করোনায় বিক্রি বেড়েছে জীবাণুনাশক পাউডারের

  • ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করোনায় বিক্রি বেড়েছে জীবাণুনাশক পাউডারের

করোনায় বিক্রি বেড়েছে জীবাণুনাশক পাউডারের

প্রাণঘাতি করোনাক্রান্তিতে দেশজুড়ে বেড়েছে সচেতনতা। চলছে অঘোষিত লকডাউন। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সবকিছু। দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রোধে একচেটিয়া বিক্রি বেড়েছে ব্লিচিংপাউডারসহ জীবাণু মুক্তকরণ সামগ্রীর।

শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ব্লিচিংপাউডারসহ জীবাণু মুক্তকরণ সামগ্রীর পরসা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন

সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠন প্রতিদিন রংপুর নগরীর রাস্তা, অলি-গলি, ফুটপাত ও  যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। এর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ব্লিচিংপাউডার, স্যাভলনসহ জীবাণুনাশক সামগ্রীর।

এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে সচেতন লোকেরা নিজেদের বাসা বাড়ি ও আশপাশেও জীবাণু মুক্তকরণে তৎপর হয়ে উঠেছেন। এতে করে করোনার প্রভাবে ব্লিচিংপাউডারসহ জীবাণু মুক্তকরণ সামগ্রীর বিক্রি বেড়েছে। 

বিজ্ঞাপন
করোনার সংক্রমণ রোধে একচেটিয়া বিক্রি বেড়েছে ব্লিচিংপাউডারসহ জীবাণু মুক্তকরণ সামগ্রীর

নগরীর নবাবগঞ্জ বাজার মোড়ে, রামমোহন মার্টেক মোড়সহ বেশি কিছু স্থানে ছোট ছোট টেবিল নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। টেবিলে ব্লিচিং পাউডার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল, হ্যান্ড ওয়াশসহ স্প্রের বোতলের ফানেল (মাথা) ও ফেস মাস্ক সাজিয়ে রেখেছেন।

নবাবগঞ্জ বাজার মোড়ে সুমন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, আগের চেয়ে এখন ব্লিচিং পাউডারের চাহিদা বেড়েছে। জীবাণুনাশক এই পাউডার ছোট ছোট প্যাকেট করে বিক্রি করছেন। প্রতি ২০০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট ২০টাকা, ৩৫০ গ্রাম ৪০ টাকা এবং স্প্রের বোতলের মাথা একেকটা ৩০টাকা করে বিক্রি করছেন।

অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্লিচিং পাউডার ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। যদিও ছোট প্যাকেটই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, পানি ও স্যাভলনের সাথে পরিমাণ মতো ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে তৈরি করা জীবাণুনাশক স্প্রে  ছিটানো হয়। এখন জীবাণুনাশক ওই পাউডারের চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি মূল্য নিচ্ছেন।

এদিকে পাউডার ছাড়াও জীবাণুনাশক স্যাভলন, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসল ও ফেস মাস্কের বিক্রি বেড়েছে। তবে নগরীর কেমিক্যালের দোকান ও ফার্মেসিগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাঁচামালসহ হ্যাক্সিসল সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।