রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি (পর্ব-২)

বই নেই শুধু পত্রিকা দিয়ে চলছে লাইব্রেরি!



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি। বয়সে ১শ’ ৬৬ বছরের পুরোনো। ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত ঐতিহাসিক এ লাইব্রেরিতে নেই জ্ঞানের আলো। তথ্য প্রযুক্তির যুগেও পড়ে আছে অন্ধকারে। শুধু পত্রিকা দিয়েই চলছে এ লাইব্রেরি। এক সময়ের সমৃদ্ধ রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠকের খোরাক দিনশেষে চারখানা পত্রিকা। কিছু বই থাকলেও তা পড়ার উপযোগী নয়।

প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে এ লাইব্রেরি। এ সময় আড্ডার ছলে অনেকেই আসেন লাইব্রেরিতে। প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে কাঠের টেবিলে রাখা পত্রিকায় চোখ রাখেন। শুধুমাত্র চারখানা পত্রিকাই এখানকার প্রতিদিনের সম্বল। এজন্য একসঙ্গে চার জনের অধিক হলে সমস্যা।

ধুলো-বালু জমে এভাবে পড়ে আছে বই

পাঠকরা চাইলেও লাইব্রেরিতে বই পড়তে পারেন না। কারণ নামমাত্র এ লাইব্রেরিতে পড়ার মতো কোনো বই নেই। যা আছে সব তালা বন্দি। দুই মাস আগে লাইব্রেরির টেবিলে সাতটা পত্রিকা থাকলেও অর্থ সংকটে এখন সংখ্যা কমে তা চারে এসেছে। একটা স্থানীয় আর ঢাকা থেকে প্রকাশিত তিনটা পত্রিকা দিয়ে চলছে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি।

 বই না থাকলেও আছে আলমিরা ভর্তি পত্রিকা

শনিবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরির গায়ে ফাটল ধরেছে। দেয়ালে জমেছে শেওলা। নেই লাইব্রেরিয়ান। একজন কেয়ারটেয়ার আর পরিচ্ছন্নতা কর্মী চালাচ্ছেন লাইব্রেরির কার্যক্রম। এখনকার বিশটি আলমিরার আটটি নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো নতুনত্ব না থাকায় আলমিরার স্তুপের পুরাতন বই-পত্রিকা পাঠককে কাছে টানে না। অপর একটি অন্ধকার কক্ষে উঁকি দিয়ে দেখা যায়, মাকড়সা জালে ঘিরে রাখা এক আলমিরা। আলমিরাতে সারি সারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, সৈয়দ শামসুল হকসহ বহু নামী-দামি লেখকের বই। গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, জীবনী, কাব্য, সাহিত্য নির্ভর বই মিলে দেড় হাজারের কাছাকাছি বই আছে। অনেকবছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা বইগুলোর কোনটার- বইয়ের কভার নষ্ট কিংবা রং উঠে গেছে। কোনোটা উইপোকা খেয়েছে। আবার কোনটাতে বাসা বেধেছে।

লাইব্রেরিতে মকড়সা'র আবাসস্থল

জানা গেছে, দুই বছর ধরে বকেয়া রয়েছে এখানকার বিদ্যুৎ বিল। পত্রিকার হকারও টাকা পান লাইব্রেরির কাছে। বেতন ভাতার দৈন্য দশায় চাকরি ছেড়েছেন লাইব্রেরিয়ান। একজন কেয়ারটেকার আর পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে কেবল চারটি পত্রিকা নিয়ে চলছে পাবলিক লাইব্রেরি। বহু ইতিহাসের সাক্ষী রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির এমন করুণ দশায় ব্যথিত পাঠকরা। দীর্ঘ সময় ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে লাইব্রেরিটি। বর্তমানে লাইব্রেরির কোনো দাতা নেই। নেই কোনো পরিচালনা কমিটি।

সচেতন মহল ও পাঠকরা বলছেন, সংস্কার করে আধুনিকতার সঙ্গে মিল রেখে নতুন আঙ্গিকে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরিকে সাজানো জরুরি। তা না হলে লাইব্রেরি বলতে আমরা যে প্রতিষ্ঠানকে বুঝি সেটার সঙ্গে বেমানান হয়ে যাবে ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটি।

পড়ে আছে বইশুন্য আলমিরা

সাহিত্য ও সংস্কৃতিনুরাগী ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে অনেক সরকারি গণগ্রন্থাগার হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যময় পাবলিক লাইব্রেরিগুলো অযন্ত, অবহেলা, সাংগঠনিক দুর্বলতাসহ নানা কারণে নষ্ট হওয়ার পথে।’

অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠন শাহাদত হোসেন বলেন, ‘পাবলিক লাইব্রেরি অনেক পুরোনো পাঠাগার। এখানে মানুষ মূলত বই পড়তে আসে। সঙ্গে বোনাস থাকে পত্রিকা। কিন্তু এখন বোনাস আছে শুধু বই নেই। অথচ এখানকার বুদ্ধিজীবী মহল, উকিল, ডাক্তার, রাজনীতিবিদরা এক সময় এ লাইব্রেরিতে আসতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এখানে পাঠক নেই বললেই চলে।’

বিকেলে কিছু মানুষ আসেন পত্রিকা পড়তে

এ ব্যাপারে লাইব্রেরির বর্তমান কেয়ারটেকার আজিজুল ইসলাম সানু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কয়েক যুগ ধরে এখানে নতুন বই নেই। দেড় হাজারের মতো পুরাতন বই রয়েছে। তবে এগুলো পড়ার উপযোগী নয়। সংরক্ষণের অভাবে বইগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। যেসব পুরাতন পত্রিকা সংরক্ষণে রাখা হয়েছে, তার অবস্থাও খারাপ। উইপোকা, তেলাপোকা সবকিছু নষ্ট করছে। আলমিরাগুলো ভেঙে গেছে। মাকড়সার জাল, ধুলো আর ঝড়-বৃষ্টির পানিতে বই-পত্রিকাগুলো নষ্টের পথে।’

লাইব্রেরির বর্তমান কেয়ারটেকার আজিজুল ইসলাম সানু

বৃদ্ধ এ কেয়ারটেকার জানান, ‘এক সময় লাইব্রেরিতে অনেক বই ও পত্রিকার পাঠক ছিল। কিন্তু এখন পাঠক কমে গেছে। জনবল নেই। লাইব্রেরির একটি হলরুম ভাড়া থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোন রকমে লাইব্রেরি খোড়ায় খোড়ায় চলছে। আগে স্থানীয় কাগজ দৈনিক যুগের আলোসহ সাতটি পত্রিকা রাখা হত। এর মধ্যে প্রথম আলো, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, জনকন্ঠ, সমকাল, ডেইলি স্টার রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক সংকটের কারণে চারটি পত্রিকা রাখা হচ্ছে।’ 

আরও পড়ুন- রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি: জ্ঞানের ঘরে অন্ধকার

   

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা থেকে গাঁজা বিক্রি করতে এসে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ৬ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছে সোহেল নামে এক মাদক কারবারি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ওই গাঁজাগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে। ওই সময় তারা গাঁজা বহনকারী কারবারী সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাদের জন্য বরগুনা জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

আটককৃত মাদক কারবারি সোহেল কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ধর্মপুর এলাকার বশিরুল্লাহর ছেলে। পেশায় সে একজন স্যানিটারী মিস্ত্রি। ভারত থেকে চোরাইপথে আসা গাঁজা আখাউড়া থেকে সংগ্রহ করে সড়ক পথে বরগুনার আমতলীতে বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)'র অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বশির আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে উপ- পরিদর্শক জ্ঞান কুমার দাস, মোঃ বশির আহমেদ, সহকারী পরিদর্শক রুবেল হাওলাদার, ডিবি সদস্য প্রিন্স সিমলাই, মাহমুদসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গভীর রাত থেকে আমতলীর সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করি।

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী হানিফ পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ সোহেল নামে ওই মাদক কারবারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হই। আটক কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

;

রংপুরে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজন ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই বাড়ি থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমেদ জয় ওরফে আব্দুস সালাম (৪০), একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৩৬), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা সবুজ মিয়া (২৮) ও একরামুল হক (২৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের আব্দুস ছালামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ আব্দুস ছালাম ও শাহাজাহান মিয়াকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আব্দুস ছালামের বাড়িতে সেই গাঁজা কিনতে আসে ফুলবাড়ি থেকে সবুজ মিয়া ও একরামুল হক। খবর পেয়ে তাদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গাঁজাসহ দুজন ও পরবর্তীতে গাঁজা কিনতে আসা দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ নারী কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও চার বোতল ভারতীয় হুইস্কিসহ স্বরসতী রানী (৩৩) নামে এক নারী মাদকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত স্বরসতী রানী কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোঙ্গাগাছ এলাকার পলাতক মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের বাড়িতে মাদকের বড় চালান ঢুকেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এ সময় স্বরসতী রানীর সহযোগিতায় বাশের তৈরী মাচা হতে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে জানান, আটককৃত নারী মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

;