে জানা যায়, আরামবাগ, সেগুনবাগিচা, গোবিন্দপুর, কাঁঠাল বাগান, নারিন্দা খালের কোনো অস্তিত্বই এখন নেই।

খাল বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে

রাজধানীতে যেসব খালের অস্তিত্ব আছে সেগুলো বিলুপ্তের পথে। খালে আবর্জনা ফেলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে। হাজারীবাগ খাল, মান্ডা খাল, জিরানি খাল, ধোলাই খাল, কদমতলা খাল ঘুরে দেখা য়ায় খালের উপর নানা অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তার মধ্যে আছে বহুতল ভবন, আধপাকা ঘর, কাঁচাঘর, টংঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সীমানা দেয়াল, দোকান, ওয়ার্কশপ, রাস্তা, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, পলিথিন কারখানা, রিকশার গ্যারেজ, বেকারি ইত্যাদি। খালগুলোর উপরে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে ভাড়া দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাজধানীর খাল দখলমুক্ত রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। খালের বেদখলে বিষয়টা আমাদের নজরে আসলেই আমরা উচ্ছেদ করি। বেদখলের বিষয়টা সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার সঙ্গে আমরা দেখি। তবে ময়লা, আবর্জনা ও দূষণের বিষয়টা সিটি করপোরেশন দেখাশোনা করে। এখনো অনেক খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ আছে। তবে অনেকেই বলে থাকেন আগে অনেক খাল ছিল, অনেক খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ ছিল। কিন্তু নিদিষ্ট করে জানতে চাইলে বলতে পারে না।

ঢাকায় জলাবদ্ধতার নেপথ্যে খাল দখল

যে খালগুলোর অস্তিত্ব আছে তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা থেকে খালের বিলুপ্ত, দখন ও দূষণের জন্য আইনের প্রয়োগ ও সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে বলে মনে করছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কে জানান, খাল দখল মুক্ত করার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। তবে খাল দখল মুক্ত করতে গেলে নানা বাঁধা আসে। খালের জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা থাকে, সেগুলো উচ্ছেদ করতে গেলে তারা মামলা করে। সেগুলো নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কোর্টে মামলা চলতে থাকে।

রাজধানীর খালের অবস্থা কি আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে খালেরই জীবন-মরণ অবস্থা। সেখানে নদীর সঙ্গে খালের সংযোগ অনেক দূরের ব্যাপার।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, খাল দখলের বিষয়টা শুধু ঢাকা শহরে নয়। সারা দেশের নদী-নালা, খাল, ঝিল, বিল সবকিছু দখলের কবলে। যারা দখলের সঙ্গে জড়িত তারা অনেক প্রভাবশালী। সরকারের ভিতরে ও বাইরে, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এসবের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

প্রবহমান খালগুলোর করুণ মৃতুর গল্প এখন পুরনো মানুষের মুখে মুখে

তিনি বলেন, আইনের প্রয়োগের অভাবে এসব খাল দখল ও ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সরকার খাল উদ্ধারের কথা বললেও আন্তরিকতা অভাব রয়েছে। সরকার চাইলে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। সরকারের চেয়ে কোনো কিছু শক্তিশালী হতে পারে না। আইনের প্রয়োগ ও সরকার আন্তরিক হলে খাল উদ্ধার সম্ভব।

নদী ও পানি বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপল’-এর মহাসচিব শেখ রোকন বার্তা২৪.কমকে বলেন, খাল দখল উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না মূলত রাজনৈতিক কারণে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে দলের স্থানীয় রাজনীতিবিদরা খাল দখল করে নানা স্থাপনা তৈরি করে। শহরের উন্নয়ন মডেলে আমাদের ভুল আছে। খালকে খালের মত থাকতে দিতে হবে। উন্নয়নের নামে সুইজ গেট, বক্স কালভার্ট দেয়া বন্ধ করতে হবে। ঐতিহাসিকভাবে নদীকে কেন্দ্র করে ঢাকা গড়ে উঠেছে। ব্যাপারটা এমন না যে ঢাকাকে কেন্দ্র করে নদী সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য নদীকে নদীর মত থাকতে দিতে হবে।

   

বিয়ের স্বীকৃতি না দেওয়ায় স্ত্রীর অভিযোগ, ফেঁসে গেলেন এএসপি ইমরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈবাহিক পরিচয় ঘোষণার ক্ষেত্রে নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দিয়ে চাকরিতে প্রবেশ ও স্ত্রীকে স্বীকৃতি না দিয়ে তালাকের নোটিশের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আল ইমরান হোসেন।

