বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন এবং সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন জিয়া উদ্দিন মো. রুবেল।
আহ্বায়ক সাকিব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং সদস্য সচিব রুবেল একই সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া, কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক-১ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাইমুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব-১ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলার ইয়াছিন আরাফাত হিমু, মুখ্য সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আরাফ ভূঁইয়া।
সংগঠক-১ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন লাঙ্গলকোট উপজেলার বিল্লাল হোসেন, কমিটিতে মুখপাত্র হিসেবে আছেন আদর্শ সদর উপজেলার মো. জাহিদুল ইসলাম সরকার এবং সদস্য হিসেবে আছেন জাহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
আহ্বায়ক সাকিব বলেন, 'যেহেতু এতদিন কোনো কমিটি ছিল না, আমরা আমাদের কাজ ঠিকঠাক করতে পারিনি। আমাদের চেষ্টা থাকবে প্রত্যেকটা উপজেলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করার জন্য। তাছাড়া, আমাদের যে সাম্যের বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই গণ-আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘দ্য রোল অব নিউ মিডিয়া ইন রেভল্যুশন অ্যান্ড রি-বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনএসইউর মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রাম এ সেশনের আয়োজন করে।
প্রেস সচিব বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৮ জুলাই সকালে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এর ফলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বুক পেতে দিয়েছেন। কিন্তু এটি গণমাধ্যমে সেভাবে আসেনি। এটি গণমাধ্যমের ব্যর্থতা। এ আন্দোলনে ১৮ ও ৩০ জুলাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ এবং ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো তার অন্যতম বড় দিক। এটি ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ডিগনিটি’র প্রশ্নে আন্দোলনে নেমেছিল জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এ আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিরোধ এ আন্দোলনের গতি সঞ্চার করে।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আন্দোলনের পরিচিত মুখ মানজুর আল মাতিন বলেন, আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বড় ভূমিকা ছিল। এর বাইরে সাধারণ মানুষ, রিকশাচালক সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। লড়াই এখনও চালিয়ে যেতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের এ অবস্থান জারি রাখতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এমসিজে প্রোগামের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম ইমশিয়াত। এ সময় সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের মূল সংকট রাজস্ব নাই। রেল একটা লোকসানি প্রতিষ্ঠান। একটা লোকসানি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লোক জোগাড় করা সম্ভব না। লোকসানি প্রতিষ্ঠান লোক ছাটাই করে। রেলের রাজস্ব থেকে পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি। এরমধ্যেও জনবল বাড়ানো কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
রেলওয়ের মূল সমস্যা লোকমোটিভ ও রেলকোচ উল্লেখ করে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নতুন লোকমোটিভ ও রেলকোচ আমদানি করা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ তাই রেলওয়ে কারখানায় মেরামত করে লোকমোটিভ, রেলকোচ ও ওয়াগন সংস্কার বা মেরামত করার জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার লোকবল ও বাজেট বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করবে সরকার।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এই কারখানায় বর্তমানে যতগুলো কোচ মেরামত হওয়ার কথা তার অর্ধেক বা কম কোচ মেরামত হচ্ছে। আমরা লোকবল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর্থিক বাজেটের সমস্যা আছে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করব। একই সাথে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের রেলের আয় যাতে বাড়ে এমন কাজ করতে হবে। কারখানা থেকে লোকোমেটিভ বা কোচ বেশি বের করতে পারলে বেশি গাড়ি চলবে, বেশি আয় হবে। এসময় প্রস্তাবিত নতুন ক্যারেজ শপ স্থাপন না করে পুরাতন কারখানার আধুনিকায়ন করে কারখানানে কার্যকর ও উৎপাদনমুখি করার ওপর জোর দেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভুইয়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান ও কারখানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে (৫৬) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু ছালেক বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি দক্ষিনপাড়ার মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আবু ছালেক আত্মগোপনে ছিলেন। তার নামে দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল ঘোড়াধাপ বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।