রংপুরে গণপরিবহন চাপ কমেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
রংপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। রাস্তাঘাটে কমেনি আনাগোনা। গণপরিবহনেও বেড়েছে চাপ। এতে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সামাজিক দূরত্ব কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন সচেতন মহল।
এদেকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাধ্যতামূলক সঙ্গরোধের মাধ্যমের উদ্ভুত পরিস্থিতি ঠেকানো সম্ভব না হলে বিপর্যয় নেমে আসবে। এখন সবচেয়ে জরুরি সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে অবস্থান করা।
বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মডার্ন মোড়, পার্কের মোড়, সাতমাথা, মেডিকেল মোড় এলাকা ঘুরে আন্তঃজেলা পরিবহনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে রংপুর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে লোক সমাগম দেখা যায়নি।
গণপরিবহনে চলাফেরায় ব্যস্ত এসব মানুষদের মধ্যে নেই করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা। বরং ঝুঁকি নিয়েই গা ঘেষাঘেষা করে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহনসহ আন্তঃজেলা পরিবহনে চড়ছেন সবাই। বাস স্ট্যান্ডগুলোতে নেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
এসব পরিবহনে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়নি। চালক, শ্রমিক, যাত্রীদের সুরক্ষায় গাড়িতে নেই জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল। আর বেশির ভাগ চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা রয়েছে ফেস মাস্কহীন।
পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, যাত্রীদের চাপ থাকায় গাড়ি চলাচল করছে। পরিবহন মালিকদের নির্দেশনা পেলে আন্তঃজেলা বাসগুলো বন্ধ হবে।
অন্যদিকে যাত্রীরা নিজেদের সুরক্ষায় অসচেতনতা কথা স্বীকার করছেন। তাদের দাবি, ঢাকা থেকে গ্রামে গ্রামে ফিরছেন। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বেশির ভাগ মানুষই ঢাকা ছেড়েছেন। একারণে ঢাকা থেকে রংপুরে আসা মানুষজন নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়ের দিকে যাচ্ছেন।
আর পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলা শহর থেকে রংপুরে আসা মানুষজনরা বলছেন, বাস চালু থাকায় তারা প্রয়োজনের তাগিদে শহরমুখী হয়েছেন।
এদিকে গণপরিবহন যাত্রীদের অবাধ চলাচল বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান।
তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে জনসমাগম রোধ সহ সকলকে সঙ্গরোধে থাকতে উৎসাহিত করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছোঁয়াচে হওয়াতে বাস, ট্রাকসহ পরিবহনে চলাচল এখন কোনভাবেই নিরাপদ নয়।
অন্যদিকে রংপুরে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গঠিত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সচেতনতার অবাধ থেকেই মানুষজন এখনো বাহিরে চলাফেরা করছে। এই পরিস্থিতততে গণপরিবহনে যাতায়াত সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়া জরুরি। নয়তো ঘরমুখো মানুষদের দায়িত্বহীন কাণ্ডে বড় বিপর্যয় ঘটবে।’