সরকারি তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। স্ত্রীর অভিযোগের পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে এক বছরের জন্য একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইমরান হোসেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পশুরাম জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আল ইমরান হোসেন চাকরিতে যোগদানের পূর্বে আরিফা আক্তার গোধূলীকে চারলাখ টাকা দেনমোহরে ২০১১ সালের মাঝামাঝি বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকার সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে অবস্থিত গেরুয়া গ্রামে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। ইমরান হোসেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার পদের জন্য একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত মর্মে তথ্য দেন। তিনি ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ)-এ যোগদান করেন এবং বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন। তিনি চূড়ান্তভাবে সুপারিশকৃত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের সময়ও নিজেকে অবিবাহিত তথ্য দেন। পুলিশ একাডেমি সারদায় ট্রেনিং শেষে বিবাহের অনুষ্ঠান করবেন মর্মে অভিযোগকারীকে (স্ত্রী) আশ্বাস দেন। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন ডাটাবেজে নিজেকে অবিবাহিত মর্মে তথ্য দেন। তার শিক্ষানবিসকাল শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি হলেও সেখানে তথ্য ফরমে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান হোসেন সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করে সিলেটে শিক্ষানবিস হিসেবে বদলি হন। কিন্তু স্ত্রীর কাছে তার অবস্থান কখনও সিলেট বা চট্টগ্রাম মর্মে মিথ্যা তথ্য দেন। তার এরূপ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগকারী (স্ত্রী) রংপুরের পুলিশ কমিশনারকে অবগত করেন। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ইমরানের 'অসদাচরণ' এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত শুনানীর দিন ধার্য করা হলেও তিনি তাতে উপস্থিত হননি। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এরপরই সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে একবছরের জন্য 'একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার' লঘুদণ্ড প্রদান করা হলো। তিনি ভবিষ্যতে উক্ত মেয়াদের কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। তাছাড়া এই মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

;

রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ

রংপুরে ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নেন ৮২ ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর নিম্ন আয়ের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার শতকরা ৮২ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। এলাকার ফার্মেসি থেকে জ্বর, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে ওষুধের মাধ্যমে তারা চিকিৎসা চালায়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ আঞ্চলিক কার্যালয় মিলনায়তনে নগর স্বাস্থ্যসেবায় জবাবদিহি (এরাইজ) প্রকল্পের আঞ্চলিক মতবিনিময় সভায় মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় এ তথ্য তুলে ধরেন এরাইজ প্রকল্পের গবেষক নাজিয়া ইসলাম।

তিনি বলেন, চিকিৎসা নিতে সরকারি হাসপাতালে যান শতকরা ৬৯ দশমিক ২ ভাগ, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শতকরা ৩৩ দশমিক ৩ ভাগ, এনজিও ক্লিনিকে ৪ দশমিক ৬ ভাগ এবং কবিরাজি চিকিৎসা করান শতকরা ৩ ভাগ মানুষ।

গবেষক নাজিয়া ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রংপুর নগরীর ১৬ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জরিপ পরিচালনা করে এরাইজ প্রকল্প। জরিপ মতে, বাড়ি থেকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পৌঁছাতে গড়ে ২৫ মিনিট লাগলেও নিম্ন আয়ের মানুষদের আস্থা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর। বস্তি এলাকায় বসবাস করার এসব নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নানা চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে শতকরা ২৩ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা, ২৩ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ উৎকোচ গ্রহণ, ২২ দশমিক ২ ভাগ মানুষ হয়রানি, ১৫ দশমিক ৯ ভাগ মানুষ অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়, ১০ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ নোংরা পরিবেশ, ৯ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ চিকিৎসা, নার্স ও স্টাফদের দুর্ব্যবহার, ৮ দশমিক ৩ ভাগ মানুষ দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ৬ দশমিক ৭ ভাগ মানুষ রেফারেল সিস্টেমের অভাব, ৫ দশমিক ১ ভাগ মানুষ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, ৪ দশমিক ১ ভাগ মানুষ বেশি দূরত্বে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এবং ২ দশমিক ২ ভাগ মানুষ সেবাদাতাদের সেবা প্রদানে অনীহার কথা তুলে ধরেছেন।

এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ রংপুর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহ মো. আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মতবিনিময় সভায় রংপুর নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নানা সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

;

টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই জন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার জামতলী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে জামালপুরগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুইজন নিহত হন। আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে।

;

টাঙ্গাইলে তীব্র গরমে এক বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টাঙ্গাইলে তীব্র দাবদাহ ও গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার তালতলা গ্রামে তীব্র গরমে মনছের আলী সরকার (৯৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার জানান, মঙ্গলবার সিংগুরিয়া বাজার থেকে পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসলে দুপুরে দিকে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থতা বোধ করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। মনছের আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী এবং সামাজিক মানুষ ছিলেন।

টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, চলতি বছরের এ জেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৬%। আগামী আরও দুই এক দিন দাবদাহ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।

;