গ্রামে ফিরে করোনা যুদ্ধে লড়ছেন মাসুম
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন করোনা আক্রান্ত। দিন দিন দেশে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। বাড়ছে আক্রান্তের সাথে মৃতের সংখ্যাও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরেছেন হাজারো মানুষ। তাদের একজন আব্দুল্লাহ আল মাসুম। অন্যদের মতো অবশ্য গ্রামে ফিরে বসে নেই তিনি। করোনা যুদ্ধে গ্রামের মানুষদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়াতে রাতদিন সমানে লড়ছেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য। দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ বিতরণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে কাজ করেছেন। ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করছেন এখনও। দলীয় প্রধানের অনুপ্রেরণা থেকে নিজ গ্রামে ফিরে থেমে নেই মাসুম।
নিজ গ্রাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নম্বর চতরা ইউনিয়নে রাতদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। করোনাভাইরাস দুর্যোগে গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে সচেতন করতে কাজ করছেন তিনি। ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মাস্ক বিতরণ করেছেন। হাট-বাজারে আগত লোকজনের সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে বসিয়েছেন অস্থায়ী হ্যান্ড ওয়াশ কর্নার।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাস্তাঘাটে অযথা জনসমাগম বন্ধে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করছেন তিনি। সাধারণ মানুষের বাহিরে বের হওয়া সীমিত করতে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন সচেতনতার বার্তা নিয়ে। ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি নিজের সাধ্যমত অসহায় দুস্থদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা।
মাসুমের কাজে সঙ্গী হয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। তাদের নিয়ে হাট বাজারের মুদির দোকান ও ফার্মেসির সামনে নিরাপদ শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তিন ফিট দূরত্ব রেখে রঙ দিয়ে মার্কিং করে দিয়েছেন। গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থানে বসিয়েছেন বাঁশের ব্যারিকেড। শুধু তাই নয়, জনসমাগম রোধে দিন-রাত সুযোগ হলেই ঘুরে ঘুরে মনিটরিংও করছেন।
সচেতনতামূলক এমন কাজকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে মানছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে আসা পর্যন্ত করোনা যুদ্ধের লড়াই তিনি অব্যহত রাখতে চান।
এ বিষয়ে বার্তা২৪.কম-কে মাসুম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ এবং দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দীর অনুপ্রেরণায় সাধারণ জনগনের পাশে থাকতে চেষ্টা করছি। করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করেছি। নিজের সামর্থ্য থেকে দিনরাত কাজ করছি। এই দুর্যোগে বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের সচেতন ও সামর্থ্যবান প্রত্যেকটি মানুষকে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে আসা উচিত।