তারাগঞ্জে সেচ ক্যানেলের পাড় ভেঙে ৮ গ্রাম প্লাবিত
রংপুরের তারাগঞ্জে তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের পাড় ভেঙে আট গ্রাম প্লাবিত হবার ঘটনা ঘটেছে। এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাটসহ প্রায় ১০০ হেক্টর আবাদি জমি।
রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটার দিকে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নে তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের পাড় ভেঙে যায়। এতে ৩ নম্বর অনন্তপুর ওয়ার্ডের মিস্ত্রীপাড়া, দক্ষিণপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, হাজিপাড়া, বড়বাড়ি, আখিরারপাড়সহ দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় ২ নম্বর কুর্শা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাড় ভেঙে যাবার পর থেকে পানির তীব্র স্রোতে গ্রামের গ্রামের পর প্লাবিত হচ্ছে। তার নিজের বাড়িসহ গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট, ছোট ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট স্রোতের বেগে ভেঙে যাবার উপক্রম হয়েছে। এখন পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) পানির স্রোত বন্ধ হয়নি। পাড়ের ৫০ ফিটের মতো অংশ ভেঙে গেছে। এতে করে অন্তত আট থেকে দশটি গ্রামের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের দাবি, সেচ ক্যানেলের পাড়ের নিচের দিকে মাটি নরম হওয়ায় পাড় ভেঙে যাবার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ওই পাড়ের পাশে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাটি নরম ও গর্ত থেকেই তিস্তা ব্যারেজ সেচ ক্যানেলের পাড় ভেঙে গেছে। এতে অন্তত দশ গ্রামের প্রায় ১০০ হেক্টর আবাদি জমি, দুটি ইটভাটা, মৎস্য খামার ও রাস্তাঘাট সবকিছু এখন পানিতে নিমজ্জিত।
পাড় ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হবার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অশোক কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেল পাড়ের ৪০ ফিটের মতো অংশ ভেঙে গেছে। এতে নিচু এলাকার জমিসহ অন্তত ১০০ হেক্টর কৃষি জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে। তবে সকালের মতো এখন স্রোত নেই। দুই একদিন পর বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, কুর্শা ইউনিয়নের অন্ততপুর ওয়ার্ডে সেচ ক্যানেলের একাংশের পাড় ভেঙে কয়েকটি পাড়া প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ একর কৃষি জমিতে পানি ঢুকেছে। কৃষক ও মৎস্য চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে সকালের মতো এখন পানির বেগ নেই। সন্ধ্যা নাগাদ পানি মেনে যাবে বলেও জানান তিনি।